ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

বারোমাসি থাই কদবেল চাষে সফল শাকিব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বারোমাসি কদবেল চাষ। জীববনগরে বারোমাসি কদবেল বাগানে পাঁকা-কাঁচা ফলে থোকায় থোকায় ভরে গেছে গোটা বাগান। ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম ৩৩ শতাংশ জমিতে গড়ে ওঠে এই বারোমাসি কদবেল বাগান। গাছ পাঁকা কদবেল খেতে বেশ সুস্বাদু। জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে বারোমাসি কদবেল চাষ শুরু করেন ইউনিয়নের নিধিকুণ্ডু গ্রামের বদরুজ্জামান খানের ছেলে কলেজছাত্র শাকিব খান।

শাকিব খান বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১৯ সালের দিকে ৩৩ শতাংশ জমিতে বারোমাসি থাই কদবেল ফলের চাষ শুরু করি। বর্তমানে আমি কমলা লেবু, ড্রাগন, পেয়ারাসহ বেশ কয়েকটি ফলের চাষ করছি। বারোমাসি থাই কদবেল চাষ অনেক লাভজনক ফল। অন্যান্য চাষের তুলনায় এ চাষে খরচ নেই বললেই চলে। চারা রোপনের সময় একটু খরচ হয় আমি একটি হর্টিকালচার থেকে প্রতিটি চারা ১শ টাকা দরে ক্রয় করি। ৩৩ শতাংশ জমিতে আমার চারা লেগেছে ৮০টি। আমাদের দেশীয় কদবেল গাছ রোপনের ৭-৮ বছর পর গাছে ফল ধরে তাও আবার বছরে একবার। কিন্তু এই বারোমাসি থাই কদবেল গাছের চারা রোপনের ২ বছরের মধ্যে গাছে ফল ধরতে শুরু করে এবং বছরে তিনবার ফল সংগ্রহ করা যায়। বারোমাসি থাই কদবেল অনেক সুস্বাদু। আমার বাগানের উৎপাদিত থাই কদবেল দেশী কদবেলের তুলনায় বড়, যে কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক। বাড়িতে বেকার বসে না থেকে অল্প পরিসরে এমনকি বাড়ির আঙিনায় থাই বারোমাসি কদবেলসহ যেকোনো ফলের চাষ করলে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, অপরদিকে স্বাবলম্বী হতে পারবে তরুণরা।

শাকিব খান জানান, বারোমাসি কদবেল গাছ লাগানোর ২ বছর পর থেকে গাছে ফুল ও আসতে শুরু হয়। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। একটি গাছে ১৪০-১৫০টি ফল ধরে যার পাইকারি বাজার মূল্যে ৩০-৪০ টাকা পিস। বারোমাসি থাই কদবেল দেশীয় কদবেলের চেয়ে বড় হওয়ায় এর চাহিদা বেশি।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামে মাল্টা, কমলা লেবু, ড্রাগন, পেয়ারাসহ নতুন করে চাষ হচ্ছে থাই বারোমাসি কদবেল। এ উপজেলার মাটির উৎপাদিত ফল দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু যার ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ফলের বাজারে এ উপজেলার উৎপাদিত ফলের চাহিদা রয়েছে। জীবননগর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের সবসময় নতুন নতুন চাষের জন্য সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়। চাষের জন্য যেকোনো পরামর্শ নিতে চাইলে কৃষি অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বারোমাসি থাই কদবেল চাষে সফল শাকিব

আপলোড টাইম : ০৩:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বারোমাসি কদবেল চাষ। জীববনগরে বারোমাসি কদবেল বাগানে পাঁকা-কাঁচা ফলে থোকায় থোকায় ভরে গেছে গোটা বাগান। ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম ৩৩ শতাংশ জমিতে গড়ে ওঠে এই বারোমাসি কদবেল বাগান। গাছ পাঁকা কদবেল খেতে বেশ সুস্বাদু। জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে বারোমাসি কদবেল চাষ শুরু করেন ইউনিয়নের নিধিকুণ্ডু গ্রামের বদরুজ্জামান খানের ছেলে কলেজছাত্র শাকিব খান।

শাকিব খান বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১৯ সালের দিকে ৩৩ শতাংশ জমিতে বারোমাসি থাই কদবেল ফলের চাষ শুরু করি। বর্তমানে আমি কমলা লেবু, ড্রাগন, পেয়ারাসহ বেশ কয়েকটি ফলের চাষ করছি। বারোমাসি থাই কদবেল চাষ অনেক লাভজনক ফল। অন্যান্য চাষের তুলনায় এ চাষে খরচ নেই বললেই চলে। চারা রোপনের সময় একটু খরচ হয় আমি একটি হর্টিকালচার থেকে প্রতিটি চারা ১শ টাকা দরে ক্রয় করি। ৩৩ শতাংশ জমিতে আমার চারা লেগেছে ৮০টি। আমাদের দেশীয় কদবেল গাছ রোপনের ৭-৮ বছর পর গাছে ফল ধরে তাও আবার বছরে একবার। কিন্তু এই বারোমাসি থাই কদবেল গাছের চারা রোপনের ২ বছরের মধ্যে গাছে ফল ধরতে শুরু করে এবং বছরে তিনবার ফল সংগ্রহ করা যায়। বারোমাসি থাই কদবেল অনেক সুস্বাদু। আমার বাগানের উৎপাদিত থাই কদবেল দেশী কদবেলের তুলনায় বড়, যে কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক। বাড়িতে বেকার বসে না থেকে অল্প পরিসরে এমনকি বাড়ির আঙিনায় থাই বারোমাসি কদবেলসহ যেকোনো ফলের চাষ করলে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, অপরদিকে স্বাবলম্বী হতে পারবে তরুণরা।

শাকিব খান জানান, বারোমাসি কদবেল গাছ লাগানোর ২ বছর পর থেকে গাছে ফুল ও আসতে শুরু হয়। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। একটি গাছে ১৪০-১৫০টি ফল ধরে যার পাইকারি বাজার মূল্যে ৩০-৪০ টাকা পিস। বারোমাসি থাই কদবেল দেশীয় কদবেলের চেয়ে বড় হওয়ায় এর চাহিদা বেশি।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামে মাল্টা, কমলা লেবু, ড্রাগন, পেয়ারাসহ নতুন করে চাষ হচ্ছে থাই বারোমাসি কদবেল। এ উপজেলার মাটির উৎপাদিত ফল দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও বেশ সুস্বাদু যার ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ফলের বাজারে এ উপজেলার উৎপাদিত ফলের চাহিদা রয়েছে। জীবননগর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের সবসময় নতুন নতুন চাষের জন্য সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়। চাষের জন্য যেকোনো পরামর্শ নিতে চাইলে কৃষি অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।