ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনায় জোরপূর্বক জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩১১ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় এতিমের জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে দর্শনা পৌর এলাকার আজমপুরের মোজাফফর, তার স্ত্রী সেলিনা হাসান ও ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সাদের আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। ঘর নির্মাণ বন্ধে ও নিজের জমি ফেরত পেতে দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান রনি। অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী রনির চাচাতো চাচা, ফুফু ও ফুপা। রনি ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।

রনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়ারিশ সূত্রে আমরা শ্যামপুর ও দক্ষিণ চাঁদপুর মৌজায় ৫৩ শতক জমি পায়। এর মধ্যে তিনি ২৫.৭০ শতাংশ জমি মহসীন আলী ও সেলিনা হাসানের কাছে বিক্রি করা হয়। বাকি ২৭.৩০ শতাংশ জমির মধ্যে ২০ শতাংশ আমাদের দখলে থাকলেও ৭.৩০ শতাংশ জমি সেলিনা হাসান ও আব্দুল মান্নান জোর পূর্বক দখল করে আছে। শুধু তাই নয়, ওয়ারিশ সূত্রে আমার পাওনা জমিতেই তারা পাকা ভবন নির্মাণ কাজ করছেন। যা আমরা একাধিকবার নিষেধ করার সত্ত্বেও আমাদের কথায় কোন তোয়াক্কা না করে দাপট দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোজাফফর হাসান বলেন, ‘রনি আমার এবং আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে সেটা সত্য নয়। ওখানে আমার স্ত্রীর কোনো শরিক জমি নেই। আমাদের যে জমি আছে সেটা আমার ক্রয় করা। আমার ওই জমির দলিল আছে।’

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার এসআই নিতিশ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দর্শনা থানায় উভয় পক্ষের ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি বিবাদী পক্ষ কাগজ পত্র নিয়ে এসেছিলো। তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিকতা পাওয়া যায়। তবে অন্য আরেক বিবাদী পক্ষ না আসায় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় নি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় জোরপূর্বক জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১১:৪১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

দর্শনা অফিস:
দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় এতিমের জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে দর্শনা পৌর এলাকার আজমপুরের মোজাফফর, তার স্ত্রী সেলিনা হাসান ও ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সাদের আলীর ছেলে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। ঘর নির্মাণ বন্ধে ও নিজের জমি ফেরত পেতে দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান রনি। অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী রনির চাচাতো চাচা, ফুফু ও ফুপা। রনি ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।

রনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়ারিশ সূত্রে আমরা শ্যামপুর ও দক্ষিণ চাঁদপুর মৌজায় ৫৩ শতক জমি পায়। এর মধ্যে তিনি ২৫.৭০ শতাংশ জমি মহসীন আলী ও সেলিনা হাসানের কাছে বিক্রি করা হয়। বাকি ২৭.৩০ শতাংশ জমির মধ্যে ২০ শতাংশ আমাদের দখলে থাকলেও ৭.৩০ শতাংশ জমি সেলিনা হাসান ও আব্দুল মান্নান জোর পূর্বক দখল করে আছে। শুধু তাই নয়, ওয়ারিশ সূত্রে আমার পাওনা জমিতেই তারা পাকা ভবন নির্মাণ কাজ করছেন। যা আমরা একাধিকবার নিষেধ করার সত্ত্বেও আমাদের কথায় কোন তোয়াক্কা না করে দাপট দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোজাফফর হাসান বলেন, ‘রনি আমার এবং আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে সেটা সত্য নয়। ওখানে আমার স্ত্রীর কোনো শরিক জমি নেই। আমাদের যে জমি আছে সেটা আমার ক্রয় করা। আমার ওই জমির দলিল আছে।’

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার এসআই নিতিশ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দর্শনা থানায় উভয় পক্ষের ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি বিবাদী পক্ষ কাগজ পত্র নিয়ে এসেছিলো। তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিকতা পাওয়া যায়। তবে অন্য আরেক বিবাদী পক্ষ না আসায় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় নি।’