ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ভৈরব নদের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়, নির্বিকার প্রশাসন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কাবলেরচর এলাকার ভৈরব নদ খননের পর পাড়ে যে মাটি রাখা হয়েছিল, কোনো টেন্ডার ছাড়াই সেই মাটি কেটে বিক্রি এখনো অব্যাহত রয়েছে। অপর দিকে, ধোপাখালী ও সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে পুকুর খননের নামে চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মাটি কাটার হিড়ির। ট্রাক্টরের শব্দে অতিষ্ঠি সাধারণ জনগণ। প্রশাসন মাটি কাটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাটার মালিক নদের তীর থেকে মাটি কাটায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে খননকৃত ভৈরব নদ। জীবননগর উপজেলায় আনুমানিক ২৫টির মতো ইটভাটা আছে। এসব ভাটার এক-তৃতীয়াংশের উৎপাদনের অনুমতিপত্র নেই। তারাই অবৈধভাবে এসব মাটি ভাটায় নিচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কাবলেরচর এলাকায় ভৈরব নদের খননের মাটি মনোহরপুর গ্রামের ফজলু ও বাবলু নামের দুজন মিলে মা-বাবা নামের একটি ইটভাটায় বিক্রি করছেন। নদের তীর থেকে মাটি কাটার কারণে পাড়ের জমিগুলো ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। আর রাতের আধারে মিণ্টু নামের এক ব্যক্তি ধোপাখালী গ্রাম থেকে পুকুর খননের নামে মাটি কেটে বাঁকার বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছেন।

মনোহরপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের করার শর্তে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। নদীর তীর থেকে মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে আমাদের সমস্যা করে। যারা মাটি কেটে বিক্রয় করছে, তারা সবাই প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়।’

সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাত-দিন পুকুর খননের নামে মাটি তুলে বিক্রয় করছে। যেভাবে ট্রাক্টরগুলো চলাচল করছে, তাতে করে যখন তখন একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা বলে, আমাদের ব্যক্তিগত জমিতে মাটি কাটছি, তোমাদের কী?’

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে কেউ মাটি কাটতে পারবে না। যদি কেউ কেটে থাকে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ভৈরব নদের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়, নির্বিকার প্রশাসন

আপলোড টাইম : ০৯:১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কাবলেরচর এলাকার ভৈরব নদ খননের পর পাড়ে যে মাটি রাখা হয়েছিল, কোনো টেন্ডার ছাড়াই সেই মাটি কেটে বিক্রি এখনো অব্যাহত রয়েছে। অপর দিকে, ধোপাখালী ও সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে পুকুর খননের নামে চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মাটি কাটার হিড়ির। ট্রাক্টরের শব্দে অতিষ্ঠি সাধারণ জনগণ। প্রশাসন মাটি কাটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাটার মালিক নদের তীর থেকে মাটি কাটায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে খননকৃত ভৈরব নদ। জীবননগর উপজেলায় আনুমানিক ২৫টির মতো ইটভাটা আছে। এসব ভাটার এক-তৃতীয়াংশের উৎপাদনের অনুমতিপত্র নেই। তারাই অবৈধভাবে এসব মাটি ভাটায় নিচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কাবলেরচর এলাকায় ভৈরব নদের খননের মাটি মনোহরপুর গ্রামের ফজলু ও বাবলু নামের দুজন মিলে মা-বাবা নামের একটি ইটভাটায় বিক্রি করছেন। নদের তীর থেকে মাটি কাটার কারণে পাড়ের জমিগুলো ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। আর রাতের আধারে মিণ্টু নামের এক ব্যক্তি ধোপাখালী গ্রাম থেকে পুকুর খননের নামে মাটি কেটে বাঁকার বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছেন।

মনোহরপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের করার শর্তে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। নদীর তীর থেকে মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে আমাদের সমস্যা করে। যারা মাটি কেটে বিক্রয় করছে, তারা সবাই প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়।’

সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাত-দিন পুকুর খননের নামে মাটি তুলে বিক্রয় করছে। যেভাবে ট্রাক্টরগুলো চলাচল করছে, তাতে করে যখন তখন একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা বলে, আমাদের ব্যক্তিগত জমিতে মাটি কাটছি, তোমাদের কী?’

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে কেউ মাটি কাটতে পারবে না। যদি কেউ কেটে থাকে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’