ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

নিজ ঘরে মধ্যবয়সী নারীকে গলাকে*টে হ*ত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় অঞ্জলী রানী বিশ্বাস (৫০) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত অঞ্জলী রানী দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার গণেশ প্রামাণিকের স্ত্রী। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঐশী রানী বিশ্বাস নামের এক স্বজন বলেন, ‘পিসিকে (অঞ্জলী) সকালে ডাক্তারে কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পিসি মোবাইল না ধরার আমি বাড়িতে আসি। এসময় বাইরের গেট ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পিসিকে অনেক ডাকা-ডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেলে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে তাকালে পিসিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। মেঝেতে অনেক রক্ত ছিল। দরজার সামনে একটি ছেলেদের হাতের ব্রেসলেট পড়ে ছিল। সেটি পুলিশকে দিয়েছি।’

নিহত অঞ্জলী রানীর স্বামী গণেশ প্রামাণিক বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমি সেলুনে কাজ করছিলাম। বেশ কয়েকটা ফোন আসলেও হাতে কাজ থাকায় আমি ধরিনি। পরে আমার স্ত্রীর মোবাইল থেকে কল আসলে ঐশী জানায় অঞ্জলী মারা গেছে। তখনি আমি বাড়িতে এসে দেখি, আমার স্ত্রীর গলাকাটা লাশ পড়ে আছে।’ তিনি জানান, ঘরে জমি বায়নার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল। স্ত্রীর কিছু সোনার গহনাসহ বাক্সে থাকা টাকা সেখানে নেই।

অঞ্জলী রানীর ছোট ভাইয়ের ছেলে তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে পিসির সঙ্গে মোবাইলে আমার শেষবার কথা হয়। এসময় তিনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। প্রায় ১ ঘণ্টা হয়ে গেলেও পিসি বের না হলে ১০টা ৪১ মিনিটে পিসিকে আবার কল দিই। কিন্ত তিনি আর ফোন ধরেননি। এসময় আমার বোন ঐশী পিসির বাড়িতে গেলে তার লাশ দেখতে পায়।’

এদিকে, ব্রেসলেট নিজের বলে দাবি করা একই এলাকার বিথি আক্তারের ছেলে পাখিভ্যানচালক শঙ্কুকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান জানান, ‘বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কাজ চলছে। দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় একজন সন্দেহভাজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীর রয়েছে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অঞ্জলী রানী বিশ্বাসের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজারে রাখা ছিল। আজ ময়নাতদন্ত শেষে তাল লাশ সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

নিজ ঘরে মধ্যবয়সী নারীকে গলাকে*টে হ*ত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় অঞ্জলী রানী বিশ্বাস (৫০) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত অঞ্জলী রানী দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার গণেশ প্রামাণিকের স্ত্রী। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঐশী রানী বিশ্বাস নামের এক স্বজন বলেন, ‘পিসিকে (অঞ্জলী) সকালে ডাক্তারে কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পিসি মোবাইল না ধরার আমি বাড়িতে আসি। এসময় বাইরের গেট ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পিসিকে অনেক ডাকা-ডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেলে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে তাকালে পিসিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। মেঝেতে অনেক রক্ত ছিল। দরজার সামনে একটি ছেলেদের হাতের ব্রেসলেট পড়ে ছিল। সেটি পুলিশকে দিয়েছি।’

নিহত অঞ্জলী রানীর স্বামী গণেশ প্রামাণিক বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমি সেলুনে কাজ করছিলাম। বেশ কয়েকটা ফোন আসলেও হাতে কাজ থাকায় আমি ধরিনি। পরে আমার স্ত্রীর মোবাইল থেকে কল আসলে ঐশী জানায় অঞ্জলী মারা গেছে। তখনি আমি বাড়িতে এসে দেখি, আমার স্ত্রীর গলাকাটা লাশ পড়ে আছে।’ তিনি জানান, ঘরে জমি বায়নার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল। স্ত্রীর কিছু সোনার গহনাসহ বাক্সে থাকা টাকা সেখানে নেই।

অঞ্জলী রানীর ছোট ভাইয়ের ছেলে তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে পিসির সঙ্গে মোবাইলে আমার শেষবার কথা হয়। এসময় তিনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। প্রায় ১ ঘণ্টা হয়ে গেলেও পিসি বের না হলে ১০টা ৪১ মিনিটে পিসিকে আবার কল দিই। কিন্ত তিনি আর ফোন ধরেননি। এসময় আমার বোন ঐশী পিসির বাড়িতে গেলে তার লাশ দেখতে পায়।’

এদিকে, ব্রেসলেট নিজের বলে দাবি করা একই এলাকার বিথি আক্তারের ছেলে পাখিভ্যানচালক শঙ্কুকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান জানান, ‘বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কাজ চলছে। দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় একজন সন্দেহভাজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীর রয়েছে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অঞ্জলী রানী বিশ্বাসের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজারে রাখা ছিল। আজ ময়নাতদন্ত শেষে তাল লাশ সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।