ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদার লোকনাথপুরে স্বামী পরিত্যক্ত রিয়া ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা: দামুড়হুদার লোকনাথপুরে রিয়া খাতুন (২৮) নামের স্বামী পরিত্যক্ত এক নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। তবে তাঁর অনাগত সন্তানের পিতা কে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে ওই নারী তাঁর দুলাভাই পিণ্টুর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। এলাকায় গুঞ্জন রটেছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনাগত সন্তানের পিতা তার দুলাভাই পিণ্টু।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের গ্যাঙ কোয়ার্টার পাড়ার মসলেম আলী ওরফে মসলেম খোড়ার মেয়ে রিয়া খাতুনের সাথে ৭-৮ বছর পূর্বে জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ের বাঁকা গ্রামের লাল বারীর ছেলে সোহাগের বিয়ে হয়। বিয়ের ২-৩ বছরের মাথায় তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর পুনরায় তাদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আবারো সংসার শুরু হয়। এরপর গত এক বছর পূর্বে তাদের মধ্যে আবারও বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকেই রিয়ার ঠাই হয় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোতালেবের ছেলে তার দুলাভাই পিণ্টুর বাড়িতে। স্বামী-সংসার ছেড়ে রিয়া খাতুন দুলাভাই পিণ্টুর বাড়িতে বসবাস করা শুরু করেন। এর মধ্যে নতুন করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হয়েই ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন ওই নারী।

এদিকে, অন্তঃসত্ত্বা রিয়ার অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদসহ চলছে মনোমালিন্য। দুলাভাই পিণ্টুর অনৈতিক সম্পর্কের জেরে রিয়া অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় জোর গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়ে রিয়া বলেন, ‘আমার স্বামীর সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে বিচ্ছেদ হয়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে, যা চলমান। তারপর থেকে আমি দুলাভাইয়ের বাড়ি আছি। তবে ৭-৮ মাস পূর্বে আমার স্বামী এখানে এসেছিল এবং এক দিন রাতযাপন করেছিল।’

শ্যালিকা রিয়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে দুলাভাই পিণ্টু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়। শুক্রবারে আমার শাশুড়ী আমার বাড়ি আসেন এবং রিয়া অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় আমার ওপর সন্দেহের তীর ছুড়ে ঝগড়া করে গেছেন।’ এ বিষয়ে ওই নারীর স্বামী সোহাগ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদের পর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই। তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টিও আমার জানা নেই।’ রিয়ার মা আলেয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের গর্ভের অনাগত সন্তানের পিতা কে, সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে হাউলী ইউনিয়নের সদস্য রিকাত আলী জানান, ‘আমি যতটুকু শুনেছি এবং জানি তা হলো পিণ্টু একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং এলাকার আলোচিত ব্যক্তি। সে নিজে মাদক সেবন করে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছে মাদক পৌঁছে দেয়। আর তার শ্যালিকা রিয়ার অনাগত সন্তানের পিতা সে নিজেই হয়ত হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদার লোকনাথপুরে স্বামী পরিত্যক্ত রিয়া ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা: দামুড়হুদার লোকনাথপুরে রিয়া খাতুন (২৮) নামের স্বামী পরিত্যক্ত এক নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। তবে তাঁর অনাগত সন্তানের পিতা কে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে ওই নারী তাঁর দুলাভাই পিণ্টুর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। এলাকায় গুঞ্জন রটেছে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনাগত সন্তানের পিতা তার দুলাভাই পিণ্টু।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের গ্যাঙ কোয়ার্টার পাড়ার মসলেম আলী ওরফে মসলেম খোড়ার মেয়ে রিয়া খাতুনের সাথে ৭-৮ বছর পূর্বে জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ের বাঁকা গ্রামের লাল বারীর ছেলে সোহাগের বিয়ে হয়। বিয়ের ২-৩ বছরের মাথায় তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর পুনরায় তাদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আবারো সংসার শুরু হয়। এরপর গত এক বছর পূর্বে তাদের মধ্যে আবারও বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকেই রিয়ার ঠাই হয় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোতালেবের ছেলে তার দুলাভাই পিণ্টুর বাড়িতে। স্বামী-সংসার ছেড়ে রিয়া খাতুন দুলাভাই পিণ্টুর বাড়িতে বসবাস করা শুরু করেন। এর মধ্যে নতুন করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হয়েই ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন ওই নারী।

এদিকে, অন্তঃসত্ত্বা রিয়ার অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদসহ চলছে মনোমালিন্য। দুলাভাই পিণ্টুর অনৈতিক সম্পর্কের জেরে রিয়া অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় জোর গুঞ্জন উঠেছে। এ বিষয়ে রিয়া বলেন, ‘আমার স্বামীর সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে বিচ্ছেদ হয়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে, যা চলমান। তারপর থেকে আমি দুলাভাইয়ের বাড়ি আছি। তবে ৭-৮ মাস পূর্বে আমার স্বামী এখানে এসেছিল এবং এক দিন রাতযাপন করেছিল।’

শ্যালিকা রিয়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে দুলাভাই পিণ্টু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়। শুক্রবারে আমার শাশুড়ী আমার বাড়ি আসেন এবং রিয়া অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় আমার ওপর সন্দেহের তীর ছুড়ে ঝগড়া করে গেছেন।’ এ বিষয়ে ওই নারীর স্বামী সোহাগ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদের পর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই। তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টিও আমার জানা নেই।’ রিয়ার মা আলেয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের গর্ভের অনাগত সন্তানের পিতা কে, সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে হাউলী ইউনিয়নের সদস্য রিকাত আলী জানান, ‘আমি যতটুকু শুনেছি এবং জানি তা হলো পিণ্টু একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং এলাকার আলোচিত ব্যক্তি। সে নিজে মাদক সেবন করে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছে মাদক পৌঁছে দেয়। আর তার শ্যালিকা রিয়ার অনাগত সন্তানের পিতা সে নিজেই হয়ত হবে।’