ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগর সীমান্তে তারিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: জীবননগরে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারিককে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জীবননগর থানা পুলিশের অভিযানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আতিয়ারকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেকের নির্দেশে জীবননগর থানার এসআই নাহিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও নিহত তারিক হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি আতিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেন।

এর আগে নিহত তারিকের স্ত্রী জেসমিন খাতুন বাদী হয়ে গ্রামের আতিয়ার, বাবলু, জিয়া, নাহিদসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে জীবননগর থানায় মামলা করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জীবননগর থানা পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযানে হত্যা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি আতিয়ারকে আটক করতে সক্ষম হয়।

নিহত তারিকের স্ত্রী জেসমিন খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীকে আতিয়ার, বাবলু, জিয়া, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে দেয়। আমার স্বামীকে যখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন সে আমাকে বলেছে আতিয়ারদের সাথে তার পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল, এর জের ধরে তারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’

জীবননগন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে জীবননগর উপজেলা সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর সীমান্তের ৬৮ নম্বর মেইন পিলারে কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েকজন মাদককারবারি ভারত থেকে ফেনসিডিল আনার জন্য যায়। এসময় তারা তারিককে দেখতে পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেসমিন বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই আমরা অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার দিনগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তের ৬৮ নম্বর মেইন পিলারের নিকট দোয়াড় মাঠে তারিক হোসেনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় চিৎকার শুনে বিজিবির সদস্যরা তারিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তারিককে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তারিকের জখম গুরুতর হওয়ায় জীবননগর থেকে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে তারিকের মৃত্যু হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর সীমান্তে তারিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

জীবননগর অফিস: জীবননগরে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারিককে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জীবননগর থানা পুলিশের অভিযানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আতিয়ারকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল খালেকের নির্দেশে জীবননগর থানার এসআই নাহিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও নিহত তারিক হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি আতিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেন।

এর আগে নিহত তারিকের স্ত্রী জেসমিন খাতুন বাদী হয়ে গ্রামের আতিয়ার, বাবলু, জিয়া, নাহিদসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে জীবননগর থানায় মামলা করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জীবননগর থানা পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযানে হত্যা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি আতিয়ারকে আটক করতে সক্ষম হয়।

নিহত তারিকের স্ত্রী জেসমিন খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীকে আতিয়ার, বাবলু, জিয়া, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে দেয়। আমার স্বামীকে যখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন সে আমাকে বলেছে আতিয়ারদের সাথে তার পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল, এর জের ধরে তারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’

জীবননগন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে জীবননগর উপজেলা সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর সীমান্তের ৬৮ নম্বর মেইন পিলারে কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েকজন মাদককারবারি ভারত থেকে ফেনসিডিল আনার জন্য যায়। এসময় তারা তারিককে দেখতে পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেসমিন বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই আমরা অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার দিনগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তের ৬৮ নম্বর মেইন পিলারের নিকট দোয়াড় মাঠে তারিক হোসেনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় চিৎকার শুনে বিজিবির সদস্যরা তারিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তারিককে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। তারিকের জখম গুরুতর হওয়ায় জীবননগর থেকে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে তারিকের মৃত্যু হয়।