দামুড়হুদায় ফসলি জমি নষ্ট করে বালি উত্তোলন!
- আপলোড টাইম : ১০:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী ২০২২
- / ৩৭ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ফসলি জমি নষ্ট করে বালি উত্তোলন করার উঠেছে নূরুল পেসকার নামরে একজনের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন গ্রামে অল্প দামে ফসলি জমি ক্রয় করে মাটি ও বালি বিক্রয় করে মোটা অংকের মুনাফা অর্জন করাই নাকি এই নূরুল পেসকারের কাজ বলে অনেকে জানিয়েছেন।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের ওহিদ হোসেনের ছেলে শরীফ ওরফে সরু মিয়ার ১বিঘা জমি ক্রয় করেন একই উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের নূরুল পেসকার। পরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ওই জমি থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রয় করেন তিনি। মাটি কাটার খবর জানতে পেরে পাশের জমির মালিকেরা বাধা প্রদান করিলে ৫ ফুট মাটি কেটে আর কাটবো না বলে কথা দিলেও সে কথা রাখেননি এই নুরুল পেসকার। টাকার নেশায় জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জমির মালিকরা পুনরায় নিষেধ করলে তাদেরকে হুমকি-ধামকি প্রদানেরও অভিযোগ নুরুল পেসকারের বিরুদ্ধে।
এদিকে, জমির পাশে গভীর গর্ত করে বালি উত্তোলন করায় পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের কপালে চিন্তার ছাপ পড়ছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে জমির মালিকরা উপজেলা প্রশাসনের দারস্ত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসলিমা আক্তারের নির্দেশে সদর ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার (ভূমি ) ঘটনস্থানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসলিমা আক্তারের নির্দেশে নুরুল পেসকারকে বালি উত্তোলন না করার নির্দেশ প্রদান করেন সদর ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার (ভূমি )। কিন্তু কে শোনো কার কথা? প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করেন তিনি ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি ও বালির ব্যবস্যা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে মোক্তারপুর গ্রামের জাহিদুল বলেন, ‘নূরুল পেসকার যেখান থেকে বালি কাটছে সেখানে আমার বাপ-চাচাদের তিন বিঘা জমি আছে। বালি কাটার ফলে আমাদের জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এই জমিগুলো নষ্ট হয়ে গেলে আমারা পথে বসে যাব। নুরুল পেসকার আমাদের সর্বশান্ত করে ছাড়বে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এবিষয়ে নূরুল পেসকার বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের কাজের জন্য মাটি ও বালি কাটছি। আপনি আমার সঙ্গে দেখা করেন, তখন এবিষয়ে কথা হবে।’
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। মাটি খননকারী ব্যক্তিকে মাটি খননকাজ বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তারপরও শুনছি তিনি মাটি কাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’