ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় আধুনিক চাষাবাদে কৃষকদের জন্য অবদান রেখে চলেছে কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

আওয়াল হোসেন, দর্শনা:
দামুড়হুদা উপজেলায় কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক চাষাবাদে এলাকার কৃষকদের মাঝে এক অন্য রকম অবদান রেখে চলেছেন কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। কৃষক বাঁচাতে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ৭টি ইউনয়ন ও একটি পৌরসভার মাঠে ৮টি বজ্র শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। বজ্রপাত থেকে কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে রক্ষার্থে শেল্টার নির্মাণ ও বিভিন্ন সড়কের পাশে প্রায় ১২ হাজার ৬ শ এবং সারাদেশে ৮৬ হাজার তাল গাছ লাগানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব জিওগ্রাফির অধ্যাপক ড. টমাস ডব্লিউ স্মিডলিনের রিস্ক ফ্যাক্টরস অ্যান্ড সোশ্যাল ভালনাবেবিলিট শীর্ষক গবেষণা মতে বাংলাদেশে বছরে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হয়ে থাকে। প্রতি বছর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটারে এলাকায় ৪০টি বর্জপাত হয়। আর দেশজুড়ে গড়ে ৮৪ লাখ বজ্রপাত হয়ে থাকে। যার গড় ৭০ শতাংশ এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত। বিগত ২০২২ সালে ১১৭ জন, ২০২০ সালে দেশে ২৫৫ জন, ২০২১ সালে ৩৬৩ জন, কৃষকসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। এছাড়াও ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৮ জন বজ্রপাতে মারা গেছে।

বর্জপাতে প্রতি বছর দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে। আর এসব কৃষক বাঁচাতে দামুড়হুদা উপজেলার ৭টি ইউনয়নের মাঠে ৮টি বজ্র শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এসব বজ্র শেল্টার নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যান এবং এলাকার কৃষকরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। এছাড়া কৃষি কর্মকর্তার উদ্যোগে উপজেলার ৪১টি ইটের ভাটায় বর্ষা মৌসুমে পতিত জমি অর্থাৎ যেখানে ইট শুকানোর স্থানে ২৫০ বিঘা ধান চাষ করা হয়েছে। যেখানে ২৫০ বিঘা জমিতে ১ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ২ বার ইটের ভাটায় বর্ষা মৌসুমে ধান চাষ করা হলো। কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ২০১৯ সালে ২৮ অক্টোবর যোগদান করার পর থেকে সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে দামুড়হুদা উপজেলায় উন্নতমানের ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছেন। এসব ফসলের মধ্যে ধান, ভুট্টা, সবজি, রবি ফসলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল বিষেশ করে পেয়ারা, ড্রাগন, মাল্টা, কমলা লেবুসহ নানা ফলের বাগান তৈরি করে বেকার যুবকদের আয়ের উৎস তৈরি হয়েয়ে। এছাড়ও কৃষক ও সার-কীটনাশক ব্যবসায়ীদের সংগঠন করে সার-কীটনাশক সমবন্টনে এলাকার সকল কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিদেশ ফেরত যুবক পাটাচোড়া গ্রামের শাহিনকে (৪০) কলাগাছের সুতা দিয়ে নানা পণ্য তৈরী ও দেশে-বিদেশে প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহন করে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। উজিরপুর গ্রামের মাঠের রাস্তা না থাকায় গ্রামের সকল কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করে প্রায় ১কিলো মিটার রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করেন তিনি। বর্তমানে ঐ গ্রামের কৃষকরা মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলার দুর্ভোগ থেকে রেহায় পেয়েছে। তিনি সারক্ষণ কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাকে নানা ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের ডিজি মো. আব্দুল হামিদ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় আধুনিক চাষাবাদে কৃষকদের জন্য অবদান রেখে চলেছে কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান

আপলোড টাইম : ০৫:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

আওয়াল হোসেন, দর্শনা:
দামুড়হুদা উপজেলায় কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক চাষাবাদে এলাকার কৃষকদের মাঝে এক অন্য রকম অবদান রেখে চলেছেন কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। কৃষক বাঁচাতে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ৭টি ইউনয়ন ও একটি পৌরসভার মাঠে ৮টি বজ্র শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। বজ্রপাত থেকে কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে রক্ষার্থে শেল্টার নির্মাণ ও বিভিন্ন সড়কের পাশে প্রায় ১২ হাজার ৬ শ এবং সারাদেশে ৮৬ হাজার তাল গাছ লাগানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব জিওগ্রাফির অধ্যাপক ড. টমাস ডব্লিউ স্মিডলিনের রিস্ক ফ্যাক্টরস অ্যান্ড সোশ্যাল ভালনাবেবিলিট শীর্ষক গবেষণা মতে বাংলাদেশে বছরে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হয়ে থাকে। প্রতি বছর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটারে এলাকায় ৪০টি বর্জপাত হয়। আর দেশজুড়ে গড়ে ৮৪ লাখ বজ্রপাত হয়ে থাকে। যার গড় ৭০ শতাংশ এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত। বিগত ২০২২ সালে ১১৭ জন, ২০২০ সালে দেশে ২৫৫ জন, ২০২১ সালে ৩৬৩ জন, কৃষকসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। এছাড়াও ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮৭৮ জন বজ্রপাতে মারা গেছে।

বর্জপাতে প্রতি বছর দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে। আর এসব কৃষক বাঁচাতে দামুড়হুদা উপজেলার ৭টি ইউনয়নের মাঠে ৮টি বজ্র শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এসব বজ্র শেল্টার নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যান এবং এলাকার কৃষকরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। এছাড়া কৃষি কর্মকর্তার উদ্যোগে উপজেলার ৪১টি ইটের ভাটায় বর্ষা মৌসুমে পতিত জমি অর্থাৎ যেখানে ইট শুকানোর স্থানে ২৫০ বিঘা ধান চাষ করা হয়েছে। যেখানে ২৫০ বিঘা জমিতে ১ হাজার ৪০৮ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ২ বার ইটের ভাটায় বর্ষা মৌসুমে ধান চাষ করা হলো। কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ২০১৯ সালে ২৮ অক্টোবর যোগদান করার পর থেকে সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে দামুড়হুদা উপজেলায় উন্নতমানের ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছেন। এসব ফসলের মধ্যে ধান, ভুট্টা, সবজি, রবি ফসলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল বিষেশ করে পেয়ারা, ড্রাগন, মাল্টা, কমলা লেবুসহ নানা ফলের বাগান তৈরি করে বেকার যুবকদের আয়ের উৎস তৈরি হয়েয়ে। এছাড়ও কৃষক ও সার-কীটনাশক ব্যবসায়ীদের সংগঠন করে সার-কীটনাশক সমবন্টনে এলাকার সকল কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিদেশ ফেরত যুবক পাটাচোড়া গ্রামের শাহিনকে (৪০) কলাগাছের সুতা দিয়ে নানা পণ্য তৈরী ও দেশে-বিদেশে প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহন করে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। উজিরপুর গ্রামের মাঠের রাস্তা না থাকায় গ্রামের সকল কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করে প্রায় ১কিলো মিটার রাস্তা নির্মাণে সহযোগিতা করেন তিনি। বর্তমানে ঐ গ্রামের কৃষকরা মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলার দুর্ভোগ থেকে রেহায় পেয়েছে। তিনি সারক্ষণ কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাকে নানা ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের ডিজি মো. আব্দুল হামিদ।