ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

নানা অনিয়মে জর্জরিত জীবননগরের গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নাজুক অবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, আগেভাগে লেখা ছুটির আবেদন, সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া, শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজের বাড়ির কাজ করানো, শিক্ষার্থী সংকট থাকলেও হাজিরা খাতায় নাম, স্লিপের টাকা আত্মস্বাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে জীবননগর উপজেলার গ্রামীণ এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সরকারি নিয়মানুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলার কথা থাকলেও গ্রামীণ এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ একেবারেই মানেন না। মানবেই বা কীভাবে বিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করার জন্য যারা সহকারী শিক্ষা অফিসার আছেন, তারাই ঠিকমতো স্কুলগুলো ভিজিট করেন না বলে দাবি অনেক শিক্ষকের। আবার অনেক শিক্ষক আছেন, যারা শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে চলেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নবদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টায় স্কুলে বসে আছে, কিন্তু সহকারী শিক্ষকগণ আসছেন সকাল ৯.৪০ মিনিট থেকে সাড়ে ১০টার সময়। এমনকি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাদশা মিয়া উপজেলা পরিষদে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকায় তিনি আসেন সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। তিনি স্কুলে হাজির খাতায় কোনো রকম স্বাক্ষর করে শিক্ষা অফিসে মিটিংয়ের দোহায় দিয়ে বিদ্যালয় থেকে চলে আসেন। ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে নাজুক।

একই অবস্থা একই ইউনিয়নের উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সেখানে চারজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও থাকেন মাত্র দুজন। এমনকি প্রত্যোক শিক্ষকের নাম লেখা একটি করে ছুটির আবেদন টেবিলের ওপর সাজানো রয়েছে। যাতে কোনো কর্মকর্তা গেলেই অনুপস্থিত শিক্ষকের ছুটির আবেদনটি এগিয়ে দেন ওই স্কুলের শিক্ষকরা। উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের সাইন বোর্ডে তার নামের আগে লম্বা করে ডিগ্রি হিসেবে অ্যাড. ডা. মো. সরোয়ার ইন্তাজ লেখা। অথচ তিনি সপ্তাহে চারদিন স্কুলে থাকেন না। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে তিনি গ্রামে ডাক্তারি করে বেড়ান। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে স্কুলের স্লিপের টাকা আত্মস্বাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কয়েকবার শোকজ করেছেন। শিক্ষক সংকট ও শিক্ষকদের অবহেলায় স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে দিনের পর দিন। দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন কাণ্ডে ভেঙে পড়েছে ওই দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নবদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েল ১ম শ্রেণির এক ছাত্র জানায়, ‘আমাদের হেড স্যার প্রতিদিন দেরি করে স্কুলে আসে। তিনি আমাদের কোনো ক্লাস নেন না, আবার একটু থেকেই চলে যান।’ একই অভিযোগ করে উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী ঈশিতা খাতুন। সে বলে, ‘আমাদের স্কুলের স্যার ও ম্যাডামরা প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসে এবং ম্যাডামরা আমাদের দিয়ে তাদের বাড়ির থালা-বাসন পরিস্কার করে নেয়।’

এ বিষয়ে নবদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাদশা মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি স্কুলে সময় মতো আসি, আমি কোনো দিন ফাঁকি মারি না। আমি জীবননগর থেকে আসি, এ জন্য একটু দেরি হয়।’ উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার ইন্তাজ বলেন, ‘আমার একটু ভুলত্রুটি আছে, তবে আমি সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামানের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে রবিবারের দিন চুয়াডাঙ্গাতে গিয়েছিলাম এবং তার বাড়ি থেকে ছুটির আবেদনে স্বাক্ষর করে এনেছি।’

উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘উমাপুর স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কয়েকবার মিটিং ডাকতে বলেছি। কিন্তু তারা কোনো কথায় শোনেন না। এমনকি স্কুল উন্নয় করার জন্য যে টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার, সে টাকা কী করে কিছুই জানি না। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ফল পায়নি।’

জীবননগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. কামরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্বে থাকা প্রতিটি স্কুল ভিজিট করি। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সেগুলো সমাধান করা হবে। আর ইন্তাজ মাস্টারের নিয়ে একটু সমস্যা আছে, এটা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলেছি। আশা করি এটার সমাধান হবে।’

জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলবে এবং শিক্ষকদের যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। যদি কোনো শিক্ষকের জরুরি কাজ থাকে, তাহলে ছুটি নিয়ে যেতে হবে। তবে যে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, জীবননগর উপজেলার বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক সংকট। শিক্ষকদের অবহেলায় কোমলমতি শিশুরা পিছিয়ে পড়ছে পাঠদান থেকে। তাই অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি অভিভাবক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নানা অনিয়মে জর্জরিত জীবননগরের গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নাজুক অবস্থা

আপলোড টাইম : ১০:৫১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

জীবননগর অফিস:
হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, আগেভাগে লেখা ছুটির আবেদন, সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া, শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজের বাড়ির কাজ করানো, শিক্ষার্থী সংকট থাকলেও হাজিরা খাতায় নাম, স্লিপের টাকা আত্মস্বাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে জীবননগর উপজেলার গ্রামীণ এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সরকারি নিয়মানুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলার কথা থাকলেও গ্রামীণ এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ একেবারেই মানেন না। মানবেই বা কীভাবে বিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করার জন্য যারা সহকারী শিক্ষা অফিসার আছেন, তারাই ঠিকমতো স্কুলগুলো ভিজিট করেন না বলে দাবি অনেক শিক্ষকের। আবার অনেক শিক্ষক আছেন, যারা শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে চলেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নবদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টায় স্কুলে বসে আছে, কিন্তু সহকারী শিক্ষকগণ আসছেন সকাল ৯.৪০ মিনিট থেকে সাড়ে ১০টার সময়। এমনকি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাদশা মিয়া উপজেলা পরিষদে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকায় তিনি আসেন সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। তিনি স্কুলে হাজির খাতায় কোনো রকম স্বাক্ষর করে শিক্ষা অফিসে মিটিংয়ের দোহায় দিয়ে বিদ্যালয় থেকে চলে আসেন। ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে নাজুক।

একই অবস্থা একই ইউনিয়নের উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সেখানে চারজন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও থাকেন মাত্র দুজন। এমনকি প্রত্যোক শিক্ষকের নাম লেখা একটি করে ছুটির আবেদন টেবিলের ওপর সাজানো রয়েছে। যাতে কোনো কর্মকর্তা গেলেই অনুপস্থিত শিক্ষকের ছুটির আবেদনটি এগিয়ে দেন ওই স্কুলের শিক্ষকরা। উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের সাইন বোর্ডে তার নামের আগে লম্বা করে ডিগ্রি হিসেবে অ্যাড. ডা. মো. সরোয়ার ইন্তাজ লেখা। অথচ তিনি সপ্তাহে চারদিন স্কুলে থাকেন না। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে তিনি গ্রামে ডাক্তারি করে বেড়ান। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে স্কুলের স্লিপের টাকা আত্মস্বাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কয়েকবার শোকজ করেছেন। শিক্ষক সংকট ও শিক্ষকদের অবহেলায় স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে দিনের পর দিন। দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন কাণ্ডে ভেঙে পড়েছে ওই দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নবদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েল ১ম শ্রেণির এক ছাত্র জানায়, ‘আমাদের হেড স্যার প্রতিদিন দেরি করে স্কুলে আসে। তিনি আমাদের কোনো ক্লাস নেন না, আবার একটু থেকেই চলে যান।’ একই অভিযোগ করে উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী ঈশিতা খাতুন। সে বলে, ‘আমাদের স্কুলের স্যার ও ম্যাডামরা প্রতিদিন স্কুলে দেরি করে আসে এবং ম্যাডামরা আমাদের দিয়ে তাদের বাড়ির থালা-বাসন পরিস্কার করে নেয়।’

এ বিষয়ে নবদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাদশা মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি স্কুলে সময় মতো আসি, আমি কোনো দিন ফাঁকি মারি না। আমি জীবননগর থেকে আসি, এ জন্য একটু দেরি হয়।’ উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার ইন্তাজ বলেন, ‘আমার একটু ভুলত্রুটি আছে, তবে আমি সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামানের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে রবিবারের দিন চুয়াডাঙ্গাতে গিয়েছিলাম এবং তার বাড়ি থেকে ছুটির আবেদনে স্বাক্ষর করে এনেছি।’

উমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘উমাপুর স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কয়েকবার মিটিং ডাকতে বলেছি। কিন্তু তারা কোনো কথায় শোনেন না। এমনকি স্কুল উন্নয় করার জন্য যে টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার, সে টাকা কী করে কিছুই জানি না। আমি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ফল পায়নি।’

জীবননগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. কামরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্বে থাকা প্রতিটি স্কুল ভিজিট করি। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সেগুলো সমাধান করা হবে। আর ইন্তাজ মাস্টারের নিয়ে একটু সমস্যা আছে, এটা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলেছি। আশা করি এটার সমাধান হবে।’

জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলবে এবং শিক্ষকদের যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। যদি কোনো শিক্ষকের জরুরি কাজ থাকে, তাহলে ছুটি নিয়ে যেতে হবে। তবে যে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, বিষয়টি তদন্ত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, জীবননগর উপজেলার বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক সংকট। শিক্ষকদের অবহেলায় কোমলমতি শিশুরা পিছিয়ে পড়ছে পাঠদান থেকে। তাই অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি অভিভাবক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের।