ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় চুরিকৃত ছাগল জবাই করে মাংস কাটার সময়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের জালশুকা গ্রামে ছাগল চুরির করে মাংসকাটার সময় আসাদুল ইসলাম (৪০) ও লালন (৩৮) নামের দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গণধোলাইয়ের শিকার চোরদ্বয় হলেন- জালশুকা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আসাদুল ও একই গ্রামের আবু বড় মিয়ার ছেলে লালন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে জালশুকা গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে দিপুর নিজ বাড়ি থেকে একটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। দিপুসহ পরিবারের সদস্যরা রাতে গ্রামের বিভিন্নস্থানে ছাগলটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এদিকে, রাতে গ্রামের লোকজন একটি গ্রামেরই একটি বাগানের মধ্যে আসাদুল ও লালনকে একটি ছাগল জবাই করে মাংস কাটার কাজ করতে দেখে। পরে দিপুর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে আসাদুল ও লালনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এসময় গ্রামের লোকজন ছাগলচোর দুজনকে আটকে রেখে গণধোলাই দেয়। পরে গ্রামের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে ছাগল চুরি ও চোরকে গণধোলাইয়ের বিষয়ে জানায়। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় আসাদুল ও লালনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ জানায়, ‘রাত আড়াইটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে একজন জানান জালশুকা গ্রামের হাতে নাতে আটক দুই ছাগল চোরকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। এসময় সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাপসাতালে ভর্তি করে।
সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে জালশুকা গ্রামের দিপু নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি ছাগল চুরি হয়। এদিকে, ছাগলটি চুরি করে গ্রামেরই একটি বাগানে ছাগলটি জবাই করে মাংস কাটছিল আসাদুল ও লালন। এসময় ছাগল মালিকসহ গ্রামবাসী চোরদ্বয়কে তাদের হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে গণধোলাইয়ের শিকার আসাদুল ও লালনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালে ভর্তি করি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মারভিন অনিক চৌধুরি বলেন, ‘শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ সদস্যরা গলধোলাইয়ের শিকার দুজনকে জরুরি বিভাগে নেয়। দুজনেরই মাথাসহ সমস্ত শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘সদর থানাধীন জালশুকা গ্রাম থেকে গণধোলাইয়ের শিকার দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাপসাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যক্তি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় চুরিকৃত ছাগল জবাই করে মাংস কাটার সময়

আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের জালশুকা গ্রামে ছাগল চুরির করে মাংসকাটার সময় আসাদুল ইসলাম (৪০) ও লালন (৩৮) নামের দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গণধোলাইয়ের শিকার চোরদ্বয় হলেন- জালশুকা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আসাদুল ও একই গ্রামের আবু বড় মিয়ার ছেলে লালন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে জালশুকা গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে দিপুর নিজ বাড়ি থেকে একটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। দিপুসহ পরিবারের সদস্যরা রাতে গ্রামের বিভিন্নস্থানে ছাগলটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এদিকে, রাতে গ্রামের লোকজন একটি গ্রামেরই একটি বাগানের মধ্যে আসাদুল ও লালনকে একটি ছাগল জবাই করে মাংস কাটার কাজ করতে দেখে। পরে দিপুর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে আসাদুল ও লালনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এসময় গ্রামের লোকজন ছাগলচোর দুজনকে আটকে রেখে গণধোলাই দেয়। পরে গ্রামের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে ছাগল চুরি ও চোরকে গণধোলাইয়ের বিষয়ে জানায়। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় আসাদুল ও লালনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ জানায়, ‘রাত আড়াইটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে একজন জানান জালশুকা গ্রামের হাতে নাতে আটক দুই ছাগল চোরকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। এসময় সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাপসাতালে ভর্তি করে।
সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে জালশুকা গ্রামের দিপু নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি ছাগল চুরি হয়। এদিকে, ছাগলটি চুরি করে গ্রামেরই একটি বাগানে ছাগলটি জবাই করে মাংস কাটছিল আসাদুল ও লালন। এসময় ছাগল মালিকসহ গ্রামবাসী চোরদ্বয়কে তাদের হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে গণধোলাইয়ের শিকার আসাদুল ও লালনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতালে ভর্তি করি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মারভিন অনিক চৌধুরি বলেন, ‘শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ সদস্যরা গলধোলাইয়ের শিকার দুজনকে জরুরি বিভাগে নেয়। দুজনেরই মাথাসহ সমস্ত শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘সদর থানাধীন জালশুকা গ্রাম থেকে গণধোলাইয়ের শিকার দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাপসাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যক্তি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’