ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বিনম্রচিত্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে- এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন:
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

চুয়াডাঙ্গা:
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্য মেধাবী বাঙালিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ ও শহিদ বেদীতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্রচিত্তে স্মরণ করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বলন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, এনএসআই-এর উপ-পরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ।
এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষক-ছাত্র ও সাধারণ মানুষ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহিদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি শত্রুরা যখন বুঝতে পারল তারা পরাজিত হতে বসেছে, ঠিক তখনই তারা ষড়যন্ত্র করল এই দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য। এ দেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যেই তারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল তারা। আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সেই আলোকিত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করি। যখন কোনো শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যের কথা শুনি টেলিভিশনে, তখন বুকটা ফেটে যায়। কত ত্যাগ স্বীকার করে আমরা আজ এই জায়গায়। আমাদেরকে বুঝতে হবে কত কষ্ট করে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে আমাদের ভালোবাসতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম।
এদিকে, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা কৃষক লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বড় বাজার হাসান চত্বরে শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাইসার আহমেদ বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সোহেল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মোমিনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, খাদিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি সেলিম মল্লিক, আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম পাপেল, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তাওরাত, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পিণ্টুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা হলেন জাতির বিবেক। বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা দিয়ে সমাজ-রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করেন। বুদ্ধিজীবী হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য দেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানি হায়েনার দল দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য বাঙালি জাতি যুগ যুগ ধরে তাদেরকে ঘৃণা করবে।’
আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি এবং যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক পরামর্শ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি এক কলঙ্কময় দিন। তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদীচক্র এবং গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় বধ্যভূমিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি যথাযোগ্য মর্যদায় শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, ওসি সাইফুল ইসলাম, পৌর মেয়র হাসান কাদিন গনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু।
পরে একে একে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা কৃষক লীগ, সরকারি কলেজ, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এলজিইডিসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় উপজেলা পুলিশের একটি দল শহিদদের উদ্দেশ্যে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময় হত্যার শিকার শহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ মাওলানা ওমর আলী। মোনাজাত শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিন করা হয়। সকালে দলীয় কর্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকল শহিদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, সদস্য শাহ আলম, সিরাজুল ইসলাম, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সম্পাদক মতিউর রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদ সাইফুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন। এছাড়াও উপস্থিত ছিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিগণ। সন্ধায় উপজেলা প্রশাসন, পৌর সভা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, আলমডাঙ্গা থানাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বধ্যভূমিতে এক হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু মুরালের পাদদেশে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির, উপজেলা বেঙ্গবেইচ কর্মকর্তা আব্দুল কাদির, উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিগবর্গ। অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালাম। আলোচনাসভা শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দামুড়হুদা বাসট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম এখলাছুর রহমানের রিচালনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা:
দর্শনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে দর্শনা সরকারি কলেজের ৩জন শিক্ষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, লতাফত হোসেন জোর্য়াদ্ধার, ও নাসীর উদ্দিনকে পাক-হানাদার বাহিনী কলেজ থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ মেলেনি। এরপর থেকে প্রতি বছর দর্শনা সরকারি কলেজের উদ্যোগে দিনটি শহিদ বুদ্ধিজিবী দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় কলেজ চত্বরে নির্মিত শহিদ স্মৃতিম্ভভে পুস্পমাল্য অর্পণ ও শপথবাক্য পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে এক আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মফিজুর রহমানের সভপতিত্বে সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাফুজুর রহমান মনজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মো. মোশাররফ হোসেন, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, কলেজের বাংলা প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক হুমায়ন কবির, ছাত্রলীগ নেতা প্রভাত আলম, কামরুল হাসান নোমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকব তোফাজ্জেল হোসেন তপু।

জীবননগর:
জীবননগরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আয়েশা সুলতানা (লাকী), জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক।
এদিকে, সন্ধ্যায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু উন্মুক্ত মঞ্চে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান হাফিজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ইশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্রি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সমাজ সেবা অফিসার জাকির হোসেন মোড়ল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দীন, কাউন্সিলর আবুল কাসেমসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

মুজিবনগর:
মুজিবনগরে নানা আয়োজনে মধ্যদিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস। পরে মুজিবনগর থানার পক্ষে (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী, উপজেলা আনসার ভিডিপি পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এসময় সেখানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে মুজিবনগর উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম মামুনুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী প্রমুখ।

গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ আলোোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার পাশাপাশি রচনা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও ঝিনাইদহ শিশু একাডেমি। কর্মসূচির শুরুতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা পিএএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাইদুল কমির মিণ্টু, পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শৈলকূপা সার্কেল) অমিত কুমার বর্মন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, সাবেক উপাধ্যক্ষ এন এম শাহজালাল, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নিলুফার রহমান। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্ববধানে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আয়ুব হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক।
এছাড়াও ঝিনাইদহে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইদুল করিম মিন্টু’র নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও বিকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। গতকাল সকালে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে ঝিনাইদহ শহরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ, সাধারণ সমম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সাজেদুর রহমান পাপপু, মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, মাহবুবুর রহমান শেখর, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, আলমগীর হোসেন, আবুল বাশার বাঁশি, কামাল উদ্দীন, জাহিদ জোয়ারদার, লোকমান হোসন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কামরুন্নাহার লিজি ও সাধারণ সম্পাদক তহুরা বেগম প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিনম্রচিত্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে- এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

সমীকরণ প্রতিবেদন:
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

চুয়াডাঙ্গা:
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্য মেধাবী বাঙালিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহিদ হাসান চত্বরে শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ ও শহিদ বেদীতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্রচিত্তে স্মরণ করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বলন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, এনএসআই-এর উপ-পরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ।
এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, পেশাজীবী, রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষক-ছাত্র ও সাধারণ মানুষ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহিদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি শত্রুরা যখন বুঝতে পারল তারা পরাজিত হতে বসেছে, ঠিক তখনই তারা ষড়যন্ত্র করল এই দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য। এ দেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যেই তারা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল তারা। আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সেই আলোকিত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করি। যখন কোনো শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যের কথা শুনি টেলিভিশনে, তখন বুকটা ফেটে যায়। কত ত্যাগ স্বীকার করে আমরা আজ এই জায়গায়। আমাদেরকে বুঝতে হবে কত কষ্ট করে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে আমাদের ভালোবাসতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম।
এদিকে, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা কৃষক লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বড় বাজার হাসান চত্বরে শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাইসার আহমেদ বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সোহেল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও মোমিনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, খাদিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি সেলিম মল্লিক, আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজল, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, সাধারণ সম্পাদক শেখ সামি তাপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম পাপেল, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তাওরাত, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পিণ্টুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা হলেন জাতির বিবেক। বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা দিয়ে সমাজ-রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করেন। বুদ্ধিজীবী হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য দেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানি হায়েনার দল দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য বাঙালি জাতি যুগ যুগ ধরে তাদেরকে ঘৃণা করবে।’
আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি এবং যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক পরামর্শ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি এক কলঙ্কময় দিন। তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদীচক্র এবং গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় বধ্যভূমিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি যথাযোগ্য মর্যদায় শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, ওসি সাইফুল ইসলাম, পৌর মেয়র হাসান কাদিন গনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু।
পরে একে একে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা কৃষক লীগ, সরকারি কলেজ, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এলজিইডিসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় উপজেলা পুলিশের একটি দল শহিদদের উদ্দেশ্যে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময় হত্যার শিকার শহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ মাওলানা ওমর আলী। মোনাজাত শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিন করা হয়। সকালে দলীয় কর্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকল শহিদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, সদস্য শাহ আলম, সিরাজুল ইসলাম, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সম্পাদক মতিউর রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদ সাইফুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন। এছাড়াও উপস্থিত ছিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিগণ। সন্ধায় উপজেলা প্রশাসন, পৌর সভা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, আলমডাঙ্গা থানাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বধ্যভূমিতে এক হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২ উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু মুরালের পাদদেশে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির, উপজেলা বেঙ্গবেইচ কর্মকর্তা আব্দুল কাদির, উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিগবর্গ। অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালাম। আলোচনাসভা শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দামুড়হুদা বাসট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম এখলাছুর রহমানের রিচালনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা:
দর্শনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে দর্শনা সরকারি কলেজের ৩জন শিক্ষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, লতাফত হোসেন জোর্য়াদ্ধার, ও নাসীর উদ্দিনকে পাক-হানাদার বাহিনী কলেজ থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাদের আর কোন খোঁজ মেলেনি। এরপর থেকে প্রতি বছর দর্শনা সরকারি কলেজের উদ্যোগে দিনটি শহিদ বুদ্ধিজিবী দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় কলেজ চত্বরে নির্মিত শহিদ স্মৃতিম্ভভে পুস্পমাল্য অর্পণ ও শপথবাক্য পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে এক আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মফিজুর রহমানের সভপতিত্বে সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাফুজুর রহমান মনজু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মো. মোশাররফ হোসেন, পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, কলেজের বাংলা প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক হুমায়ন কবির, ছাত্রলীগ নেতা প্রভাত আলম, কামরুল হাসান নোমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকব তোফাজ্জেল হোসেন তপু।

জীবননগর:
জীবননগরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আয়েশা সুলতানা (লাকী), জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেক।
এদিকে, সন্ধ্যায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু উন্মুক্ত মঞ্চে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান হাফিজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ইশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্রি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সমাজ সেবা অফিসার জাকির হোসেন মোড়ল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দীন, কাউন্সিলর আবুল কাসেমসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

মুজিবনগর:
মুজিবনগরে নানা আয়োজনে মধ্যদিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস। পরে মুজিবনগর থানার পক্ষে (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী, উপজেলা আনসার ভিডিপি পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এসময় সেখানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে মুজিবনগর উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম মামুনুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী প্রমুখ।

গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ আলোোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী খানমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার পাশাপাশি রচনা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও ঝিনাইদহ শিশু একাডেমি। কর্মসূচির শুরুতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা পিএএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাইদুল কমির মিণ্টু, পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শৈলকূপা সার্কেল) অমিত কুমার বর্মন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, সাবেক উপাধ্যক্ষ এন এম শাহজালাল, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নিলুফার রহমান। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্ববধানে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আয়ুব হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক।
এছাড়াও ঝিনাইদহে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইদুল করিম মিন্টু’র নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও বিকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। গতকাল সকালে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে ঝিনাইদহ শহরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ, সাধারণ সমম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সাজেদুর রহমান পাপপু, মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, মাহবুবুর রহমান শেখর, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, আলমগীর হোসেন, আবুল বাশার বাঁশি, কামাল উদ্দীন, জাহিদ জোয়ারদার, লোকমান হোসন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি কামরুন্নাহার লিজি ও সাধারণ সম্পাদক তহুরা বেগম প্রমুখ।