ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

দিলীপ কুমারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ‘ঈগল’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ওপর হামলার ঘটনায় গত শনিবার দিনগত রাত সোয়া তিনটায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রধান নির্বাচনী প্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য দিনের মতো শনিবার দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও সঙ্গীয় নেতা-কর্মীসহ শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পাঁচমাইল নতুন ভাণ্ডারদহ তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা পূর্ব সমন্বিত পরিকল্পনায় বাধাপ্রদান করে। এসময় যুগিরহুদা গ্রামের নিলুয়ার তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ দেয়। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা মাথা সরিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও আসামিরা প্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টা অব্যহত রাখে। কিন্তু স্থানীয় সাক্ষী ও জনতার প্রতিরোধের মুখে আসামিরা ব্যর্থ হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এসময় হঠাৎ মামলার প্রথম আটজন আসামি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এবং ১ নম্বর আসামি কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক অস্ত্র প্রদর্শন করে সকলকে ভীতসন্ত্রস্ত্র করাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া গুলি করার চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়।

পরে মানিক পুনরায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালার মাথায় পিস্তল ধরে এবং মামলার ২ থেকে ৯ নম্বর আসামিরা তাকে জাপটে ধরে অপহরণ করার চেষ্টা করে। এসময় স্বতস্ত্র ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সর্মথকরা এবং মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক আসামিদের প্রতিরোধ করে। ঘটনার সময় ভান্ডারদহ গ্রামের তাহাজ উদ্দীন ছেলে সুজন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীনকে লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। তিনি প্রাণ রক্ষার্থে ডান দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে তার হাতের কবজ্বির উপরিভাগে হাড়ভাঙ্গা জখম হয়।

এসময় অন্য আসামিরা লোহার রড দিয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার কয়েকজন সমর্থককে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের আইসিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যে যার মতো দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তের স্বার্থে সব আসামিদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দিলীপ কুমারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে

আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ‘ঈগল’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ওপর হামলার ঘটনায় গত শনিবার দিনগত রাত সোয়া তিনটায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রধান নির্বাচনী প্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য দিনের মতো শনিবার দিলীপ কুমার আগারওয়ালা ও সঙ্গীয় নেতা-কর্মীসহ শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পাঁচমাইল নতুন ভাণ্ডারদহ তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা পূর্ব সমন্বিত পরিকল্পনায় বাধাপ্রদান করে। এসময় যুগিরহুদা গ্রামের নিলুয়ার তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ দেয়। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা মাথা সরিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও আসামিরা প্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টা অব্যহত রাখে। কিন্তু স্থানীয় সাক্ষী ও জনতার প্রতিরোধের মুখে আসামিরা ব্যর্থ হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এসময় হঠাৎ মামলার প্রথম আটজন আসামি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এবং ১ নম্বর আসামি কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক অস্ত্র প্রদর্শন করে সকলকে ভীতসন্ত্রস্ত্র করাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া গুলি করার চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যর্থ হয়।

পরে মানিক পুনরায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালার মাথায় পিস্তল ধরে এবং মামলার ২ থেকে ৯ নম্বর আসামিরা তাকে জাপটে ধরে অপহরণ করার চেষ্টা করে। এসময় স্বতস্ত্র ‘ঈগল’ প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সর্মথকরা এবং মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক আসামিদের প্রতিরোধ করে। ঘটনার সময় ভান্ডারদহ গ্রামের তাহাজ উদ্দীন ছেলে সুজন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীনকে লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। তিনি প্রাণ রক্ষার্থে ডান দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে তার হাতের কবজ্বির উপরিভাগে হাড়ভাঙ্গা জখম হয়।

এসময় অন্য আসামিরা লোহার রড দিয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার কয়েকজন সমর্থককে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের আইসিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যে যার মতো দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তের স্বার্থে সব আসামিদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।’