ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘শারীরিক সম্পর্ক’, বিয়ে না করায় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৫:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন মদনা গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরিক সম্পর্কের পর বিয়ে না করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৩) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ দিনের শারীরিক সম্পর্কের পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করেছেন স¦ামী পরিত্যক্তা ওই নারী। ঘটনার পর থেকে গ্রাম থেকে সটকে পড়েছে অভিযুক্ত মিরাজ। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছেলে পক্ষ মাতব্বরদের সঙ্গে শুরু করেছে দেন-দরবার।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের আখ সেন্টার সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাড়ার কাতার প্রবাসী ইস্রাইল হোসেনের ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৩)। একই এলাকার প্রতিবেশী দিনমুজুরের স্বামী পরিত্যক্তা কন্যার (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। এই প্রেমের সম্পর্ক এক সময় উভয়ের মধ্যে রুপ নেয় শারিরিক সম্পর্কের। ফলে প্রেমিক জুটির মধ্যে শুরু হয় নিয়মিত শারিরিক সম্পর্কের। প্রায় মাস খানেক পূর্বে স্বামী পরিত্যক্তার সাথে শারিরিক সম্পর্কের সময় বে-রশিক জনতার হাতে ধরা পড়ে তারা। এ নিয়ে গ্রাম-জুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। তাতেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক দুরে সরিয়ে রাখতে পারেনি।


এরই একপর্যায় গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে প্রেমিকের ঘরে শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ধরা পড়ে প্রেমিকার বাবা-মায়ের হাতে। এসময় চতুর প্রেমিক মিরাজ তার প্রেমিকার বাবা-মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ভো-দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছুটে আসে লোকজন। এরপর উভয় পক্ষ ঘটনা সমাধানে স্থানীয় মাতব্বদের কাছে ছুটে যান।


অভিযুক্ত মিরাজুল ইসলাম মিরাজের মা জানান, ঘটনাটি নিয়ে মাতব্বরেরা আমার নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবী করেছেন। দাবীকৃত টাকার দিতে রাত পর্যন্ত সময় চাইলে মাতব্বরেরা সময় দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন। সাথে সাথে টাকা না দিলে মেয়ে পক্ষ থানায় যাবে বলে হুমকিও দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় স্বামী পরিত্যক্তা কন্যার পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ৩
এবিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.এইচ.এম লুৎফুল কবীর বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। ছেলে যদি বিয়ে করতে চাই তাহলে মামলা হবে না। আমারা মেয়ের কাছ থেকে ক্লিয়ার পেলে মামলা নিয়ে নেব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘শারীরিক সম্পর্ক’, বিয়ে না করায় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৫:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন মদনা গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরিক সম্পর্কের পর বিয়ে না করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৩) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ দিনের শারীরিক সম্পর্কের পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করেছেন স¦ামী পরিত্যক্তা ওই নারী। ঘটনার পর থেকে গ্রাম থেকে সটকে পড়েছে অভিযুক্ত মিরাজ। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছেলে পক্ষ মাতব্বরদের সঙ্গে শুরু করেছে দেন-দরবার।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের আখ সেন্টার সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাড়ার কাতার প্রবাসী ইস্রাইল হোসেনের ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৩)। একই এলাকার প্রতিবেশী দিনমুজুরের স্বামী পরিত্যক্তা কন্যার (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। এই প্রেমের সম্পর্ক এক সময় উভয়ের মধ্যে রুপ নেয় শারিরিক সম্পর্কের। ফলে প্রেমিক জুটির মধ্যে শুরু হয় নিয়মিত শারিরিক সম্পর্কের। প্রায় মাস খানেক পূর্বে স্বামী পরিত্যক্তার সাথে শারিরিক সম্পর্কের সময় বে-রশিক জনতার হাতে ধরা পড়ে তারা। এ নিয়ে গ্রাম-জুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। তাতেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক দুরে সরিয়ে রাখতে পারেনি।


এরই একপর্যায় গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে প্রেমিকের ঘরে শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ধরা পড়ে প্রেমিকার বাবা-মায়ের হাতে। এসময় চতুর প্রেমিক মিরাজ তার প্রেমিকার বাবা-মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ভো-দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছুটে আসে লোকজন। এরপর উভয় পক্ষ ঘটনা সমাধানে স্থানীয় মাতব্বদের কাছে ছুটে যান।


অভিযুক্ত মিরাজুল ইসলাম মিরাজের মা জানান, ঘটনাটি নিয়ে মাতব্বরেরা আমার নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবী করেছেন। দাবীকৃত টাকার দিতে রাত পর্যন্ত সময় চাইলে মাতব্বরেরা সময় দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন। সাথে সাথে টাকা না দিলে মেয়ে পক্ষ থানায় যাবে বলে হুমকিও দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় স্বামী পরিত্যক্তা কন্যার পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। ৩
এবিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.এইচ.এম লুৎফুল কবীর বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। ছেলে যদি বিয়ে করতে চাই তাহলে মামলা হবে না। আমারা মেয়ের কাছ থেকে ক্লিয়ার পেলে মামলা নিয়ে নেব।