ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন চুয়াডাঙ্গার ডিসি ও এসপি

শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

oplus_2

দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, কার্পাসডাঙ্গা মালোপাড়া পূজামণ্ডপ, কুড়ুলগাছি পূজামণ্ডপ, দর্শনা পুরাতন বাজার পূজামণ্ডপ ও কেরুজ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই বাঙালি জাতি। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে এটাই আমাদের বড় পরিচয়। সাম্প্রদায়িক চেতনায় নয়, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা বাংলাদেশ গড়ব। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের সবচেয়ে বড় উৎসব এবং এটা বাঙালি সংস্কৃতির একটা অংশ। সে জন্য সকলে মিলে আমরা এই উৎসব পালন করব, যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এসময় পূজার উৎসব পালনে সকলের সার্বিক খোঁজখবর এবং কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সকল কর্মকর্তাকে নজর রাখার নিদের্শনা দেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এই দুর্গাপূজা। আর এই দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আমরা পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, গ্রাম্য পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রতিটি পূজমণ্ডপে মোতায়েন রাখা হয়েছে। সেই সাথে সেনাবাহিনী টিম সর্বক্ষণিক চুয়াডাঙ্গা জেলা তথা দামুড়হুদা উপজেলার প্রতিটি মন্দির নজর রেখেছেন। সাথে সাথে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। আশা করছি, রোববার মাগরিবের আজানের আগেই প্রতিমা বিসর্জন হবে। আর সে পর্যন্ত কোনো আপত্তিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব। সেই সাথে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, ‘আমার উপজেলায় ২০টি পূজামণ্ডপে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপন হচ্ছে। পূজা উদ্যাপন নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা কাজ করে চলেছে। এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবে এই উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে যেভাবে হিন্দু-মুসলমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করছে, এটা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর, দামুড়হুদা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ, এসআই বাকী বিল্লাহ, চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি মদন কুমার হালদার, সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু কুমার হালদারস প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন চুয়াডাঙ্গার ডিসি ও এসপি

শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে

আপলোড টাইম : ১০:১৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, কার্পাসডাঙ্গা মালোপাড়া পূজামণ্ডপ, কুড়ুলগাছি পূজামণ্ডপ, দর্শনা পুরাতন বাজার পূজামণ্ডপ ও কেরুজ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবাই বাঙালি জাতি। বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে এটাই আমাদের বড় পরিচয়। সাম্প্রদায়িক চেতনায় নয়, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা বাংলাদেশ গড়ব। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের সবচেয়ে বড় উৎসব এবং এটা বাঙালি সংস্কৃতির একটা অংশ। সে জন্য সকলে মিলে আমরা এই উৎসব পালন করব, যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এসময় পূজার উৎসব পালনে সকলের সার্বিক খোঁজখবর এবং কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সকল কর্মকর্তাকে নজর রাখার নিদের্শনা দেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এই দুর্গাপূজা। আর এই দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আমরা পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, গ্রাম্য পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রতিটি পূজমণ্ডপে মোতায়েন রাখা হয়েছে। সেই সাথে সেনাবাহিনী টিম সর্বক্ষণিক চুয়াডাঙ্গা জেলা তথা দামুড়হুদা উপজেলার প্রতিটি মন্দির নজর রেখেছেন। সাথে সাথে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। আশা করছি, রোববার মাগরিবের আজানের আগেই প্রতিমা বিসর্জন হবে। আর সে পর্যন্ত কোনো আপত্তিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব। সেই সাথে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল বলেন, ‘আমার উপজেলায় ২০টি পূজামণ্ডপে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপন হচ্ছে। পূজা উদ্যাপন নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা কাজ করে চলেছে। এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবে এই উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে যেভাবে হিন্দু-মুসলমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করছে, এটা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির, দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর, দামুড়হুদা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুজ্জামান আসাদ, এসআই বাকী বিল্লাহ, চিৎলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি মদন কুমার হালদার, সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু কুমার হালদারস প্রমুখ।