ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া অফিস চুয়াডাঙ্গা। ঐতিহ্যবাহী চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম সংলগ্ন শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৪ জন ক্ষুদে সাঁতারু অংশগ্রহণ করে। সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপ এ দু’ভাগে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জুনিয়র গ্রুপের জন্য চারটি ইভেন্ট ও সিনিয়র গ্রুপের জন্য চারটি ইভেন্টসহ মোট আটটি ইভেন্টের প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া অফিসার আমানুল্লাহ আহমেদ।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন বলেন, ‘যেকোনো শারীরিক কসরত অপেক্ষা সাঁতার একটি আদর্শ ব্যায়াম। কারণ সাঁতার যারা জানে, তারা যেকোনো পানিজনিত দুর্ঘটনা বা পানিজনিত সমস্যার হাত থেকে নিজেকে যেমন রক্ষা করতে পারে, তেমনি অন্য কেউ রক্ষা করতে পারে। এছাড়া যারা বয়স্ক বা যেকোনো আঘাতপ্রাপ্ত রোগী যাদের শরীরে ব্যাপক ব্যথা-বিষ আছে, তাদের জন্য সাঁতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। যেকোনো বয়সের মানুষেরাই সাঁতার কাটতে পারেন। সাঁতার কাটলে শরীর মন ঠিক থাকে এবং যেকোনো কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ে। শুধু তাই নয়, নদীমাতৃক বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষকেই সাঁতার শেখা প্রয়োজন। সাঁতার এখন আর লাইভ সেভিং বা জীবন রক্ষাকারী হিসেবে গ্রহণ করা হয় না। এটি ডিফেন্সের যেকোনো চাকরি-বাকরি বা ভালো স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজন। তাই আমি সকল অভিভাবক এবং তাদের শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যে যেখানে যেভাবেই পারেন না কেন, আপনারা সন্তানদেরকে সাঁতার শেখান।’

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘সাঁতার শিখলে শুধু শরীর ও মনই ভালো থাকে না, প্রতিযোগিতার পুরস্কারও জেতা যায়। পুরস্কার জিতলে শুধু নিজের সুনাম বৃদ্ধি পায় না, নিজ পিতা-মাতা, জেলা এবং দেশের সুনামও বয়ে আনা যায়।’ প্রধান অতিথি তার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে উপস্থিত সকল ক্ষুঁদে শিক্ষার্থীদের ‘মাদককে না বলুন, মোবাইল গেম কে না বলুন ও কিশোর গ্যাং থেকে বিরত থাকার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০১:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া অফিস চুয়াডাঙ্গা। ঐতিহ্যবাহী চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম সংলগ্ন শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৪ জন ক্ষুদে সাঁতারু অংশগ্রহণ করে। সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপ এ দু’ভাগে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জুনিয়র গ্রুপের জন্য চারটি ইভেন্ট ও সিনিয়র গ্রুপের জন্য চারটি ইভেন্টসহ মোট আটটি ইভেন্টের প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া অফিসার আমানুল্লাহ আহমেদ।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন বলেন, ‘যেকোনো শারীরিক কসরত অপেক্ষা সাঁতার একটি আদর্শ ব্যায়াম। কারণ সাঁতার যারা জানে, তারা যেকোনো পানিজনিত দুর্ঘটনা বা পানিজনিত সমস্যার হাত থেকে নিজেকে যেমন রক্ষা করতে পারে, তেমনি অন্য কেউ রক্ষা করতে পারে। এছাড়া যারা বয়স্ক বা যেকোনো আঘাতপ্রাপ্ত রোগী যাদের শরীরে ব্যাপক ব্যথা-বিষ আছে, তাদের জন্য সাঁতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। যেকোনো বয়সের মানুষেরাই সাঁতার কাটতে পারেন। সাঁতার কাটলে শরীর মন ঠিক থাকে এবং যেকোনো কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ে। শুধু তাই নয়, নদীমাতৃক বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষকেই সাঁতার শেখা প্রয়োজন। সাঁতার এখন আর লাইভ সেভিং বা জীবন রক্ষাকারী হিসেবে গ্রহণ করা হয় না। এটি ডিফেন্সের যেকোনো চাকরি-বাকরি বা ভালো স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজন। তাই আমি সকল অভিভাবক এবং তাদের শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যে যেখানে যেভাবেই পারেন না কেন, আপনারা সন্তানদেরকে সাঁতার শেখান।’

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘সাঁতার শিখলে শুধু শরীর ও মনই ভালো থাকে না, প্রতিযোগিতার পুরস্কারও জেতা যায়। পুরস্কার জিতলে শুধু নিজের সুনাম বৃদ্ধি পায় না, নিজ পিতা-মাতা, জেলা এবং দেশের সুনামও বয়ে আনা যায়।’ প্রধান অতিথি তার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে উপস্থিত সকল ক্ষুঁদে শিক্ষার্থীদের ‘মাদককে না বলুন, মোবাইল গেম কে না বলুন ও কিশোর গ্যাং থেকে বিরত থাকার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।