ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ, আদালতে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের পল্লীতে এক বিধবা নারীকে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন ওই নারী। পরে বিয়ের দাবিতে ধর্ষক বিপ্লবের বাড়িতে গেলে পেটে লাথি মেরে ১ মাস ১৭ দিনের ভ্রণ হত্যা করে বিপ্লব। এ ঘটনায় আদালতের দারস্ত হয়েছেন বিধবা ওই নারী। ধর্ষক বিপ্লব ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামের রুজদার মণ্ডলের ছেলে।

ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১৮ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর বিধবা নারী তার এক কন্যাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে একাই থাকেন। এই সুযোগে আসামি বিপ্লব দীর্ঘদিন ধরে বিধবা ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই নারী তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিপ্লব রাতের আধারে বিধবার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই বিধবাকে বিবাহ করবে বলে আশ্বস্ত করেন। এ ব্যাপারে কারো কাছে বিচার চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে গুম করার হুমকি দেয়।

অভিযোগে আরও জানা যায়, বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে একাধিক স্থানে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যার ফলে গত ৬ আগস্ট টেস্ট করলে রিপোর্টে জানতে পারেন তিনি ১ মাস ১৭ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। পরে পেটে বাঁচ্চা আসার কথা বিপ্লবকে বললে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যেতে চান এবং বিবাহের কথা বলে আবারো আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ধর্ষক বিপ্লব গোপনে হলিধানী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক নাবালিকে বিবাহ করেন। বাদীর সাথে বিপ্লবের কোনো যোগাযোগ না হওয়ায় ওই নারী বিপ্লবের বাড়িতে যান সন্তানের পরিচয়ের দাবিতে। তখন বিপ্লব বিধবা ওই নারীকে অস্বীকার করে চড়-থাপ্পড় এবং তলপেটে লাথি মারে। তখন ওই নারী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে একই দিনে শারীরিকভাবে স্বাভাবিক হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। এরপর ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পেটে আঘাত লাগার কারণে গর্ভপাত হয়েছে বলে জানান। বর্তমানে বিয়ের স্বীকৃতি পেতে বিধবা ওই নারী জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার না পাওয়ায় আদালতের দারস্ত হয়েছেন। যার মামলা নম্বর ২৭৬/২২ এনটিসি পিঃ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিপ্লব জানান, ওই নারীর সঙ্গে প্রেম বা কোনো সম্পর্ক ছিল না। সব মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র। বাদী পক্ষের আইনজীবী আশরাফুল আলম জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলা দাখিল হয়েছে। আদালত তদন্তভার পিবিআইকে দিয়েছেন। আশা করি পিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করবেন, যাতে ধর্ষিত ওই নারী বিচার পায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ, আদালতে মামলা

আপলোড টাইম : ০৮:৪৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের পল্লীতে এক বিধবা নারীকে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন ওই নারী। পরে বিয়ের দাবিতে ধর্ষক বিপ্লবের বাড়িতে গেলে পেটে লাথি মেরে ১ মাস ১৭ দিনের ভ্রণ হত্যা করে বিপ্লব। এ ঘটনায় আদালতের দারস্ত হয়েছেন বিধবা ওই নারী। ধর্ষক বিপ্লব ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামের রুজদার মণ্ডলের ছেলে।

ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১৮ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর বিধবা নারী তার এক কন্যাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে একাই থাকেন। এই সুযোগে আসামি বিপ্লব দীর্ঘদিন ধরে বিধবা ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই নারী তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিপ্লব রাতের আধারে বিধবার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই বিধবাকে বিবাহ করবে বলে আশ্বস্ত করেন। এ ব্যাপারে কারো কাছে বিচার চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে গুম করার হুমকি দেয়।

অভিযোগে আরও জানা যায়, বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে একাধিক স্থানে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যার ফলে গত ৬ আগস্ট টেস্ট করলে রিপোর্টে জানতে পারেন তিনি ১ মাস ১৭ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। পরে পেটে বাঁচ্চা আসার কথা বিপ্লবকে বললে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যেতে চান এবং বিবাহের কথা বলে আবারো আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ধর্ষক বিপ্লব গোপনে হলিধানী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক নাবালিকে বিবাহ করেন। বাদীর সাথে বিপ্লবের কোনো যোগাযোগ না হওয়ায় ওই নারী বিপ্লবের বাড়িতে যান সন্তানের পরিচয়ের দাবিতে। তখন বিপ্লব বিধবা ওই নারীকে অস্বীকার করে চড়-থাপ্পড় এবং তলপেটে লাথি মারে। তখন ওই নারী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে একই দিনে শারীরিকভাবে স্বাভাবিক হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। এরপর ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পেটে আঘাত লাগার কারণে গর্ভপাত হয়েছে বলে জানান। বর্তমানে বিয়ের স্বীকৃতি পেতে বিধবা ওই নারী জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার না পাওয়ায় আদালতের দারস্ত হয়েছেন। যার মামলা নম্বর ২৭৬/২২ এনটিসি পিঃ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিপ্লব জানান, ওই নারীর সঙ্গে প্রেম বা কোনো সম্পর্ক ছিল না। সব মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র। বাদী পক্ষের আইনজীবী আশরাফুল আলম জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলা দাখিল হয়েছে। আদালত তদন্তভার পিবিআইকে দিয়েছেন। আশা করি পিবিআই সঠিকভাবে তদন্ত করবেন, যাতে ধর্ষিত ওই নারী বিচার পায়।