ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় জমজ চার শিশুকন্যার জন্য গাভী-বাছুর উপহার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:

দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর গ্রামে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতির জমজ চার কন্যার জন্য একটি বাছুরসহ গাভী ক্রয় করে পরিবারটিকে প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে বাছুরসহ গাভীটিকে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার উদ্যোগে চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করে। গতকাল দুপুরে ডুগডুগি পশুহাট থেকে ১ লাখ ২ হাজার টাকায় বাছুরসহ দুধের গাভীটি ক্রয় করা হয়।

জানা গেছে, বিষ্ণুপুর গ্রামের মাহাবুলের স্ত্রী কল্পনা একসঙ্গে চারটি কন্যাসন্তনের জন্ম দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান দেখতে গিয়ে ওই চার কন্যাশিশুদের নাম দেন- দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। একসঙ্গে চার শিশুর ভরণপোষণ করা দিনমজুর পিতা মহাবুলের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। এমন অবস্থায় পরিবারটির কথা ভেবে ইউএনও রোকসানা মিতা একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১ লাখ ২ হাজার টাকায় ১টি বাছুরসহ গাভী ক্রয় করে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতির কাছে বুঝিয়ে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলাম, অফিস সহকারী দিনার, হাউলী ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলামসহ সাংবাদিকবৃন্দ।

এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার উদ্যোগে উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউএনও রোকসানা মিতার অর্থায়নে চার কন্যার শিশু খাদ্যের জোগান দিতে ডুগডুগি পশুহাট থেকে বাছুরসহ একটি গাভী কিনে দেওয়া হলো। ইউএনও রোকসানা মিতা বলেন, একসঙ্গে চার কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় দরিদ্র পরিবারটির কথা ভেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় পরিবারটির পাশে আছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় জমজ চার শিশুকন্যার জন্য গাভী-বাছুর উপহার

আপলোড টাইম : ০৩:২৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:

দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর গ্রামে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতির জমজ চার কন্যার জন্য একটি বাছুরসহ গাভী ক্রয় করে পরিবারটিকে প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে বাছুরসহ গাভীটিকে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার উদ্যোগে চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করে। গতকাল দুপুরে ডুগডুগি পশুহাট থেকে ১ লাখ ২ হাজার টাকায় বাছুরসহ দুধের গাভীটি ক্রয় করা হয়।

জানা গেছে, বিষ্ণুপুর গ্রামের মাহাবুলের স্ত্রী কল্পনা একসঙ্গে চারটি কন্যাসন্তনের জন্ম দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান দেখতে গিয়ে ওই চার কন্যাশিশুদের নাম দেন- দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। একসঙ্গে চার শিশুর ভরণপোষণ করা দিনমজুর পিতা মহাবুলের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। এমন অবস্থায় পরিবারটির কথা ভেবে ইউএনও রোকসানা মিতা একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১ লাখ ২ হাজার টাকায় ১টি বাছুরসহ গাভী ক্রয় করে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতির কাছে বুঝিয়ে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলাম, অফিস সহকারী দিনার, হাউলী ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলামসহ সাংবাদিকবৃন্দ।

এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতার উদ্যোগে উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউএনও রোকসানা মিতার অর্থায়নে চার কন্যার শিশু খাদ্যের জোগান দিতে ডুগডুগি পশুহাট থেকে বাছুরসহ একটি গাভী কিনে দেওয়া হলো। ইউএনও রোকসানা মিতা বলেন, একসঙ্গে চার কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় দরিদ্র পরিবারটির কথা ভেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় পরিবারটির পাশে আছি।