ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে ৭৪ দিনেও উদ্ঘাটন হয়নি ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার রহস্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগর বাজারের তরুণ ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার ৭৩ দিন পার হলেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। তাই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে জীবননগরে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জীবননগর বাজারের ব্যবসায়ীদের আয়োজনে বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দিন, সাপ্তাহিক জীবননগর বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শামসুল আলম প্রমুখ।

নিহত তরুণ ব্যবসায়ী আবু সাঈদের বাবা মো. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘আমার সন্তান আজ ৭৪ দিন মারা গেছে। এখনো পুলিশ হত্যার রহস্য বের করতে পারেনি। কী কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করা হলো? কারা করলো? এর কোনো সঠিক তথ্যেই আমরা জানতে পারলাম না। পুলিশ যাদের আটক করেছে, এদের মধ্যে আদৌ কি কেউ জড়িত আছে? সেটাও জানতে পারলাম না। পুলিশের কাছে জানতে চাইলেই বলে, চেষ্টা চলছে, আর কত দিন গেলে আমার সন্তান হত্যার বিচার পাবো?’
মানববন্ধনে জীবননগর পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম এবং জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল বলেন, পার্শ্ববর্তী উপজেলায় সম্প্রতি কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটলো। পুলিশ ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। তবে আবু সাঈদ হত্যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করা গেল না। আমাদের বিশ^াস পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করবে।

আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (মামলার জন্য বিশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হবে। ’ তিনি জানান, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট কয়েকদিনের মধ্যে হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।’

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য কোনো আপডেট নেই। আমরা মামলার আয়ু (তদন্ত কর্মকর্তা) পরিবর্তন করেছি। এ পর্যন্ত এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন হবে। আর না হলে মামলা অন্য বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে।’

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আমরা এখনো ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাইনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।’ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফাতেহ আকরাম এ বিষয়ে তাঁর অফিসে খোঁজ নিতে বলেন। অথবা চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসে নিতে বলেন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের চার দিন পর ব্যবসায়ী আবু সাঈদের (২৭) লাশ ৬ এপ্রিল বেলা দুইটার দিকে জীবননগর উপজেলার আশতলাপাড়ার কোরিয়ান প্রবাসী কবির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আবু সাঈদ জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার রইচ উদ্দিনের ছোট ছেলে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে ৭৪ দিনেও উদ্ঘাটন হয়নি ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার রহস্য

আপলোড টাইম : ০৯:০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

জীবননগর অফিস:
জীবননগর বাজারের তরুণ ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার ৭৩ দিন পার হলেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। তাই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে জীবননগরে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জীবননগর বাজারের ব্যবসায়ীদের আয়োজনে বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দিন, সাপ্তাহিক জীবননগর বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শামসুল আলম প্রমুখ।

নিহত তরুণ ব্যবসায়ী আবু সাঈদের বাবা মো. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘আমার সন্তান আজ ৭৪ দিন মারা গেছে। এখনো পুলিশ হত্যার রহস্য বের করতে পারেনি। কী কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করা হলো? কারা করলো? এর কোনো সঠিক তথ্যেই আমরা জানতে পারলাম না। পুলিশ যাদের আটক করেছে, এদের মধ্যে আদৌ কি কেউ জড়িত আছে? সেটাও জানতে পারলাম না। পুলিশের কাছে জানতে চাইলেই বলে, চেষ্টা চলছে, আর কত দিন গেলে আমার সন্তান হত্যার বিচার পাবো?’
মানববন্ধনে জীবননগর পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম এবং জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল বলেন, পার্শ্ববর্তী উপজেলায় সম্প্রতি কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটলো। পুলিশ ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। তবে আবু সাঈদ হত্যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করা গেল না। আমাদের বিশ^াস পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করবে।

আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (মামলার জন্য বিশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হবে। ’ তিনি জানান, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট কয়েকদিনের মধ্যে হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।’

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য কোনো আপডেট নেই। আমরা মামলার আয়ু (তদন্ত কর্মকর্তা) পরিবর্তন করেছি। এ পর্যন্ত এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন হবে। আর না হলে মামলা অন্য বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে।’

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আমরা এখনো ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাইনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।’ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফাতেহ আকরাম এ বিষয়ে তাঁর অফিসে খোঁজ নিতে বলেন। অথবা চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসে নিতে বলেন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের চার দিন পর ব্যবসায়ী আবু সাঈদের (২৭) লাশ ৬ এপ্রিল বেলা দুইটার দিকে জীবননগর উপজেলার আশতলাপাড়ার কোরিয়ান প্রবাসী কবির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আবু সাঈদ জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার রইচ উদ্দিনের ছোট ছেলে।