ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বিদ্যালয়ে প্রবেশের পথে বাঁশের বেড়া, যাতায়াতে বিঘ্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার ২৬ নম্বর কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশের পথে বেড়া দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ ও গেটের সামনে মালিকানা জমি থাকায় জমির মালিক রিয়াচ আলী গং বাঁশের বেড়া দেয়ায় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জমি মালিক রিয়াচ আলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রবেশের পথের সামনে আমাদের তিনজনের শরিকানা জমি রয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে প্রত্যেকে ৪ ফুট করে বিদ্যালয়ে রাস্তার জন্য জমি ছেড়ে দিয়েছি। এর মধ্যে বিল্লাল হোসেন গং উক্ত জমিতে ঘর করতে শুরু করলে আমি সার্ভেয়ার নিয়ে জমিটা মাপজোপ করার জন্য বললে তিনি আমার কথার কর্ণপাত না করে ঘর করতে শুরু করেন। আমি গত মঙ্গলবার সার্ভেয়ার নিয়ে মেপে দেখি বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য যে ১২ ফুট রাস্তা আছে, এর মধ্যে ৯ ফুট আমার জমির ভেতরে। ৪ ফুট জমি রাস্তার জন্য রেখে ৫ ফুট জমি বেঁড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছি।’
এ বিষয়ে কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সভাপতি প্রায় একই ভাষাই বলেন, ‘মৌখিকভাবে ১২ ফুট জমি রাস্তার জন্য তারা দিয়েছিল। আমাদের বিদ্যালয়ের নামে কোনো কাগজপত্র নেই, সেহেতু জমির মালিকদের ওপর নির্ভর করছে বিদ্যালয়ে রাস্তার জন্য ১২ ফুট তারা দেবে কি না।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) সাকি সালাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন আমাকে জানিয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা (ভূমি) কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিদ্যালয়ে প্রবেশের পথে বাঁশের বেড়া, যাতায়াতে বিঘ্ন

আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার ২৬ নম্বর কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশের পথে বেড়া দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ ও গেটের সামনে মালিকানা জমি থাকায় জমির মালিক রিয়াচ আলী গং বাঁশের বেড়া দেয়ায় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জমি মালিক রিয়াচ আলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রবেশের পথের সামনে আমাদের তিনজনের শরিকানা জমি রয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে প্রত্যেকে ৪ ফুট করে বিদ্যালয়ে রাস্তার জন্য জমি ছেড়ে দিয়েছি। এর মধ্যে বিল্লাল হোসেন গং উক্ত জমিতে ঘর করতে শুরু করলে আমি সার্ভেয়ার নিয়ে জমিটা মাপজোপ করার জন্য বললে তিনি আমার কথার কর্ণপাত না করে ঘর করতে শুরু করেন। আমি গত মঙ্গলবার সার্ভেয়ার নিয়ে মেপে দেখি বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য যে ১২ ফুট রাস্তা আছে, এর মধ্যে ৯ ফুট আমার জমির ভেতরে। ৪ ফুট জমি রাস্তার জন্য রেখে ৫ ফুট জমি বেঁড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছি।’
এ বিষয়ে কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সভাপতি প্রায় একই ভাষাই বলেন, ‘মৌখিকভাবে ১২ ফুট জমি রাস্তার জন্য তারা দিয়েছিল। আমাদের বিদ্যালয়ের নামে কোনো কাগজপত্র নেই, সেহেতু জমির মালিকদের ওপর নির্ভর করছে বিদ্যালয়ে রাস্তার জন্য ১২ ফুট তারা দেবে কি না।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) সাকি সালাম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন আমাকে জানিয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা (ভূমি) কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’