ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগর বাঁকায় অবৈধভাবে ধানী জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামে ফসলি জমি থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ কৃষিজমির মাটি কাটা নিষেধ এবং প্রতিটি জমিতে চাষ করতে হবে, এক শতক জমিও যাতে পড়ে না থাকে সে বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করলেও তা মানছে না কেউ। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ব্রিক্স ফিল্ডের মোহাম্মদের ছেলে আ. রশিদ, আছান মোড়লের ছেলে মিলন ও মিনার ছেলে আতিয়ার মিলে আওয়াল ইটভাটার পিছনের ধানী জমির মাটি গর্ত করে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। ফলে পাশের জমিগুলো ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জমির মালিক অভিযোগ করে বলেন, ‘বাঁকার রশিদ, মিলন, আতিয়ার যেভাবে কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে, তাতে করে ওই জমিগুলো তো নষ্ট হচ্ছে, একই সঙ্গে ওই জমির পাশের জমিগুলোও ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করতে বললে রশিদ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে, যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।’
এ বিষয়ে রশিদের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি সুটিয়া গ্রামের রফিকের কাছ থেকে মাটি কিনেছি। তার সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছে তার জমি থেকে মাটি কেটে পুকুর করে দিতে হবে। আমি সে হিসেবে তাকে মাটির দাম দিয়েছি।’ এ বিষয়ে রফিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন ছিল, যে কারণে আমি রশিদের কাছে জমির মাটি বিক্রি করেছি। সরকার যে আইন করেছে, এটা আমি জানতাম না। জানলে আমি জমির মাটি বিক্রি করতাম না।’

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘আওয়াল ইটভাটার পেছনে বেশ কয়েকটি স্থানে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে গর্ত করে কয়েকজন বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে বলে শুনেছি। এটা চাষের জন্য চরম ক্ষতিকর, আমরা মাটিকাটা বন্ধ করতে বললেও কেউ শুনতে চায় না। তবে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিলে কৃষি জমিগুলো বাঁচবে।’ জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বললে, ‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষিজমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করা যাবে না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর বাঁকায় অবৈধভাবে ধানী জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০১:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

জীবননগর অফিস:
জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামে ফসলি জমি থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ কৃষিজমির মাটি কাটা নিষেধ এবং প্রতিটি জমিতে চাষ করতে হবে, এক শতক জমিও যাতে পড়ে না থাকে সে বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করলেও তা মানছে না কেউ। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ব্রিক্স ফিল্ডের মোহাম্মদের ছেলে আ. রশিদ, আছান মোড়লের ছেলে মিলন ও মিনার ছেলে আতিয়ার মিলে আওয়াল ইটভাটার পিছনের ধানী জমির মাটি গর্ত করে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। ফলে পাশের জমিগুলো ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জমির মালিক অভিযোগ করে বলেন, ‘বাঁকার রশিদ, মিলন, আতিয়ার যেভাবে কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে, তাতে করে ওই জমিগুলো তো নষ্ট হচ্ছে, একই সঙ্গে ওই জমির পাশের জমিগুলোও ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করতে বললে রশিদ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে, যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।’
এ বিষয়ে রশিদের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি সুটিয়া গ্রামের রফিকের কাছ থেকে মাটি কিনেছি। তার সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছে তার জমি থেকে মাটি কেটে পুকুর করে দিতে হবে। আমি সে হিসেবে তাকে মাটির দাম দিয়েছি।’ এ বিষয়ে রফিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন ছিল, যে কারণে আমি রশিদের কাছে জমির মাটি বিক্রি করেছি। সরকার যে আইন করেছে, এটা আমি জানতাম না। জানলে আমি জমির মাটি বিক্রি করতাম না।’

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘আওয়াল ইটভাটার পেছনে বেশ কয়েকটি স্থানে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে গর্ত করে কয়েকজন বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে বলে শুনেছি। এটা চাষের জন্য চরম ক্ষতিকর, আমরা মাটিকাটা বন্ধ করতে বললেও কেউ শুনতে চায় না। তবে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিলে কৃষি জমিগুলো বাঁচবে।’ জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান বললে, ‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষিজমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করা যাবে না।’