ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বিকাশ থেকে এনজিও কর্মীর টাকা উধাও!

প্রতিবেদক, কাপাসডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় এনজিও কর্মীকে প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা দারিদ্র বিমোচন সংস্থার মাঠ কর্মী জলি আরা খাতুনের কাছে গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ফোন করে কথা বলতে বলতে প্রলোভন দেখিয়ে নিজস্ব মোবাইলের বিকাশে থাকা প্রায় ২৩হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পাঁচ মিনিট পরে এনজিও কর্মী জলিআরা খাতুন উক্ত নাম্বারে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পায়। এবিষয়ে দারিদ্র বিমোচন সংস্থার ম্যানেজার বলেন, যা হবার তা হয়ে গেছে। হা হুতাশ করে কোন লাভ নেই। থানায় জিডি করা হবে।

ভূক্তোভুগী রহিদুল ও মনি জানান, অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না কাস্টমার কেয়ারে গুলোতে। তাই ক্ষোভে গালাগালি দিয়ে নিজের মনকে শান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনকারী ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে উধাও হচ্ছে সাধারণ মানুষের একাউন্টে থাকা টাকা।

এ ব্যাপারে একজন বিকাশ এজেন্টে জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর দূর্বলতার কারণে হর হামেশাই এমন টাকা উধাও ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ব্যস্ত সময়ে চোরেরা ফেক ম্যাসেজ দিয়ে এজেন্টদের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ধরা পড়লে পিছন থেকে আরেকজন টাকা পাঠিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। এমন ঘটনা বাজারের বেশ কয়েকটি এজেন্টদের সাথে ঘটেছে। বিকাশের এমন দূর্বল সিস্টেমের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য লাভে অধিক অর্থ লেনদেনে ধরা খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বিকাশের ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইদানিং বিকাশ এ্যাপ থেকে টাকা গায়েবের ঘটনা প্রায়-ই শুনতে পাচ্ছি। লোভনীয় অফার, বৃত্তির টাকা, ট্রানজেশনে ফি কম কাটবে, লটারি পাওয়া, বিকাশের সমস্যা দেখিয়ে পিন চাওয়া, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পিন বা টোকেন গেছে ইত্যাদি বলে বিকাশ পিন হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। যারা ফাঁদে পড়ে, খোয়া যায় তাদের অর্থ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিকাশ থেকে এনজিও কর্মীর টাকা উধাও!

আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় এনজিও কর্মীকে প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা দারিদ্র বিমোচন সংস্থার মাঠ কর্মী জলি আরা খাতুনের কাছে গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ফোন করে কথা বলতে বলতে প্রলোভন দেখিয়ে নিজস্ব মোবাইলের বিকাশে থাকা প্রায় ২৩হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পাঁচ মিনিট পরে এনজিও কর্মী জলিআরা খাতুন উক্ত নাম্বারে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পায়। এবিষয়ে দারিদ্র বিমোচন সংস্থার ম্যানেজার বলেন, যা হবার তা হয়ে গেছে। হা হুতাশ করে কোন লাভ নেই। থানায় জিডি করা হবে।

ভূক্তোভুগী রহিদুল ও মনি জানান, অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয় না কাস্টমার কেয়ারে গুলোতে। তাই ক্ষোভে গালাগালি দিয়ে নিজের মনকে শান্তনা দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনকারী ডিজিটাল মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটির কারণে উধাও হচ্ছে সাধারণ মানুষের একাউন্টে থাকা টাকা।

এ ব্যাপারে একজন বিকাশ এজেন্টে জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর দূর্বলতার কারণে হর হামেশাই এমন টাকা উধাও ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ব্যস্ত সময়ে চোরেরা ফেক ম্যাসেজ দিয়ে এজেন্টদের কাছে টাকা চেয়ে বসে। ধরা পড়লে পিছন থেকে আরেকজন টাকা পাঠিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে। এমন ঘটনা বাজারের বেশ কয়েকটি এজেন্টদের সাথে ঘটেছে। বিকাশের এমন দূর্বল সিস্টেমের কারণে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য লাভে অধিক অর্থ লেনদেনে ধরা খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বিকাশের ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইদানিং বিকাশ এ্যাপ থেকে টাকা গায়েবের ঘটনা প্রায়-ই শুনতে পাচ্ছি। লোভনীয় অফার, বৃত্তির টাকা, ট্রানজেশনে ফি কম কাটবে, লটারি পাওয়া, বিকাশের সমস্যা দেখিয়ে পিন চাওয়া, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পিন বা টোকেন গেছে ইত্যাদি বলে বিকাশ পিন হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। যারা ফাঁদে পড়ে, খোয়া যায় তাদের অর্থ।