ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বিকাশ থেকে দিনমজুরের টাকা উধাও!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: বিকাশ থেকে টাকা উধাও হওয়া এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিত্তশালী থেকে শুরু করে গরীব, দিনমজুরেরাও ছাড় পাচ্ছে না প্রতারক চক্রের হাত থেকে। এবার এমনটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায়।

জানা গেছে, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা কসাই বাজারের নিকট একটি নার্সারিতে দিনমজুরের কাজ করেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের হাতিভাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে তুহিন (১৭)। তার কাছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ০১৮৫৫৩৬৩০০৭ নম্বর থেকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ফোন করে বলে তোমার বোন একই ইউনিয়নের মোক্তারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী নাম হাবিবা খাতুন, সে উপবৃত্তির টাকা হিসেবে ১২শ টাকা তোমার ব্যবহৃত ০১৯৮৪১৬০৫৮৮ পাঠিয়ে দিলাম বলে কেটে দেয়। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একই নম্বর থেকে ফোন করে কথা বলতে বলতে প্রলোভন দেখিয়ে তুহিনের নিজস্ব মোবাইলে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। সে নার্সারির কাজ ফেলে বাজারে এসে তুহিনের ব্যবহৃত ০১৯৮৪১৬০৫৮৮ নম্বরে ১৫ হাজার বিকাশ করলে ২-৩ মিনিটের মধ্যে টাকা হ্যাক করে নেয়। এর পাঁচ মিনিট পরে দিনমজুর তুহিন উক্ত নম্বরে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পায়।

এ ব্যপারে রহিদুল ও রবিউল হক নামের আরা দুজন ভুক্তোভোগী জানান, কাস্টমার কেয়ারেগুলোতে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই ক্ষোভে গালাগালি দিয়ে নিজের মনকে সান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনকারী ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে উধাও হচ্ছে মোবাইল অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ।

একজন বিকাশ এজেন্ট জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর দূর্বলতার কারণে হরহামেশাই এমন টাকা উধাও ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও ব্যস্ত সময়ে চোরেরা ফেক ম্যাসেজ দিয়ে এজেন্টদের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ধরা পড়লে পিছন থেকে আরেকজন টাকা পাঠিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। এমন ঘটনা বাজারের বেশ কয়েকটি এজেন্টদের সাথে ঘটেছে। বিকাশের এমন দূর্বল সিস্টেমের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য লাভে অধিক অর্থ লেনদেনে ধরা খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বিকাশের ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিকাশ থেকে দিনমজুরের টাকা উধাও!

আপলোড টাইম : ০২:০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: বিকাশ থেকে টাকা উধাও হওয়া এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিত্তশালী থেকে শুরু করে গরীব, দিনমজুরেরাও ছাড় পাচ্ছে না প্রতারক চক্রের হাত থেকে। এবার এমনটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায়।

জানা গেছে, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা কসাই বাজারের নিকট একটি নার্সারিতে দিনমজুরের কাজ করেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের হাতিভাঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে তুহিন (১৭)। তার কাছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ০১৮৫৫৩৬৩০০৭ নম্বর থেকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ফোন করে বলে তোমার বোন একই ইউনিয়নের মোক্তারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী নাম হাবিবা খাতুন, সে উপবৃত্তির টাকা হিসেবে ১২শ টাকা তোমার ব্যবহৃত ০১৯৮৪১৬০৫৮৮ পাঠিয়ে দিলাম বলে কেটে দেয়। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একই নম্বর থেকে ফোন করে কথা বলতে বলতে প্রলোভন দেখিয়ে তুহিনের নিজস্ব মোবাইলে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। সে নার্সারির কাজ ফেলে বাজারে এসে তুহিনের ব্যবহৃত ০১৯৮৪১৬০৫৮৮ নম্বরে ১৫ হাজার বিকাশ করলে ২-৩ মিনিটের মধ্যে টাকা হ্যাক করে নেয়। এর পাঁচ মিনিট পরে দিনমজুর তুহিন উক্ত নম্বরে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পায়।

এ ব্যপারে রহিদুল ও রবিউল হক নামের আরা দুজন ভুক্তোভোগী জানান, কাস্টমার কেয়ারেগুলোতে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই ক্ষোভে গালাগালি দিয়ে নিজের মনকে সান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনকারী ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে উধাও হচ্ছে মোবাইল অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ।

একজন বিকাশ এজেন্ট জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর দূর্বলতার কারণে হরহামেশাই এমন টাকা উধাও ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও ব্যস্ত সময়ে চোরেরা ফেক ম্যাসেজ দিয়ে এজেন্টদের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ধরা পড়লে পিছন থেকে আরেকজন টাকা পাঠিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। এমন ঘটনা বাজারের বেশ কয়েকটি এজেন্টদের সাথে ঘটেছে। বিকাশের এমন দূর্বল সিস্টেমের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য লাভে অধিক অর্থ লেনদেনে ধরা খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বিকাশের ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছে।