ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদরের কুতুবপুরে প্রার্থীদের পদচারণায় জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচন

প্রতিবেদক, সরোজগঞ্জ:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসন্ন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের অলিগলি। চায়ের টেবিলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা জোরেশোরে নেমে পড়েছেন প্রচার-প্রচারণায়। ছুটছেন বাড়ি বাড়ি। মডেল ইউনিয়ন, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। জয়ের ব্যাপারে সবাই আশাবাদী হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কেউ কেউ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। তবে ভোটাররা প্রতিশ্রুতির চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতাকে যাচাই করে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন।

জানা যায়, কুতুবপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ১৭৬ জন। এ ইউনিয়নে ১৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৭টি কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ও প্রশাসনের বিশেষ কর্মকর্তারা। তবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরোজগঞ্জ আন-নূর ইসলামী একাডেমি, বোয়ালিয়া দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং দুটি ভোট কেন্দ্র, সিন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশমী হাফিজিয়া মাদরাসা ও শাহাপুর হাজি উছমান রাবেয়া বহুমুখি মাদরাসা।

এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যাদবপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নবীননগর গ্রামের জুয়েল রানা (চশমা), আলিয়ারপুর গ্রামের হাজি সাখাওয়াত হোসেন টাইগার (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী দশমী গ্রামের নজরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক (হাতপাখা)।

মনোয়ার হোসেন নামের এক ভোটার জানান, ভোট আসলে প্রার্থীদের আনা-গোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে, সে মোতাবেক কাজ করে না। তারা নির্বাচনের পর সব ভুলে যান। ভোটার ইকবাল হোসেন জানান, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। কিন্তু ইউনিয়নের তেমন কোনো উন্নয়ন হয় না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা সদরের কুতুবপুরে প্রার্থীদের পদচারণায় জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচন

আপলোড টাইম : ০৯:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসন্ন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের অলিগলি। চায়ের টেবিলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা জোরেশোরে নেমে পড়েছেন প্রচার-প্রচারণায়। ছুটছেন বাড়ি বাড়ি। মডেল ইউনিয়ন, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। জয়ের ব্যাপারে সবাই আশাবাদী হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কেউ কেউ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। তবে ভোটাররা প্রতিশ্রুতির চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতাকে যাচাই করে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন।

জানা যায়, কুতুবপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ১৭৬ জন। এ ইউনিয়নে ১৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৭টি কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ও প্রশাসনের বিশেষ কর্মকর্তারা। তবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরোজগঞ্জ আন-নূর ইসলামী একাডেমি, বোয়ালিয়া দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং দুটি ভোট কেন্দ্র, সিন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশমী হাফিজিয়া মাদরাসা ও শাহাপুর হাজি উছমান রাবেয়া বহুমুখি মাদরাসা।

এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী যাদবপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নবীননগর গ্রামের জুয়েল রানা (চশমা), আলিয়ারপুর গ্রামের হাজি সাখাওয়াত হোসেন টাইগার (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী দশমী গ্রামের নজরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক (হাতপাখা)।

মনোয়ার হোসেন নামের এক ভোটার জানান, ভোট আসলে প্রার্থীদের আনা-গোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে, সে মোতাবেক কাজ করে না। তারা নির্বাচনের পর সব ভুলে যান। ভোটার ইকবাল হোসেন জানান, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। কিন্তু ইউনিয়নের তেমন কোনো উন্নয়ন হয় না।