সমীকরণ প্রতিবেদন: গত রোববার ভোলা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে আব্দুর রহিম নামে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যু ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ তুলে এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ সারাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতার নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা সাহিত্য পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে কিছুদূর গেলেই পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে। পরবর্তীতে সাহিত্য পরিষদের সামনে সমাবেশে মিলিত হয় উপস্থিত নেতা–কর্মীরা।

জেলা ছাত্রদলের ১ নম্বর সহসভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছে। শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপি, ছাত্রদল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে থাকে। আজ সরকার তার সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করতে পুলিশকে দলীয় আদলে ব্যবহার করছে। ভোলায় এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে, সেখানে নির্বিচারে গুলি করতে হবে। শহীদ আব্দুর রহিমের রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। এই হত্যার বিচার একদিন এ দেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ।

জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মাহমুদের উপস্থাপনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি হুমায়ুন কবির আকাশ, সাহাবুদ্দিন আহমেদ বুদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান ও আরিফ আহমেদ শিপ্লব। উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সাইমুম আহমেদ ইকবাল, জমির উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক স্বাধীন শেখ, রাশিদুল ইসলাম, সহ–বৃত্তি ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. রফিক হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা, সদস্যসচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব সাইমুম আরাফাত, সদর উপজেলা ছাত্রদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আমির সোহেল, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সৌরভ ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. রিমন।