ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনায় প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম করল মাদক ব্যবসায়ী!

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ৯ মামলার আসামি আলমগীরের বটির আঘাতে প্রতিবেশী আরাফাত (৪৫) নামের এক ব্যক্তি রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। গুরুতর আহত আরাফাত ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের ৪ রাস্তার মোড় নামক স্থানের একটি চায়ের দোকানে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আরাফাত বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় একই গ্রামে ফরজ আলীর ছেলে আলমগীর মাদক সেবন করে কোনো কথা না বলেই প্রতিবেশী হাবিবুরের ছেলে আরাফাত হোসেনকে পিছন দিক থেকে ধারালো বটি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এসময় ধারালো বটির আঘাতে আরাফাত গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও আলমগীর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে। এসময় স্থানীয়রা আরাফাত হোসেনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেয়। চিকিৎসকের পরমর্শে তাঁকে পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েকদিন পূর্বে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের যুব উন্নয়ন সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে আরাফাত চেয়ারে বসে অনুষ্ঠান দেখছিলেন। এসময় আলমগীর মাদক সেবন করে ঘর জামাইয়ের ছেলে চেয়ারে বসেছে বলতে বলতে রাগান্বিত হয়ে আরাফাতকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। সেই রাগ পুষে রেখে গতকালও আলমগীর মাদক সেবন করে আরাফাত চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া অবস্থায় বটি দিয়ে কোপাতে থাকে।
গ্রামের কয়েকজন জানান, আলমগীর ও তার ছেলে সাগরের বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারিসহ প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে আলমগীরের ছেলে সাগর তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জীবননগরের জনগণের হাতে ধরা পড়ে। পরে ঐ মামলায় সাগর জেলখানায় রয়েছে ও আলমগীর ওই মামলার ২ নম্বর আসামি হিসেবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এবিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইসএম লুৎফুল কবির জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে আসামি আলমগীর দ্রুত পালিয়ে যায়। আসামিকে ধরার জন্য পুলিশ মাঠে রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম করল মাদক ব্যবসায়ী!

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ৯ মামলার আসামি আলমগীরের বটির আঘাতে প্রতিবেশী আরাফাত (৪৫) নামের এক ব্যক্তি রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। গুরুতর আহত আরাফাত ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের ৪ রাস্তার মোড় নামক স্থানের একটি চায়ের দোকানে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আরাফাত বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় একই গ্রামে ফরজ আলীর ছেলে আলমগীর মাদক সেবন করে কোনো কথা না বলেই প্রতিবেশী হাবিবুরের ছেলে আরাফাত হোসেনকে পিছন দিক থেকে ধারালো বটি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এসময় ধারালো বটির আঘাতে আরাফাত গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও আলমগীর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে। এসময় স্থানীয়রা আরাফাত হোসেনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেয়। চিকিৎসকের পরমর্শে তাঁকে পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েকদিন পূর্বে দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের যুব উন্নয়ন সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে আরাফাত চেয়ারে বসে অনুষ্ঠান দেখছিলেন। এসময় আলমগীর মাদক সেবন করে ঘর জামাইয়ের ছেলে চেয়ারে বসেছে বলতে বলতে রাগান্বিত হয়ে আরাফাতকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। সেই রাগ পুষে রেখে গতকালও আলমগীর মাদক সেবন করে আরাফাত চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া অবস্থায় বটি দিয়ে কোপাতে থাকে।
গ্রামের কয়েকজন জানান, আলমগীর ও তার ছেলে সাগরের বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারিসহ প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে আলমগীরের ছেলে সাগর তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় জীবননগরের জনগণের হাতে ধরা পড়ে। পরে ঐ মামলায় সাগর জেলখানায় রয়েছে ও আলমগীর ওই মামলার ২ নম্বর আসামি হিসেবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এবিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইসএম লুৎফুল কবির জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে আসামি আলমগীর দ্রুত পালিয়ে যায়। আসামিকে ধরার জন্য পুলিশ মাঠে রয়েছে।