ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ভরা মৌসুমেও নেই বৃষ্টি, পাট জাগের সমস্যা নিয়ে মাঠে কৃষক জোট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভরা বর্ষা মৌসুমেও প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং জলাধারগুলোতে পানি না থাকায় চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নদীতে কৃষকদের পাট জাগ দিতে না দেওয়ায় আরও বেশি বিপদে পড়ছেন সাধারণ কৃষকেরা। লাভের আশায় পাট চাষ করে সেই পাট এখন কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাট কেটে ধান লাগানোর ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিয়েও কৃষকরা এই সমস্যার কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। কৃষকদের এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে এবার মাঠে নেমেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোট। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষকদের পাট জাগ দেওয়ার সমস্যা সমাধানের জেলা কৃষক জোটের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সাথে।

কৃষকদের পাট জাগ দেওয়ার সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, এটার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন, তা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাট কেটে পরবর্তী ফসল চাষ করতে পারবে না। আমি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বসব।

জেলা কৃষক জোটের নেতৃবৃন্দের কথা শুনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কৃষকদের এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। গত সমন্বয় সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকসহ সকল পক্ষের উপস্থিতিতে পাট জাগ দেওয়ার বিষয়টি আমি উপস্থাপন করি। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান আমরা পায়নি। একই সাথে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে কৃষকদের এই সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোবাইল ফোনে বলেন নদীগুলো খনন করা হয়েছে। নদীতে পাট জাগ দিলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হবে তাই নদীতে পাট জাগ না দেওয়ার ব্যাপারে আমরা বলেছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষক জোটের নেতৃবৃন্দকে আরও বলেন, আমার দিক থেকে আমি সবরকম চেষ্টা করছি আগামীতে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জানাবো।

এসময় জেলা কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলী, সহসভাপতি বায়েজীদ জোর্য়াদ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান হাবলুসহ রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত ‘চাষাবাদ’ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মশিয়ুর রহমান, মনিটরিং অফিসার দারুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার আদিল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ভরা মৌসুমেও নেই বৃষ্টি, পাট জাগের সমস্যা নিয়ে মাঠে কৃষক জোট

আপলোড টাইম : ০৯:১০:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভরা বর্ষা মৌসুমেও প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং জলাধারগুলোতে পানি না থাকায় চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নদীতে কৃষকদের পাট জাগ দিতে না দেওয়ায় আরও বেশি বিপদে পড়ছেন সাধারণ কৃষকেরা। লাভের আশায় পাট চাষ করে সেই পাট এখন কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাট কেটে ধান লাগানোর ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিয়েও কৃষকরা এই সমস্যার কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। কৃষকদের এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে এবার মাঠে নেমেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোট। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কৃষকদের পাট জাগ দেওয়ার সমস্যা সমাধানের জেলা কৃষক জোটের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সাথে।

কৃষকদের পাট জাগ দেওয়ার সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, এটার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন, তা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাট কেটে পরবর্তী ফসল চাষ করতে পারবে না। আমি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বসব।

জেলা কৃষক জোটের নেতৃবৃন্দের কথা শুনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কৃষকদের এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। গত সমন্বয় সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকসহ সকল পক্ষের উপস্থিতিতে পাট জাগ দেওয়ার বিষয়টি আমি উপস্থাপন করি। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান আমরা পায়নি। একই সাথে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে কৃষকদের এই সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোবাইল ফোনে বলেন নদীগুলো খনন করা হয়েছে। নদীতে পাট জাগ দিলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হবে তাই নদীতে পাট জাগ না দেওয়ার ব্যাপারে আমরা বলেছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষক জোটের নেতৃবৃন্দকে আরও বলেন, আমার দিক থেকে আমি সবরকম চেষ্টা করছি আগামীতে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জানাবো।

এসময় জেলা কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলী, সহসভাপতি বায়েজীদ জোর্য়াদ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান হাবলুসহ রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত ‘চাষাবাদ’ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মশিয়ুর রহমান, মনিটরিং অফিসার দারুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার আদিল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।