ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে মধুর চাক ভাঙতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবননগরে মধুর চাক ভাঙতে যেয়ে গাছ থেকে পড়ে পিয়ারুল (২৩) নামের এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পিয়ারুল জীবননগর উপজেলার ধোপাখালি গ্রামের হঠাৎপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে।

পিয়ারুলের ভগ্নিপতি জহুরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার ভোরে পিয়ারুল পাশের গ্রাম ধোপাখালির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি পাকড়া গাছে উঠে মধুর চাক ভাঙার সময় অসাবধানতাবসত গাছ থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় ও তার একটি পা ভেঙে যায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা গত শনিবার থেকে যথাসাধ্য চিকিৎসা দিলেও গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পিয়ারুলের অবস্থার অবনতি হয় এবং তার মুখ দিয়ে রক্ত-বমি হতে থাকে। এ অবস্থায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করেন।

রোগীর স্বজন জহুরুল ইসলাম আরও জানান, পিয়ারুল একজন দিনমজুর। তার বাবা এবং আমরা সবাই অতিদরিদ্র। পিয়ারুলকে বাইরের হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সবশেষে যখন অ্যাম্বুলেন্সে ঠিক হয়, তখন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আমার ভাই মারা যায়। নিহত পিয়ারুলের স্ত্রী ও ৮ মাস বয়সের এক শিশু সন্তান রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে মধুর চাক ভাঙতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৮:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবননগরে মধুর চাক ভাঙতে যেয়ে গাছ থেকে পড়ে পিয়ারুল (২৩) নামের এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পিয়ারুল জীবননগর উপজেলার ধোপাখালি গ্রামের হঠাৎপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে।

পিয়ারুলের ভগ্নিপতি জহুরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার ভোরে পিয়ারুল পাশের গ্রাম ধোপাখালির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি পাকড়া গাছে উঠে মধুর চাক ভাঙার সময় অসাবধানতাবসত গাছ থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় ও তার একটি পা ভেঙে যায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা গত শনিবার থেকে যথাসাধ্য চিকিৎসা দিলেও গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পিয়ারুলের অবস্থার অবনতি হয় এবং তার মুখ দিয়ে রক্ত-বমি হতে থাকে। এ অবস্থায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করেন।

রোগীর স্বজন জহুরুল ইসলাম আরও জানান, পিয়ারুল একজন দিনমজুর। তার বাবা এবং আমরা সবাই অতিদরিদ্র। পিয়ারুলকে বাইরের হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সবশেষে যখন অ্যাম্বুলেন্সে ঠিক হয়, তখন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আমার ভাই মারা যায়। নিহত পিয়ারুলের স্ত্রী ও ৮ মাস বয়সের এক শিশু সন্তান রয়েছে।