ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় রোগীর হাতের স্বর্ণের বালা পকেটে ভরলেন ইজিবাইক চালক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন এক নারীর হাত থেকে স্বর্ণের বালা খুলে নিয়ে পকেটে ভরে পালাচ্ছিলেন রাজু হোসেন (৩২) নামের এক ইজিবাইক চালক। পেশায় ইজিবাইক চালক হলেও মাঝে মধ্যেই তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগীর জিনিসপত্র চুরি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের লোকজন রোগীর হাতের একটি স্বর্ণের বালা না দেখতে পেয়ে ইজিবাইক চালক রাজুকে আটক করে। পরে তাঁর পকেট থেকে স্বর্ণের বালাটি উদ্ধার করা হয়। এসময় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ টিম রাজুকে আটক করে থাকা হেফাজতে দেয়। আটক রাজু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এতিমখানাপাড়ার বদরুজ্জামানের ছেলে।

ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন জোসনা বেগম বলেন, ‘রোগী রুশিয়া খাতুন সম্পর্কে আমার জা (ভাসুরের স্ত্রী)। সকালে তিনি পড়ে যেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে একটি ইজিবাইকযোগে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ইজিবাইক চালক আমার জা’কে হাসপাতালের ভেতরে নিতে সাহায্যও করে। এরই এক পর্যায়ে সে আমার জায়ের হাত টিপতে থাকে। হাত টেপার এক পর্যায়ে সে হাত থেকে স্বর্ণের বালাটি খুলে পকেটে ভরে নেয়। তখন আমার সন্দেহ হলে দেখি রুশিয়ার হাতের একটি বালা নেই। এসময় আমার চিৎকারে হাসপাতালের লোকজন ইজিবাইক চালককে ধরে ফেললে সে প্যান্টের ভেতরের পকেট থেকে চুরিটি বের করে দেয়।’

সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, ‘রাজু ইজিবাইক চালালেও সে মাঝেমধ্যেই চুরি করে। এর পূর্বেও তাকে চুরির দায়ে হাসপাতাল থেকে ধরা হয়। কিন্তু সেসময় তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। আজ আবার সে হাসপাতাল থেকে চুরির সময় হাতে-নাতে ধরা পড়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ‘রাজু একজন ইজিবাইক চালক। তার ইজিবাইকযোগে হাসপাতালে আসা এক রোগীর হাত থেকে স্বর্ণের চুরি খুলে নিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। রোগীর স্বজনদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আটক রাজুকে থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর হাত থেকে স্বর্ণের চুরি চুরি করে পালানোর সময় হাসপাতাল পুলিশ তাকে আটক করে। আমরা এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় রোগীর হাতের স্বর্ণের বালা পকেটে ভরলেন ইজিবাইক চালক

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন এক নারীর হাত থেকে স্বর্ণের বালা খুলে নিয়ে পকেটে ভরে পালাচ্ছিলেন রাজু হোসেন (৩২) নামের এক ইজিবাইক চালক। পেশায় ইজিবাইক চালক হলেও মাঝে মধ্যেই তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগীর জিনিসপত্র চুরি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের লোকজন রোগীর হাতের একটি স্বর্ণের বালা না দেখতে পেয়ে ইজিবাইক চালক রাজুকে আটক করে। পরে তাঁর পকেট থেকে স্বর্ণের বালাটি উদ্ধার করা হয়। এসময় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ টিম রাজুকে আটক করে থাকা হেফাজতে দেয়। আটক রাজু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এতিমখানাপাড়ার বদরুজ্জামানের ছেলে।

ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন জোসনা বেগম বলেন, ‘রোগী রুশিয়া খাতুন সম্পর্কে আমার জা (ভাসুরের স্ত্রী)। সকালে তিনি পড়ে যেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে একটি ইজিবাইকযোগে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ইজিবাইক চালক আমার জা’কে হাসপাতালের ভেতরে নিতে সাহায্যও করে। এরই এক পর্যায়ে সে আমার জায়ের হাত টিপতে থাকে। হাত টেপার এক পর্যায়ে সে হাত থেকে স্বর্ণের বালাটি খুলে পকেটে ভরে নেয়। তখন আমার সন্দেহ হলে দেখি রুশিয়ার হাতের একটি বালা নেই। এসময় আমার চিৎকারে হাসপাতালের লোকজন ইজিবাইক চালককে ধরে ফেললে সে প্যান্টের ভেতরের পকেট থেকে চুরিটি বের করে দেয়।’

সদর হাপসাতালের জরুরি বিভাগের এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, ‘রাজু ইজিবাইক চালালেও সে মাঝেমধ্যেই চুরি করে। এর পূর্বেও তাকে চুরির দায়ে হাসপাতাল থেকে ধরা হয়। কিন্তু সেসময় তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। আজ আবার সে হাসপাতাল থেকে চুরির সময় হাতে-নাতে ধরা পড়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ‘রাজু একজন ইজিবাইক চালক। তার ইজিবাইকযোগে হাসপাতালে আসা এক রোগীর হাত থেকে স্বর্ণের চুরি খুলে নিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়। রোগীর স্বজনদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আটক রাজুকে থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর হাত থেকে স্বর্ণের চুরি চুরি করে পালানোর সময় হাসপাতাল পুলিশ তাকে আটক করে। আমরা এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’