ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় চোরাই মোটরসাইকেলসহ ভুয়া পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের আসামিকে জামিন করার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক ভুয়া পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে প্রতারকের কাছ থেকে একসেট পুলিশের পোশাক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতেই প্রতারণার স্বীকার চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের বাজারের মুদি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম মানিক বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়া থেকে ওই ভুয়া পুলিশকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ভুয়া পুলিশ সদস্য একাধিক প্রতারণা মামলার আসামি ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে সোহেল রানা ওরফে হিমেল (২৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতারক সোহেল রানা একটি মামলাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ছিলেন। ওই সময় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেলে থাকা আব্বাস নামে এক আসামির সাথে তাঁর পরিচয় হয়। পরে জেল থেকে বের হয়ে পুলিশ পরিচয়ে আলমডাঙ্গায় ওই আসামির বাড়িতে যান সোহেল। আব্বাসের পরিবারের কাছে নিজেকে অবিবাহিত বলে উল্লেখ করে মেয়ে দেখতে বলেন এবং একই সাথে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেলে থাকা আব্বাসকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
গতকাল দুপুরে আব্বাসের ভাই রিয়াজুলের বাড়িতে গিয়ে আব্বাসের জামিন হয়েছে বলে একটা কাগজ দিয়ে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। পরে রিয়াজুলকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজারে মুদি ব্যবসায়ী মানিকের দোকান থেকে টাকা নিয়ে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যান। মেয়ে দেখতে গিয়ে তাঁর কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে বিষয়টি যাচাই করার সময় তাঁরা বুঝতে পারে আসলে তিনি একজন প্রতারক। এর আগেও বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। পরে সদর থানার পুলিশকে খবর দিলে সদর থানা পুলিশের একটি টিম তাঁকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন।
এ বিষেয়ে সদর থনার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, গ্রেপ্তার সোহেল রানা ওরফে হিমেলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে পুলিশের পোশাক পরে ঝিনাইদহ থেকে টেস্ট ড্রাইভের নাম করে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে আসেন তিনি। সেই মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় চোরাই মোটরসাইকেলসহ ভুয়া পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের আসামিকে জামিন করার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক ভুয়া পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে প্রতারকের কাছ থেকে একসেট পুলিশের পোশাক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতেই প্রতারণার স্বীকার চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের বাজারের মুদি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম মানিক বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়া থেকে ওই ভুয়া পুলিশকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ভুয়া পুলিশ সদস্য একাধিক প্রতারণা মামলার আসামি ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে সোহেল রানা ওরফে হিমেল (২৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতারক সোহেল রানা একটি মামলাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ছিলেন। ওই সময় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেলে থাকা আব্বাস নামে এক আসামির সাথে তাঁর পরিচয় হয়। পরে জেল থেকে বের হয়ে পুলিশ পরিচয়ে আলমডাঙ্গায় ওই আসামির বাড়িতে যান সোহেল। আব্বাসের পরিবারের কাছে নিজেকে অবিবাহিত বলে উল্লেখ করে মেয়ে দেখতে বলেন এবং একই সাথে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেলে থাকা আব্বাসকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
গতকাল দুপুরে আব্বাসের ভাই রিয়াজুলের বাড়িতে গিয়ে আব্বাসের জামিন হয়েছে বলে একটা কাগজ দিয়ে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। পরে রিয়াজুলকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজারে মুদি ব্যবসায়ী মানিকের দোকান থেকে টাকা নিয়ে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যান। মেয়ে দেখতে গিয়ে তাঁর কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে বিষয়টি যাচাই করার সময় তাঁরা বুঝতে পারে আসলে তিনি একজন প্রতারক। এর আগেও বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। পরে সদর থানার পুলিশকে খবর দিলে সদর থানা পুলিশের একটি টিম তাঁকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন।
এ বিষেয়ে সদর থনার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, গ্রেপ্তার সোহেল রানা ওরফে হিমেলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে পুলিশের পোশাক পরে ঝিনাইদহ থেকে টেস্ট ড্রাইভের নাম করে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে আসেন তিনি। সেই মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।