ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে স্বর্ণের বার ও প্রাইভেটকারসহ দুজন আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধারসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজলের নেতৃত্বে শহর ফাঁড়ি পুলিশ রাত ১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃত দুজন হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে কামরুল হাসান জুয়েল (৩৫) ও একই গ্রামের হাজি আব্দুল জব্বারের ছেলে আরিফ (৪৮)। এরমধ্যে আরিফ ওই প্রাইভেটকারের মালিক ও চালক। রাতে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামানসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল বাজার সংলগ্ন পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পুরাতন স্টেডিয়াম ও বিএডিসি মোড়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে শহর ফাঁড়ি পুলিশ। অভিযানে ফরিদপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা অভিমুখে আসা ঢাকা মেট্রো-গ-২১-৭৩৯৮ রেজিস্ট্রেশনের সিলভার রঙের একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে পুলিশ। এরপর প্রাইভেটকারের ভেতরের থাকা দুজনকে পুলিশ বাইরে আসতে বললে, চালকের পাশে বসা চোরাকারবারী জুয়েল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাকে আটক করে এবং প্রাইভেটকারটিতে তল্লাশি চালাই। এসময় প্রাইভেটকারটি থেকে ৫শ ৮১ গ্রাম ওজনের প্রায় ৫০ ভরি সমতূল্যের পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাইভেটকারটির মালিক পরিচয় দেওয়া চালক আরিফ ও চোরাকারবারী জুয়েলকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা হাজতে নেয় পুলিশ। এছাড়া প্রাইভেটকারটির জব্দ করে রাতেই থানায় নেওয়া হয়।

আটকের পর চোরাকারবারী জুয়েল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ফরিদপুর থেকে এই স্বর্ণ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ৩ হাজার টাকা জোন হাজিরায় (পারিশ্রমিক) প্রাইভেটযোগে কুতুব সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন।
প্রাইভেটকারটির মালিক পরিচয় দেওয়া চালক আরিফ পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে গাড়িটি জুয়েলে কাছে ভাড়া দিয়েছে। স্বর্ণের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, আটককৃত আরিফ ও জুয়েলকে আমরা আটক করেছি। আমরা ধারণা করছি দুজনেই অনেক আগে থেকেই এ কাজের সাথে জড়িত এবং এদের সারাদেশে একটা বড় সিন্ডিকেট আছে। এর মূলহোতা আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে পাঁচটি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছি। একইসাথে অবৈধ স্বর্ণ বহনকারী একটি সিলভার কালারের প্রাইভেটকার জব্দ করেছি। স্বর্ণ চোরাচালানের পুরো সিন্ডিকেট ধরতে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করা হচ্ছে। স্বর্ণ চোরাকারবারিদের পুরো সিন্ডিকেট আমরা ধরার জন্য অভিযান চালিয়ে যাবো। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে স্বর্ণের বার ও প্রাইভেটকারসহ দুজন আটক

আপলোড টাইম : ০৩:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধারসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজলের নেতৃত্বে শহর ফাঁড়ি পুলিশ রাত ১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃত দুজন হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে কামরুল হাসান জুয়েল (৩৫) ও একই গ্রামের হাজি আব্দুল জব্বারের ছেলে আরিফ (৪৮)। এরমধ্যে আরিফ ওই প্রাইভেটকারের মালিক ও চালক। রাতে ঘটনাস্থলে যান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামানসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের রেল বাজার সংলগ্ন পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পুরাতন স্টেডিয়াম ও বিএডিসি মোড়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে শহর ফাঁড়ি পুলিশ। অভিযানে ফরিদপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা অভিমুখে আসা ঢাকা মেট্রো-গ-২১-৭৩৯৮ রেজিস্ট্রেশনের সিলভার রঙের একটি প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে পুলিশ। এরপর প্রাইভেটকারের ভেতরের থাকা দুজনকে পুলিশ বাইরে আসতে বললে, চালকের পাশে বসা চোরাকারবারী জুয়েল দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাকে আটক করে এবং প্রাইভেটকারটিতে তল্লাশি চালাই। এসময় প্রাইভেটকারটি থেকে ৫শ ৮১ গ্রাম ওজনের প্রায় ৫০ ভরি সমতূল্যের পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাইভেটকারটির মালিক পরিচয় দেওয়া চালক আরিফ ও চোরাকারবারী জুয়েলকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা হাজতে নেয় পুলিশ। এছাড়া প্রাইভেটকারটির জব্দ করে রাতেই থানায় নেওয়া হয়।

আটকের পর চোরাকারবারী জুয়েল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ফরিদপুর থেকে এই স্বর্ণ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ৩ হাজার টাকা জোন হাজিরায় (পারিশ্রমিক) প্রাইভেটযোগে কুতুব সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন।
প্রাইভেটকারটির মালিক পরিচয় দেওয়া চালক আরিফ পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে গাড়িটি জুয়েলে কাছে ভাড়া দিয়েছে। স্বর্ণের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, আটককৃত আরিফ ও জুয়েলকে আমরা আটক করেছি। আমরা ধারণা করছি দুজনেই অনেক আগে থেকেই এ কাজের সাথে জড়িত এবং এদের সারাদেশে একটা বড় সিন্ডিকেট আছে। এর মূলহোতা আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে পাঁচটি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছি। একইসাথে অবৈধ স্বর্ণ বহনকারী একটি সিলভার কালারের প্রাইভেটকার জব্দ করেছি। স্বর্ণ চোরাচালানের পুরো সিন্ডিকেট ধরতে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করা হচ্ছে। স্বর্ণ চোরাকারবারিদের পুরো সিন্ডিকেট আমরা ধরার জন্য অভিযান চালিয়ে যাবো। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’