ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার গহেরপুরের পাকশিয়া বিলে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, তিতুদহ: চুয়াডাঙ্গা সদরের গহেরপুরে পাকশিয়া বিল পাওয়া নিয়ে মামলার রিট চলছে কয়েক মাস যাবৎ। বর্তমানে বিলটি সরকারের অনুকূলে থাকলেও অনেক মানুষ অবৈধভাবে মাছ শিকার করে চলেছে প্রতিদিন। কয়েক মাস পূর্বে থেকে বিলটিতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রায় প্রতিদিন বিল থেকে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় কিছু অসাধু এবং বহিরাগতরা। হাইকোর্টের স্টে অর্ডার থাকার পরও কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে মাছ ধরার অভিযোগ পেয়ে গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম বিলটি পরিদর্শন করেন এবং মাছ ধরা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ দখল নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, বাটিকাডাঙ্গা ও গহেরপুরে অবস্থিত পাকশিয়া বিলটি বর্তমানে সরকারের অনুকূলে। এখানে মাছ ধরা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ দখল আইনত দণ্ডনীয়। তিনি আরও বলেন, বিলটিতে এখনও প্রায় এক কোটি টাকার মূল্য পরিমাণের মাছ রয়েছে। একটি কুচক্রী মহল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে নিয়মিত চুরি করে মাছ শিকার করছে। এ বিষয়ে গহেরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী রহিত মাঝি ও ক্যাশিয়ার আশাদুল হকের বিরুদ্ধে চুরি করে মাছ ধরার অভিযোগসহ প্রমাণ রয়েছে। এরপর থেকে পাকশিয়া বিলে মাছ ধরার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আশাদুল হক বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে বিলে মাছ ধরতে আসে চুয়াডাঙ্গা থেকে সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মাছ ধরার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বহিরাগতদের মাছ ধরার বিষয়ে আমি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু বলেন, পাকশিয়ার বিলটিতে হাইকোর্টের রিট চলছে। বর্তমানে বিলটি এখন সরকারের অনুকূলে রয়েছে। এখানে মাছ শিকার করা আইনগতভাবে অপরাধ। তারপরও কিছু অসাধু লোকজন এখানে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত রোববার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাছ ধরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে এখানে কেউ অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে না পারে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রতিদিন হুইল বর্শি দিয়ে বিল থেকে মাছ শিকার করে বহিরাগতরা। গ্রামের কাউকে মাছ শিকার করতে দেখিনি। তবে সরকারি মাছ রক্ষায় সরকারি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সুধীমহল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার গহেরপুরের পাকশিয়া বিলে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

আপলোড টাইম : ১২:২৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

প্রতিবেদক, তিতুদহ: চুয়াডাঙ্গা সদরের গহেরপুরে পাকশিয়া বিল পাওয়া নিয়ে মামলার রিট চলছে কয়েক মাস যাবৎ। বর্তমানে বিলটি সরকারের অনুকূলে থাকলেও অনেক মানুষ অবৈধভাবে মাছ শিকার করে চলেছে প্রতিদিন। কয়েক মাস পূর্বে থেকে বিলটিতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রায় প্রতিদিন বিল থেকে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় কিছু অসাধু এবং বহিরাগতরা। হাইকোর্টের স্টে অর্ডার থাকার পরও কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে মাছ ধরার অভিযোগ পেয়ে গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম বিলটি পরিদর্শন করেন এবং মাছ ধরা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ দখল নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া বলেন, বাটিকাডাঙ্গা ও গহেরপুরে অবস্থিত পাকশিয়া বিলটি বর্তমানে সরকারের অনুকূলে। এখানে মাছ ধরা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ দখল আইনত দণ্ডনীয়। তিনি আরও বলেন, বিলটিতে এখনও প্রায় এক কোটি টাকার মূল্য পরিমাণের মাছ রয়েছে। একটি কুচক্রী মহল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে নিয়মিত চুরি করে মাছ শিকার করছে। এ বিষয়ে গহেরপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী রহিত মাঝি ও ক্যাশিয়ার আশাদুল হকের বিরুদ্ধে চুরি করে মাছ ধরার অভিযোগসহ প্রমাণ রয়েছে। এরপর থেকে পাকশিয়া বিলে মাছ ধরার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আশাদুল হক বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে বিলে মাছ ধরতে আসে চুয়াডাঙ্গা থেকে সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মাছ ধরার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বহিরাগতদের মাছ ধরার বিষয়ে আমি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু বলেন, পাকশিয়ার বিলটিতে হাইকোর্টের রিট চলছে। বর্তমানে বিলটি এখন সরকারের অনুকূলে রয়েছে। এখানে মাছ শিকার করা আইনগতভাবে অপরাধ। তারপরও কিছু অসাধু লোকজন এখানে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত রোববার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাছ ধরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে এখানে কেউ অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে না পারে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রতিদিন হুইল বর্শি দিয়ে বিল থেকে মাছ শিকার করে বহিরাগতরা। গ্রামের কাউকে মাছ শিকার করতে দেখিনি। তবে সরকারি মাছ রক্ষায় সরকারি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সুধীমহল।