চুয়াডাঙ্গায় পৃথক স্থানে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুজন হাসপাতালে
- আপলোড টাইম : ১০:০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
- / ৩৫ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়ে হাপসাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই ব্যক্তি। একজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজন কথা বলার পরিস্থিতিতেও নেই। গতকাল বুধবার পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা পৃথকস্থান থেকে অচেতন অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অজ্ঞানপার্টির খপ্পড়ে পড়া দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনের নাম মজিবুর রহমান (৫০)। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের হঠাৎপাড়ার নুর হোসেনের ছেলে।
অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়া মজিবর রহমানের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আমার স্বামী ৪০ হাজার ৬ শ টাকা নিয়ে গরু কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। আলমডাঙ্গা গরুর হাটে যাওয়ার জন্য সে চিৎলা মোড় থেকে একটি বাসেও ওঠে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জানতে পারি একটি বাস থেকে অচেতন অবস্থায় আমার স্বামীকে চিৎলা মোড়ে নামিয়ে দিয়েছে। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।’
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড় থেকে অচেতন অবস্থায় অন্য এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে সদর থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়াড় এলাকায় এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে জানতে পেরে তাঁরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘বিকেল চারটার দিকে পরিবারের স্থানীয় কয়েকজন অচেতন অবস্থায় এক যুবককে জরুরি বিভাগে নেয়। জানতে পারি তিনি বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ আরও এক ব্যক্তিতে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। তিনিও অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন। তাঁকেও জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনায় দেখা যায় অজ্ঞান পার্টি বা প্রতারক চক্র ভুক্তভোগীদেরকে ওষুধ মেশানো খাদ্র্যদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে। তবে একই ধরণের কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মানুষ অচেতন হয়ে পড়ে। গণপরিবহনে যাত্রীদের অজ্ঞান করতে একটি বিশেষ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে দুষ্কৃতকারীরা। যাকে ট্রাঙ্কুলাইজার বা চেতনানাশক বলা হয়। এই ওষুধ দ্রুত কাজ করে। এতে গভীর ঘুম হয়, আর পরিমাণে কম লাগে। এর বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার আগের বা পরের ঘটনা মানুষ মনে করতে পারে না। তবে যাদের কিডনি বা যকৃতের সমস্যা আছে, তাদের ওপর এই ওষুধ মারাত্মক প্রভাব ফেলে।’