ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের ৮ দিনের মাথায় গলায় ফাঁস দিয়ে সারমিন খাতুন (২৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সারমিন খাতুন দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার লিটন হোসেনের স্ত্রী ও সরোজগঞ্জ কালুপোল গ্রামের জলিল হোসেনের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে সারমিন হোসেনের স্বামী তাঁকে পরিত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে সারমিন এক সন্তান নিয়ে তাঁর পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে ৮ দিন পূর্বে সারমিনের সঙ্গে দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার লিটন হোসেনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর দশ বোধন শেষে গত শুক্রবার সারমিন তাঁর স্বামীর সঙ্গে দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় চলে যান। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যার দিকে কোনো এক সময় সারমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ্যা করেন।

নিহত সারমিন খাতুনের স্বামী লিটন হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ছেলে ও মেয়ে রেখে তাঁর প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। যে কারণে গত ৮ দিন পূর্বে স্বামী পরিত্যাক্ত সারমিন খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন তিনি। সংসারে সবকিছু ঠিকমতোই চলছিল। দৌলাতদিয়াড়েই একটি কফি শপ তৈরির কাজ করছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের থেকে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে পরিবারের সদস্যরা সারমিন নামের এক নারীকে জরুরি বিভাগে নেয়। পরিবারের সদস্যদের থেকে জানতে পারি তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন। তবে জরুরি বিভাগে আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাপসাতালে নেওয়ার পূর্বে তাঁর মৃত্যু হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২

চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের ৮ দিনের মাথায় গলায় ফাঁস দিয়ে সারমিন খাতুন (২৫) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সারমিন খাতুন দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার লিটন হোসেনের স্ত্রী ও সরোজগঞ্জ কালুপোল গ্রামের জলিল হোসেনের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে সারমিন হোসেনের স্বামী তাঁকে পরিত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে সারমিন এক সন্তান নিয়ে তাঁর পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে ৮ দিন পূর্বে সারমিনের সঙ্গে দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার লিটন হোসেনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর দশ বোধন শেষে গত শুক্রবার সারমিন তাঁর স্বামীর সঙ্গে দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় চলে যান। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যার দিকে কোনো এক সময় সারমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ্যা করেন।

নিহত সারমিন খাতুনের স্বামী লিটন হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ছেলে ও মেয়ে রেখে তাঁর প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। যে কারণে গত ৮ দিন পূর্বে স্বামী পরিত্যাক্ত সারমিন খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন তিনি। সংসারে সবকিছু ঠিকমতোই চলছিল। দৌলাতদিয়াড়েই একটি কফি শপ তৈরির কাজ করছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের থেকে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে পরিবারের সদস্যরা সারমিন নামের এক নারীকে জরুরি বিভাগে নেয়। পরিবারের সদস্যদের থেকে জানতে পারি তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন। তবে জরুরি বিভাগে আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাপসাতালে নেওয়ার পূর্বে তাঁর মৃত্যু হয়।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।