ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বাবা-মা ভারতে, দুই সন্তান বাংলাদেশে : বিজিবি-বিএসএফের মানবিক উদ্যোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে বসবাস করেন ডালিমুন খাতুন (৫০) ও তাঁর বোন রাবেয়া খাতুন বসবাস করেন কুতুবপুর গ্রামে। গতকাল শুক্রবার তারা খবর পান ভারতের বসবাসরত অবস্থায় তাঁর মা ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দুই বোনকে দেখার ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবি ও ভারতীয় বিএসএফ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মুন্সিপুর সীমান্তের ৯৩ মেইন পিলারে নিকট ভারতের অভ্যন্তরে মরদেহ রেখে বাংলাদেশী স্বজনদের শেষ দেখার ব্যবস্থা করেন উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। গতকাল সন্ধায় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন (বিজিবির) পরিচালক শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, ভারতীয় সীমান্তে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের দেখতে চান বাংলাদেশে সীমান্তের দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের সববাসরত দুই মেয়ে এমন একটি মানবিক আবেদন আসে। আমারা বিষয়টি ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের জানালে তারাও সম্মতি দেয়। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সীমান্তের ৯৩ নম্বর মেইন পিলারে নিকট এক ঘণ্টার জন্য মৃতের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সৌহাদ্যর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে এ ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনা দু’দেশের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে। সীমান্তে বসবাস করা দু’দেশের মানুষের মধ্যেও বন্ধত্বপূর্ণ মানসিকতা তৈরি করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বাবা-মা ভারতে, দুই সন্তান বাংলাদেশে : বিজিবি-বিএসএফের মানবিক উদ্যোগ

আপলোড টাইম : ০৪:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে বসবাস করেন ডালিমুন খাতুন (৫০) ও তাঁর বোন রাবেয়া খাতুন বসবাস করেন কুতুবপুর গ্রামে। গতকাল শুক্রবার তারা খবর পান ভারতের বসবাসরত অবস্থায় তাঁর মা ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দুই বোনকে দেখার ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবি ও ভারতীয় বিএসএফ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মুন্সিপুর সীমান্তের ৯৩ মেইন পিলারে নিকট ভারতের অভ্যন্তরে মরদেহ রেখে বাংলাদেশী স্বজনদের শেষ দেখার ব্যবস্থা করেন উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। গতকাল সন্ধায় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন (বিজিবির) পরিচালক শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, ভারতীয় সীমান্তে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের দেখতে চান বাংলাদেশে সীমান্তের দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের সববাসরত দুই মেয়ে এমন একটি মানবিক আবেদন আসে। আমারা বিষয়টি ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের জানালে তারাও সম্মতি দেয়। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সীমান্তের ৯৩ নম্বর মেইন পিলারে নিকট এক ঘণ্টার জন্য মৃতের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সৌহাদ্যর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে এ ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনা দু’দেশের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে। সীমান্তে বসবাস করা দু’দেশের মানুষের মধ্যেও বন্ধত্বপূর্ণ মানসিকতা তৈরি করবে।