ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

টাকা দিলে কাজ, না দিলে হয়রানি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে জমি খারিজ করে দেওয়ার নামে সেবা প্রত্যাশীর নিকট থেকে ৫ হাজার ২ শ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করায় টাকা ফেরত চাওয়ায় পিয়ন আবুল কাশেমের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাওয়াসহ পিয়ন কাশেমের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের রিকাত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন তার নিজের জমি খারিজ করার জন্য তিন মাস পূর্বে বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। এসময় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত পিয়ন ইসমাইলকে আলাদাভাবে ঢেকে নিয়ে কাজ দ্রুত করে দেওয়ার কথা বলে নগদ ৬ হাজার টাকা খরচ ও মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে ৫ হাজার ২ শ টাকায় রফাদফা করেন। ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র রেডি করে দেওয়ার কথা বললেও তা করে দেননি। পরবর্তীতে ইসমাইল বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেন পিয়ন আবুল কাশেমকে। যা পরবর্তীতে আর দেয়নি।

ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি গরীর মানুষ। ধার-দেনা করে টাকা ম্যানেজ করে আবুল কাশেমকে দিয়েছি। সে নিজে হিজলগাড়ী বাজার থেকে লোকজনের সামনে আমার থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ করে দেয়নি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পিয়ন আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে, তিনি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি দেখা করে চা খাওয়ার কথা বলেন। বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেলিম রেজার বলেন, টাকা ফেরত দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

টাকা দিলে কাজ, না দিলে হয়রানি

আপলোড টাইম : ০৯:১১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে জমি খারিজ করে দেওয়ার নামে সেবা প্রত্যাশীর নিকট থেকে ৫ হাজার ২ শ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করায় টাকা ফেরত চাওয়ায় পিয়ন আবুল কাশেমের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাওয়াসহ পিয়ন কাশেমের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের রিকাত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন তার নিজের জমি খারিজ করার জন্য তিন মাস পূর্বে বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। এসময় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত পিয়ন ইসমাইলকে আলাদাভাবে ঢেকে নিয়ে কাজ দ্রুত করে দেওয়ার কথা বলে নগদ ৬ হাজার টাকা খরচ ও মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে ৫ হাজার ২ শ টাকায় রফাদফা করেন। ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র রেডি করে দেওয়ার কথা বললেও তা করে দেননি। পরবর্তীতে ইসমাইল বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেন পিয়ন আবুল কাশেমকে। যা পরবর্তীতে আর দেয়নি।

ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি গরীর মানুষ। ধার-দেনা করে টাকা ম্যানেজ করে আবুল কাশেমকে দিয়েছি। সে নিজে হিজলগাড়ী বাজার থেকে লোকজনের সামনে আমার থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ করে দেয়নি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পিয়ন আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে, তিনি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি দেখা করে চা খাওয়ার কথা বলেন। বেগমপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেলিম রেজার বলেন, টাকা ফেরত দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলব।