ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরোধে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রী পান্না বেগম (৫০) নামের এক নারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই স্বামী আহাম্মদ ওরফে ঝড়ুর বিরুদ্ধ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম পান্না বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছি গ্রামের আহাম্মদ ঝড়ুর প্রথম স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত বাদল মণ্ডলের মেয়ে।

        স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘জখম পান্না বেগম দীর্ঘদিন ধরে তার দুই ছেলের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করতেন। গত ৯ মাস পূর্বে তিনি চুয়াডাঙ্গার বহালগাছি গ্রামে নিজ মালিকানাধীন বাড়িতে চলে আসেন। অন্যদিকে, একই বাড়িতে পূর্ব থেকে বসবাস করছিলেন তাঁরই স্বামী আহাম্মদ ওরফে ঝড়ু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী। একই বাড়িতে বসবাস শুরুর পর আহাম্মদ ওরফে ঝড়ুর দুই স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই মধ্যে গতকাল সকালে পান্না বেগম তাঁর স্বামীকে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় পান্না বেগম ও তাঁর স্বামী আহাম্মদ ওরফে ঝড়ুর মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে আহাম্মদ ওরফে ঝড়ু রাগন্নিত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পান্না বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এসময় পান্নার চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও স্থানীয় ব্যক্তিরা ছুটে এলে ঝড়ু পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পান্না বেগমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যতে চিকিৎসক তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পান্না বেগমকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থানে ৭০টির অধিক সেলায় দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগে থেকে চিকিৎসা শেষে তাঁকে হাসাতালের মহিলা সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন বহালগাছি গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার একটি ঘটনা ঘটেছে। সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাটি জানার পরেই ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে, তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরোধে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম!

আপলোড টাইম : ০৩:২৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রী পান্না বেগম (৫০) নামের এক নারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই স্বামী আহাম্মদ ওরফে ঝড়ুর বিরুদ্ধ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম পান্না বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছি গ্রামের আহাম্মদ ঝড়ুর প্রথম স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত বাদল মণ্ডলের মেয়ে।

        স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘জখম পান্না বেগম দীর্ঘদিন ধরে তার দুই ছেলের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করতেন। গত ৯ মাস পূর্বে তিনি চুয়াডাঙ্গার বহালগাছি গ্রামে নিজ মালিকানাধীন বাড়িতে চলে আসেন। অন্যদিকে, একই বাড়িতে পূর্ব থেকে বসবাস করছিলেন তাঁরই স্বামী আহাম্মদ ওরফে ঝড়ু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী। একই বাড়িতে বসবাস শুরুর পর আহাম্মদ ওরফে ঝড়ুর দুই স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই মধ্যে গতকাল সকালে পান্না বেগম তাঁর স্বামীকে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় পান্না বেগম ও তাঁর স্বামী আহাম্মদ ওরফে ঝড়ুর মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে আহাম্মদ ওরফে ঝড়ু রাগন্নিত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পান্না বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এসময় পান্নার চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও স্থানীয় ব্যক্তিরা ছুটে এলে ঝড়ু পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পান্না বেগমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যতে চিকিৎসক তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পান্না বেগমকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থানে ৭০টির অধিক সেলায় দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগে থেকে চিকিৎসা শেষে তাঁকে হাসাতালের মহিলা সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন বহালগাছি গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার একটি ঘটনা ঘটেছে। সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাটি জানার পরেই ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে, তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’