ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনায় ভাংড়ী ব্যবসায়ী আক্কাসের ২য় স্ত্রীর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রথম স্ত্রী সন্তানের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:

দর্শনায় ভাংড়ী ব্যবসায়ী আক্কাসের ছোট স্ত্রীর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রথম স্ত্রী সন্তান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। আক্কাস আলীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রথম স্ত্রী সন্তান ঘরে রেখে পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জননীকে বিবাহ করে আমার পিতা আক্কাস আলী। এরপর আমরা সকলে একই বাড়িতে পৃথকভাবে বসবাস করি। তবে আমার মা টিনের ছাউনী দেওয়া সেমি পাকা ঘরে আমাদেরকে নিয়ে খুব কষ্টে সংসার করলেও আমার পিতা তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের নিয়ে একই স্থানের মার্কেটের তৃতীয় তলায় পাকা ভবনের ঘরে বসবাস শুরু করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমার পিতা আক্কাস আলী আমার মা ও আমাদের তেমন খোঁজ খবর রাখতো না। যার কারণে আমার মা আমাদেরকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন-রাত্রীযাপন করতো। এরই এক পর্যায়ে প্রায় ৪ বছর পূর্বে মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে আমার নানা বাড়ি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন আনন্দবাস গ্রামে চলে যাই এবং সেখানেই বসবাস শুরু করে। এমতাবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে খবর পাই আমার পিতা আক্কাস আলী আত্মহত্যা করেছে।

এমন খবর পেয়ে আমি ও আমার মা দর্শনায় পৌঁছে জানতে পারি আমার পিতার মৃতদেহ রাখা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে। আমার পিতার মৃতদেহ মর্গে পড়ে থাকলে সঙ্গে যাওয়া আমার সৎ মাকে দেখতে পাই না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার সৎ মা (ছোট মা) আমার পিতার লাশ মর্গে ফেলে রেখে ফিরে গেছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার সৎ মা আসমা খাতুন তার স্বামী আক্কাস আলীর মৃত্যুর জন্য মার্কেটের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে দায়ী করে অভিযোগ তোলে। যে কারণে লাশের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয় এবং ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বিকেল ৪টার দিকে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এরপর ওইদিন রাত্র ১০টায় লাশের জানাজা শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডস্থ কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়।

তবে আমার পিতার মৃত্যুর কারণ কৌশলে আমার সৎ মা আসমা খাতুন আমাদের সম্পত্তির কিছু অংশ ইতঃপূর্বে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। আর বাকি অংশটুকু লিখে নিতে আমার ছোট মা ও তার সন্তানসহ সহযোগীরা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। যার কারণে মানসিকভাবে আমার পিতা ভেঙে পড়ে। আমরা আত্মীয়-স্বজন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের মুখে জানতে পারি ৪-৫ দিন পূর্ব থেকে আমার পিতার জমি লিখে দিতে সৎ মাসহ তার গঙেরা বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগসহ মানসিকভাবে টর্চার করে আসছে। এ নিয়ে মৃত্যুর আগের রাতেও তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া এবং হট্টোগল হয়। যে কারণে পরদিন শুক্রবার সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে আমার সৎ মাসহ তার লোকজনের পরিকল্পিতভাবে আমার পিতাকে হত্যা করেছে বলে আমাদের সন্দেহ হয়।

এক পর্যায়ে গত ১৮ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে আমার সৎ মাকে ১ নম্বর আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা দায়েরের পর থেকে আমার সৎ মা আমার বড় ভাইকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিমানবন্দর থানা ও মেহেরপুরের মজিবনগর থানায় পৃথক ২টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে সৎ মা ২৭ জানুয়ারি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে আমাদেরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে। তাদের মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রর হাত থেকে রেহায় পাই তার সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের সার্বিক সহায়তা কামনা করে লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় ভাংড়ী ব্যবসায়ী আক্কাসের ২য় স্ত্রীর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রথম স্ত্রী সন্তানের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৮:০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

দর্শনা অফিস:

দর্শনায় ভাংড়ী ব্যবসায়ী আক্কাসের ছোট স্ত্রীর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রথম স্ত্রী সন্তান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। আক্কাস আলীর প্রথম স্ত্রীর ছেলে আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রথম স্ত্রী সন্তান ঘরে রেখে পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জননীকে বিবাহ করে আমার পিতা আক্কাস আলী। এরপর আমরা সকলে একই বাড়িতে পৃথকভাবে বসবাস করি। তবে আমার মা টিনের ছাউনী দেওয়া সেমি পাকা ঘরে আমাদেরকে নিয়ে খুব কষ্টে সংসার করলেও আমার পিতা তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের নিয়ে একই স্থানের মার্কেটের তৃতীয় তলায় পাকা ভবনের ঘরে বসবাস শুরু করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আমার পিতা আক্কাস আলী আমার মা ও আমাদের তেমন খোঁজ খবর রাখতো না। যার কারণে আমার মা আমাদেরকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন-রাত্রীযাপন করতো। এরই এক পর্যায়ে প্রায় ৪ বছর পূর্বে মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে আমার নানা বাড়ি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন আনন্দবাস গ্রামে চলে যাই এবং সেখানেই বসবাস শুরু করে। এমতাবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে খবর পাই আমার পিতা আক্কাস আলী আত্মহত্যা করেছে।

এমন খবর পেয়ে আমি ও আমার মা দর্শনায় পৌঁছে জানতে পারি আমার পিতার মৃতদেহ রাখা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে। আমার পিতার মৃতদেহ মর্গে পড়ে থাকলে সঙ্গে যাওয়া আমার সৎ মাকে দেখতে পাই না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার সৎ মা (ছোট মা) আমার পিতার লাশ মর্গে ফেলে রেখে ফিরে গেছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার সৎ মা আসমা খাতুন তার স্বামী আক্কাস আলীর মৃত্যুর জন্য মার্কেটের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে দায়ী করে অভিযোগ তোলে। যে কারণে লাশের ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয় এবং ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বিকেল ৪টার দিকে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এরপর ওইদিন রাত্র ১০টায় লাশের জানাজা শেষে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডস্থ কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়।

তবে আমার পিতার মৃত্যুর কারণ কৌশলে আমার সৎ মা আসমা খাতুন আমাদের সম্পত্তির কিছু অংশ ইতঃপূর্বে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। আর বাকি অংশটুকু লিখে নিতে আমার ছোট মা ও তার সন্তানসহ সহযোগীরা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। যার কারণে মানসিকভাবে আমার পিতা ভেঙে পড়ে। আমরা আত্মীয়-স্বজন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের মুখে জানতে পারি ৪-৫ দিন পূর্ব থেকে আমার পিতার জমি লিখে দিতে সৎ মাসহ তার গঙেরা বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগসহ মানসিকভাবে টর্চার করে আসছে। এ নিয়ে মৃত্যুর আগের রাতেও তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া এবং হট্টোগল হয়। যে কারণে পরদিন শুক্রবার সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে আমার সৎ মাসহ তার লোকজনের পরিকল্পিতভাবে আমার পিতাকে হত্যা করেছে বলে আমাদের সন্দেহ হয়।

এক পর্যায়ে গত ১৮ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে আমার সৎ মাকে ১ নম্বর আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা দায়েরের পর থেকে আমার সৎ মা আমার বড় ভাইকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিমানবন্দর থানা ও মেহেরপুরের মজিবনগর থানায় পৃথক ২টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে সৎ মা ২৭ জানুয়ারি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে আমাদেরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে। তাদের মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রর হাত থেকে রেহায় পাই তার সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের সার্বিক সহায়তা কামনা করে লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।