ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক: শীতের সকালে চুলোর ধারে বসে কিংবা রোদ পোহাতে পোহাতে গরম পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে। আগে গ্রাম-বাংলার আনাচে-কানাচে প্রতিটি শীতের সকালে উৎসবের আমেজ বিরাজ করতো। কিন্তু কালক্রমে কেমন যেন আস্তে আস্তে সেই সংস্কৃতি আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো খেজুরের রসের প্রাচুর্যও নেই। তবে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্ক কমিউনিটি সেন্টার জুড়ে বসেছিল পিঠার উৎসব। ভাপা, ফুলঝুরি, চিতই, পাটিসাপ্টা, ছাইন্না পিঠা, পুলি, কিমা ভাপা, সব্জিরোল, চিরুনী, হাতের বানানো গুরা পিঠার মতো বাহারি পিঠার সমাহার ছিল এই উৎসব জুড়ে। গতকাল বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ভিন্নধর্মী এই উৎসবের আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- ‘পুলিশ ও সাংবাদিকের পেশাগত কর্মব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় আনন্দময় করতে এবং গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিশেষ বিশেষ পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু’তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তণে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই পিঠা উৎসবে জেলার সংবাদকর্মী ভাইয়দের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি আমাকে আনন্দিত করেছে।’

পিঠা উৎসবে অংশ গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামীন। তিনি বলেন, ‘বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। পিঠা-পায়েস সাধারণত শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসাবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আমাদেরকে দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানোর জন্য পুলিশ সুপার আব্দুল্লা আল মামুনকে ধন্যবাদ।’

পিঠা উৎসবে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসাশন আবু তরেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিছুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা সার্কেল মুন্না বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক আকবর, একাত্তর টিভির প্রতিনিধি এম এ মামুন, নাগরিক টিভি’র জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক, দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি ও জেলা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়ার নিশি। পিঠা উৎসবে আরও অংশগ্রহণ করেন জেলার পাঁচ থানার অফিসার ইনচার্জগণ, ডিআই-১, টিআই-১সহ জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৫:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক: শীতের সকালে চুলোর ধারে বসে কিংবা রোদ পোহাতে পোহাতে গরম পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে। আগে গ্রাম-বাংলার আনাচে-কানাচে প্রতিটি শীতের সকালে উৎসবের আমেজ বিরাজ করতো। কিন্তু কালক্রমে কেমন যেন আস্তে আস্তে সেই সংস্কৃতি আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো খেজুরের রসের প্রাচুর্যও নেই। তবে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্ক কমিউনিটি সেন্টার জুড়ে বসেছিল পিঠার উৎসব। ভাপা, ফুলঝুরি, চিতই, পাটিসাপ্টা, ছাইন্না পিঠা, পুলি, কিমা ভাপা, সব্জিরোল, চিরুনী, হাতের বানানো গুরা পিঠার মতো বাহারি পিঠার সমাহার ছিল এই উৎসব জুড়ে। গতকাল বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ভিন্নধর্মী এই উৎসবের আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- ‘পুলিশ ও সাংবাদিকের পেশাগত কর্মব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় আনন্দময় করতে এবং গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিশেষ বিশেষ পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু’তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তণে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই পিঠা উৎসবে জেলার সংবাদকর্মী ভাইয়দের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি আমাকে আনন্দিত করেছে।’

পিঠা উৎসবে অংশ গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামীন। তিনি বলেন, ‘বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। পিঠা-পায়েস সাধারণত শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসাবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আমাদেরকে দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানোর জন্য পুলিশ সুপার আব্দুল্লা আল মামুনকে ধন্যবাদ।’

পিঠা উৎসবে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসাশন আবু তরেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিছুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা সার্কেল মুন্না বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক আকবর, একাত্তর টিভির প্রতিনিধি এম এ মামুন, নাগরিক টিভি’র জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক, দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি ও জেলা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল আওলিয়ার নিশি। পিঠা উৎসবে আরও অংশগ্রহণ করেন জেলার পাঁচ থানার অফিসার ইনচার্জগণ, ডিআই-১, টিআই-১সহ জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।