ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনেও মানববন্ধন ও কলমবিরতি পালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:

দামুড়হুদা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার নাফয বিন যামানের ঘুষ-দুর্নীতিসহ দলিল লেখক ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে অসদাচরণের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও কলমবিরতি পালন করেছেন দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা। কয়েকটি ব্যাংক মডগ্রজ দলিল রেজিস্ট্রি হলেও প্রকৃত জমি ক্রেতা ও বিক্রেতা কাউকেই দেখা যায়নি অফিস চত্বরে। তবে সাব রেজিস্ট্রার নাফিয বিন যামানকে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত  অফিস করতে দেখা যায়। এই ঘটনায় জেলা রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামসহ একটি টিম তদন্তে আসেন।

তদন্তকালে তিনি দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নূরুন্নবীর, অফিস সহকারী আব্দুল হান্নান, মহুরার রোজিনা খাতুন, অতিরিক্ত মহুরার মহসিন আলী, আতিকুর রহমানসহ আরও অনান্য নকল নবিশদের   নিকট থেকে পৃথকভাবে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। সর্বশেষে সাব রেজিস্ট্রার নাফিয বিন যামানের লিখিত এবং মৌখিক বক্তব্য নিয়ে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করে অফিস ত্যাগ করেন।

এসময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই সাব রেজিস্ট্রার আসার পর থেকে দলিলের সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। সেই সাথে দলিল লেখক ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ আচারণ করে আসছে। ঘুষ না দিলে জমি রেজিস্ট্রিা করেন না এতে আমরা অতিষ্ঠ  হয়ে উঠেছি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। আপনারা জেনে থাকবেন, নরসিংদী জেলার বেলেব উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার উক্ত নাফিয বিন যামান দলিল লেখকেদের সাথে মতদ্বন্দ্বে প্রত্যাহার হয়ে দামুড়হুদা অফিসে যোগদান করেছেন। একই অপকর্ম এই অফিসে ঘটিয়েছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এই সাব রেজিস্ট্রার বদলি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো কাজ করব না। আমাদের কলমবিরতি অব্যহত থাকবে।’

তবে সাব রেজিস্ট্রার নাফিয বিন যামান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই ধরণের কার্যক্রমের সাথে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাহলে আমার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দ্বিতীয় দিনের মানববন্ধন ও কলমবিরতি কর্মসূচিতে যোগদান করেন দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি বরকত আলী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম নুর আলম লাভলু, সাংগাঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তোতা, অর্থ সম্পাদক শমশের আলী, দপ্তর সম্পাদক  আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক তাহজেত আলী, সদস্য ইউসুব আলী খান ইছা, আবু সাইদ, ওসমান আলী খান, জুলফিকার আলী ভুট্ট, সামসুল আলম, বুল ম-লসহ দলিল লেখক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনেও মানববন্ধন ও কলমবিরতি পালন

আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:

দামুড়হুদা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার নাফয বিন যামানের ঘুষ-দুর্নীতিসহ দলিল লেখক ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে অসদাচরণের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও কলমবিরতি পালন করেছেন দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা। কয়েকটি ব্যাংক মডগ্রজ দলিল রেজিস্ট্রি হলেও প্রকৃত জমি ক্রেতা ও বিক্রেতা কাউকেই দেখা যায়নি অফিস চত্বরে। তবে সাব রেজিস্ট্রার নাফিয বিন যামানকে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত  অফিস করতে দেখা যায়। এই ঘটনায় জেলা রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামসহ একটি টিম তদন্তে আসেন।

তদন্তকালে তিনি দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নূরুন্নবীর, অফিস সহকারী আব্দুল হান্নান, মহুরার রোজিনা খাতুন, অতিরিক্ত মহুরার মহসিন আলী, আতিকুর রহমানসহ আরও অনান্য নকল নবিশদের   নিকট থেকে পৃথকভাবে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। সর্বশেষে সাব রেজিস্ট্রার নাফিয বিন যামানের লিখিত এবং মৌখিক বক্তব্য নিয়ে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করে অফিস ত্যাগ করেন।

এসময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই সাব রেজিস্ট্রার আসার পর থেকে দলিলের সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। সেই সাথে দলিল লেখক ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ আচারণ করে আসছে। ঘুষ না দিলে জমি রেজিস্ট্রিা করেন না এতে আমরা অতিষ্ঠ  হয়ে উঠেছি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। আপনারা জেনে থাকবেন, নরসিংদী জেলার বেলেব উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার উক্ত নাফিয বিন যামান দলিল লেখকেদের সাথে মতদ্বন্দ্বে প্রত্যাহার হয়ে দামুড়হুদা অফিসে যোগদান করেছেন। একই অপকর্ম এই অফিসে ঘটিয়েছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এই সাব রেজিস্ট্রার বদলি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো কাজ করব না। আমাদের কলমবিরতি অব্যহত থাকবে।’

তবে সাব রেজিস্ট্রার নাফিয বিন যামান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই ধরণের কার্যক্রমের সাথে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাহলে আমার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দ্বিতীয় দিনের মানববন্ধন ও কলমবিরতি কর্মসূচিতে যোগদান করেন দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি বরকত আলী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম নুর আলম লাভলু, সাংগাঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তোতা, অর্থ সম্পাদক শমশের আলী, দপ্তর সম্পাদক  আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক তাহজেত আলী, সদস্য ইউসুব আলী খান ইছা, আবু সাইদ, ওসমান আলী খান, জুলফিকার আলী ভুট্ট, সামসুল আলম, বুল ম-লসহ দলিল লেখক সমিতির সদস্যবৃন্দ।