ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনকালে ডিসি আমিনুল ইসলাম খান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা-২০২২ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্যমঞ্চে দুই দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। ‘স্মার্টফোনে আসক্তি, পড়াশোনার ক্ষতি’ প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এই মেলা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পড়াশোনা, শিল্প ও বিজ্ঞানের আবিষ্কার সবগুলো ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তির এই যুগে বর্তমান বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। প্রতিটা জিনিসের যেমন ভাল দিক আছে, তেমনই খারাপ দিকও আছে। বিজ্ঞান এনেছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। একসময় মানুষের মাঝে যে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও দেখা সাক্ষাত ছিল, সেটা অনেকটাই কমে গেছে। এখন মুহূর্তেই ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে দূরের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলা, খোঁজখবর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। দিন দিন আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেওয়া, তাদের সাথে সরাসরি মনের ভাব প্রকাশ করা এবং মানসিক তৃপ্তি-প্রশান্তি এটা কমে যাচ্ছে। করোনার মহামারিতে প্রায় দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ঘরে বসে ভার্চুয়ালি যে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল এটা বিজ্ঞানেরই অবদান।’
স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষতির দিক তুলে ধরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বর্তমানে কোমলমতি শিশু-কিশোররা স্মার্ট ফোনে এতোটাই আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে, বাড়িতে কোনো মেহমান বা আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসলে তাদের খোঁজখবর নেয় না। বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এটাও তাদের জন্য ক্ষতির বিষয়।’
শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্যোশে তিনি বলেন, ‘আপনার সন্তান কখন কোথায় যাচ্ছে, কি করছে তার খোঁজখবর নিতে হবে। সঠিক গাইডলাইনের মাধ্যমে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমান সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। এসময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফ। সভা শেষে প্রধান অতিথিসহ সকলে মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন এবং এর মূল্যায়ন করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ, সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপ মিলে মোট ৩০টি স্টল দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১২টি ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২টি স্টল এবং বিশেষ গ্রুপে ৬টি স্টল রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনকালে ডিসি আমিনুল ইসলাম খান

আপলোড টাইম : ০৫:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা-২০২২ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্যমঞ্চে দুই দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। ‘স্মার্টফোনে আসক্তি, পড়াশোনার ক্ষতি’ প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের তত্ত্বাবধানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এই মেলা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পড়াশোনা, শিল্প ও বিজ্ঞানের আবিষ্কার সবগুলো ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তির এই যুগে বর্তমান বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। প্রতিটা জিনিসের যেমন ভাল দিক আছে, তেমনই খারাপ দিকও আছে। বিজ্ঞান এনেছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ। একসময় মানুষের মাঝে যে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও দেখা সাক্ষাত ছিল, সেটা অনেকটাই কমে গেছে। এখন মুহূর্তেই ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে দূরের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলা, খোঁজখবর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। দিন দিন আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেওয়া, তাদের সাথে সরাসরি মনের ভাব প্রকাশ করা এবং মানসিক তৃপ্তি-প্রশান্তি এটা কমে যাচ্ছে। করোনার মহামারিতে প্রায় দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ঘরে বসে ভার্চুয়ালি যে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল এটা বিজ্ঞানেরই অবদান।’
স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষতির দিক তুলে ধরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘বর্তমানে কোমলমতি শিশু-কিশোররা স্মার্ট ফোনে এতোটাই আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে, বাড়িতে কোনো মেহমান বা আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসলে তাদের খোঁজখবর নেয় না। বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এটাও তাদের জন্য ক্ষতির বিষয়।’
শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্যোশে তিনি বলেন, ‘আপনার সন্তান কখন কোথায় যাচ্ছে, কি করছে তার খোঁজখবর নিতে হবে। সঠিক গাইডলাইনের মাধ্যমে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমান সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। এসময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফ। সভা শেষে প্রধান অতিথিসহ সকলে মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন এবং এর মূল্যায়ন করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ, সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপ মিলে মোট ৩০টি স্টল দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১২টি ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২টি স্টল এবং বিশেষ গ্রুপে ৬টি স্টল রয়েছে।