ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকালে ভারপ্রাপ্ত ডিসি সাজিয়া আফরিন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা একটায় নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আত্মবিশ্বাস। অনুষ্ঠানের সহযোগিতা করে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন। আত্মবিশ্বাসের সভাপতি মিসেস সালমা আছিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন প্রমুখ। সাংবাদিক শাহ আলম সনির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাজিয়া নিশাত পিংকি সামিয়া ইসলাম মিথিলা। অনুষ্ঠানে মোট ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের হাতে প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা।

চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন বলেন, আত্মবিশ্বাস ৩৩ বছর ধরে কাজ করছে। এবং জনগণের পাশে রয়েছে। সে জন্য আত্মবিশ্বাসকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের প্রতি একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। বাড়ির ময়লা প্যাকেটে করে রাস্তায় ফেলে গেলে পৌরসভা যতই চেষ্টা করুক কিন্তু পরিষ্কার রাখতে পারবে না। আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। যুদ্ধে যেয়েই যে দেশপ্রেম দেখাতে হবে, তা কিন্তু নয়। আমাদের দেশের জন্য কিছু করতে হবে। দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এই সময়ে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখতে হবে। দেশ প্রেমের স্বাক্ষর আমরা অনেকভাবেই রাখতে পারি। এখন থেকেই ছোট বয়স থেকেই দেশপ্রেম মনের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে যাবো। সেই সময় তোমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবে। তোমারা আগামীর বাংলাদেশ।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বলেন, সবসময় যে মানুষ টাকাপয়সা দিয়েই মানুষকে সাহায্য করে তা কিন্তু নয়। কখনো মানসিক সহযোগিতা করতে পারো, আবার শ্রম দিয়েও সহযোগিতা করতে পারো। সবার পাশে থাকতে হবে। এসময় তিনি নিজের ছোটবেলার একটি স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের বাসায় একজন ভিক্ষুক প্রায়ই আসতেন। সেই সময়ে ভিক্ষুক আসলে আমরা দৌঁড় দিয়ে এক মুষ্টি চাল নিয়ে গিয়ে দিতাম। একদিন দেখলাম তিনি বাড়ির কাছে গাছের নিচে মাথা ঘুরে পড়ে আছে। আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। তো তাকে পানি খেতে দিলাম। তিনি কিছুটা স্বাভাবিক হলেন। ঈদের দুএক দিন পরে হওয়ায় তখন আমার কাছে হয়ত ১০ থেকে ১৫ টাকা ছিল। আমি তখন রিক্সায় করে তাকে বাড়ি দিয়ে আসলাম। আমরা বলি দোয়া করবেন। আসলে মুখে দোয়া করা লাগে না। মানুষ মন থেকে যে দোয়া করবে, তাতেই তোমরা অনেক দূরে এগিয়ে যাবা। তিনি আরও বলেন, নিজেদেরকে প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করবা। প্রযুক্তি অপব্যবহার করবে না। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারটি তোমাদের শিখতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকালে ভারপ্রাপ্ত ডিসি সাজিয়া আফরিন

আপলোড টাইম : ০৮:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা একটায় নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আত্মবিশ্বাস। অনুষ্ঠানের সহযোগিতা করে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন। আত্মবিশ্বাসের সভাপতি মিসেস সালমা আছিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন প্রমুখ। সাংবাদিক শাহ আলম সনির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাজিয়া নিশাত পিংকি সামিয়া ইসলাম মিথিলা। অনুষ্ঠানে মোট ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের হাতে প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা।

চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন বলেন, আত্মবিশ্বাস ৩৩ বছর ধরে কাজ করছে। এবং জনগণের পাশে রয়েছে। সে জন্য আত্মবিশ্বাসকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের প্রতি একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। বাড়ির ময়লা প্যাকেটে করে রাস্তায় ফেলে গেলে পৌরসভা যতই চেষ্টা করুক কিন্তু পরিষ্কার রাখতে পারবে না। আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। যুদ্ধে যেয়েই যে দেশপ্রেম দেখাতে হবে, তা কিন্তু নয়। আমাদের দেশের জন্য কিছু করতে হবে। দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এই সময়ে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখতে হবে। দেশ প্রেমের স্বাক্ষর আমরা অনেকভাবেই রাখতে পারি। এখন থেকেই ছোট বয়স থেকেই দেশপ্রেম মনের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে যাবো। সেই সময় তোমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবে। তোমারা আগামীর বাংলাদেশ।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বলেন, সবসময় যে মানুষ টাকাপয়সা দিয়েই মানুষকে সাহায্য করে তা কিন্তু নয়। কখনো মানসিক সহযোগিতা করতে পারো, আবার শ্রম দিয়েও সহযোগিতা করতে পারো। সবার পাশে থাকতে হবে। এসময় তিনি নিজের ছোটবেলার একটি স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের বাসায় একজন ভিক্ষুক প্রায়ই আসতেন। সেই সময়ে ভিক্ষুক আসলে আমরা দৌঁড় দিয়ে এক মুষ্টি চাল নিয়ে গিয়ে দিতাম। একদিন দেখলাম তিনি বাড়ির কাছে গাছের নিচে মাথা ঘুরে পড়ে আছে। আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। তো তাকে পানি খেতে দিলাম। তিনি কিছুটা স্বাভাবিক হলেন। ঈদের দুএক দিন পরে হওয়ায় তখন আমার কাছে হয়ত ১০ থেকে ১৫ টাকা ছিল। আমি তখন রিক্সায় করে তাকে বাড়ি দিয়ে আসলাম। আমরা বলি দোয়া করবেন। আসলে মুখে দোয়া করা লাগে না। মানুষ মন থেকে যে দোয়া করবে, তাতেই তোমরা অনেক দূরে এগিয়ে যাবা। তিনি আরও বলেন, নিজেদেরকে প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করবা। প্রযুক্তি অপব্যবহার করবে না। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারটি তোমাদের শিখতে হবে।