ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালালে ব্যবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বলেছেন, ‘আমাদের থেকে কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। কারণ এই সমাজটা তাদের। আমি কিন্তু ঢাকায় গিয়ে বসবাস করতে পারব বা আমি আমার মতো অন্য জায়গায় চলে যাব। আপনাদের যাঁরা ভোট দেবে, যাদের নিয়ে বসবাস করবেন, তাদের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা বেশি। দায়বদ্ধতা আমাদেরও আছে। আমরা সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আমরা জানি পৃথিবীর কোনো দেশই শতভাগ মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আসলে মাদক চোরাচালান শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তবে আমরা যে যার অবস্থান থেকে যতটুকু সহযোগিতা করতে পারি, করব। আমরা মাদকমুক্ত জীবননগর চাই।’

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা, চোরাচালান এবং সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভার সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও এসব কথা বলেন। ইউএনও আরও বলেন, ‘জীবননগরে আমি আসার পর দেখলাম দুটি খুন হলো। একটি উপজেলায় তিন মাসের ব্যবধানে দুটি খুন মানে কিন্তু বড় বিষয়। এর মধ্যে একটা চোরাচালান নিয়ে। অন্যটিও মাদক সংক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ এসময় আইনশৃঙ্খলার মিটিংগুলোই জীবননগর পৌরসভার মেয়র উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউএনও বলেন, একটি ছেলে নিখোঁজ ছিল পাঁচদিন। যদি সিসিটিভি লাগানো থাকত, অবশ্যই কোনো না কোনো ক্যামেরায় ধরা পড়ত। আমাদের সন্তানরাই কিন্তু এখানে বাস করে। পৌরসভা যদি আন্তরিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে, আমি মনে করি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এসময় তিনি পৌর এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান। রোকুনুজ্জামান বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। ঈদের দিন এবং পরের দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ঈদে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় অতিথিরা জীবননগরে মাদক এবং চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আর জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে এবং ইউএনওর বাসভবনের পেছনের আমবাজারে মাদকসেবীদের আনাগোনা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার, সীমান্ত ইউপির চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন, মনোহরপুর ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, হাসাদহ ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, বাঁকা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইদুর  রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ, রিপন হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালালে ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

জীবননগর অফিস:

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বলেছেন, ‘আমাদের থেকে কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। কারণ এই সমাজটা তাদের। আমি কিন্তু ঢাকায় গিয়ে বসবাস করতে পারব বা আমি আমার মতো অন্য জায়গায় চলে যাব। আপনাদের যাঁরা ভোট দেবে, যাদের নিয়ে বসবাস করবেন, তাদের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা বেশি। দায়বদ্ধতা আমাদেরও আছে। আমরা সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আমরা জানি পৃথিবীর কোনো দেশই শতভাগ মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আসলে মাদক চোরাচালান শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তবে আমরা যে যার অবস্থান থেকে যতটুকু সহযোগিতা করতে পারি, করব। আমরা মাদকমুক্ত জীবননগর চাই।’

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা, চোরাচালান এবং সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভার সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও এসব কথা বলেন। ইউএনও আরও বলেন, ‘জীবননগরে আমি আসার পর দেখলাম দুটি খুন হলো। একটি উপজেলায় তিন মাসের ব্যবধানে দুটি খুন মানে কিন্তু বড় বিষয়। এর মধ্যে একটা চোরাচালান নিয়ে। অন্যটিও মাদক সংক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ এসময় আইনশৃঙ্খলার মিটিংগুলোই জীবননগর পৌরসভার মেয়র উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউএনও বলেন, একটি ছেলে নিখোঁজ ছিল পাঁচদিন। যদি সিসিটিভি লাগানো থাকত, অবশ্যই কোনো না কোনো ক্যামেরায় ধরা পড়ত। আমাদের সন্তানরাই কিন্তু এখানে বাস করে। পৌরসভা যদি আন্তরিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে, আমি মনে করি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এসময় তিনি পৌর এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান। রোকুনুজ্জামান বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। ঈদের দিন এবং পরের দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ঈদে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় অতিথিরা জীবননগরে মাদক এবং চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আর জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে এবং ইউএনওর বাসভবনের পেছনের আমবাজারে মাদকসেবীদের আনাগোনা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার, সীমান্ত ইউপির চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন, মনোহরপুর ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, হাসাদহ ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, বাঁকা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইদুর  রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ, রিপন হোসেন প্রমুখ।