ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

তিতুদহে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রচরণা কার্যক্রম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২০:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, তিতুদহ: চুয়াডাঙ্গা জেলার তিতুদহ ইউনিয়নে পাখির গ্রাম হিসেবে ইতঃমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে ৬২ নম্বর আড়িয়া গ্রাম। আর এর পিছনে রয়েছেন পাখিপ্রেমী শাহিন সরকারের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিরলসভাবে করে যাওয়া পরিশ্রম। গত কয়েকমাস ধরে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বন্যপ্রাণী শিকারের শতশত অবৈধ ফাঁদ, ঝাল জব্দসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন তিনি। যার ফলে শীতের আগমনে ইতঃমধ্যে তিতুদহের মাঠে ঘাটে পাখিদের মিলনমেলা দেখা দিচ্ছে, যা চোখে পড়ার মতো।

বিভিন্ন এলাকায় বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য সৃষ্টিতে জনসচেতনতায় সকল স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায় তার কার্যক্রম পরিচালনা চালিয়ে আসছেন শাহীন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা জেলার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়শলুয়া বিএম কলেজে, বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজে, বড়শলুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শিক্ষার্থীদের কীভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা ও লিফটের বিতরণ করেন।

এ বিষয়ে পাখিপ্রেমী শাহিন সরকার বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের মধ্যে প্রকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরতে অবশ্যই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এই ধরনের প্রতিষ্ঠান মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া মানুষ গড়ার কারিগর হলো আমাদের শিক্ষাগুরুরা যদি পাখি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরেন, তাহলে আমাদের সমাজকে খুব সহজেই সচেতনত করা যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সমাজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ধর্মীয়ভাবে প্রকৃতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে, আমাদের সমাজ তা সহজেই গ্রহণ করবে।’ উল্লেখ্য, পাখিপ্রেমী শাহিন সরকার ২০১৮ সালে ‘মানবতার জন্য’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যা একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যা অতি অল্প সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তিতুদহে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রচরণা কার্যক্রম

আপলোড টাইম : ১১:২০:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

প্রতিবেদক, তিতুদহ: চুয়াডাঙ্গা জেলার তিতুদহ ইউনিয়নে পাখির গ্রাম হিসেবে ইতঃমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে ৬২ নম্বর আড়িয়া গ্রাম। আর এর পিছনে রয়েছেন পাখিপ্রেমী শাহিন সরকারের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিরলসভাবে করে যাওয়া পরিশ্রম। গত কয়েকমাস ধরে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বন্যপ্রাণী শিকারের শতশত অবৈধ ফাঁদ, ঝাল জব্দসহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন তিনি। যার ফলে শীতের আগমনে ইতঃমধ্যে তিতুদহের মাঠে ঘাটে পাখিদের মিলনমেলা দেখা দিচ্ছে, যা চোখে পড়ার মতো।

বিভিন্ন এলাকায় বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য সৃষ্টিতে জনসচেতনতায় সকল স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায় তার কার্যক্রম পরিচালনা চালিয়ে আসছেন শাহীন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা জেলার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়শলুয়া বিএম কলেজে, বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজে, বড়শলুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শিক্ষার্থীদের কীভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা ও লিফটের বিতরণ করেন।

এ বিষয়ে পাখিপ্রেমী শাহিন সরকার বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের মধ্যে প্রকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরতে অবশ্যই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এই ধরনের প্রতিষ্ঠান মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া মানুষ গড়ার কারিগর হলো আমাদের শিক্ষাগুরুরা যদি পাখি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরেন, তাহলে আমাদের সমাজকে খুব সহজেই সচেতনত করা যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সমাজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ধর্মীয়ভাবে প্রকৃতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে, আমাদের সমাজ তা সহজেই গ্রহণ করবে।’ উল্লেখ্য, পাখিপ্রেমী শাহিন সরকার ২০১৮ সালে ‘মানবতার জন্য’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যা একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যা অতি অল্প সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।