ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • / ১১৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। এগুলোর মধ্যে ছিল- বিক্ষোভ মিছিল, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। গতকাল রোববার দিনব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এ সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল রোববার বাদ আছর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মুফতি মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আরশেদ উদ্দিন আহমেদ চন্দন, কোষাধ্যক্ষ আলী রেজা সজল, উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন হেলা, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চন্দন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া সাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, মহিলা নেত্রী লায়লা শিরিন, সাথী, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রুঞ্জু, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, আব্দুল কাদের, শেখ সেলিম, আব্দুস সালাম (লিটন), মোস্তাক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী আহমেদ, ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, ওয়ালির রকি, আকাশসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস।

সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজনীতির ইতিহাসের রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে যেভাবে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল, ২১ আগস্টেও একই উদ্দেশ্য ছিল খুনি চক্রের। ওইদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। সেদিন যা ঘটেছিল তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে নৃশংস ও নিকৃষ্টতম অধ্যায়। এসময় তিনি ২১ শে আগস্ট বর্বর গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর্দার আড়ালের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি জানান।

অপর দিকে, গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের কলেজ রোডের বিশ্বাস টাওয়ারের সামনে থেকে একটি বৃহৎ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কোর্ট রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড হয়ে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে বর্বরোচিত নগ্ন গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে শহীদ হাসান চত্বর মুক্ত মঞ্চে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই সরকারে এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একের পর এক বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা এবং আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা। যা কখনোই সম্ভব নয়।’

জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে সোচ্চার আছে। এই অপশক্তির যে কোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। সকল আইনি বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যত দ্রুত সম্ভব ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রায় কার্যকর হবে। এই রায় কার্যকর করার মধ্যদিয়ে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে এবং বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ আবাসভূমিতে পরিণত হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুর রহমান বজলু, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহম্মেদ জনি, সদর থানা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সামী তাপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজলসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কর্মসূচি:
২১ শে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় জেলা আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু। জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগ সদস্য আজাদ আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ ও আলমগীর আজম খোকা।

সভায় বক্তারা বলেন, ২১ শে আগস্টের ঘটনাপ্রবাহের কালো থাবা বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরেকবার বিভক্ত করেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মূলত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা, সেদিন খুনিদের মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আল্লাহর অশেষ রহমত ও মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার কারণে তিনি প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ অনেককে আমরা হারিয়েছি।’

আলোচনা সভায় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দোয়া-মুনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। একই সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ও ১৯৭১ সালের নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, বিপ্লব হোসেন, হাসানুল ইসলাম পলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হাসান সৈকত, তানভীর রেজা টুটুল চুয়াডাঙ্গা পৌর তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামাল খান, সুমন, নাজমুল, সম্রাট, খোকন, আকাশ, কাজল, মোনাজাত, সজিব, সোহাগ, রুবেল, সঞ্জু, জনি, বাচ্চু, জুয়েল, খোকন, সাইদ, মিণ্টু, ছাত্রলীগ নেতা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ আনোয়ার, আতাউর রহমান বিপুল, মিলন, ইমরান, সুজন প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগের কর্মসূচি:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এরমধ্যে সকাল সাড়ে সাতটায় যুব মহিলা লীগের গোরস্থানপাড়াস্থ নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা, শোক পতাকা ও যুব মহিলা লীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। পরে সকাল ১০টায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের কবরি রোড হয়ে বড় বাজার, কোর্ট রোডসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২১ আগস্টের হামলায় জড়িত ছিল বিএনপি। এদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাই আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানসহ পলাতকদের অচিরেই দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে এবং তাদের দল-বিএনপির বিচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রেতাত্মাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে দলের জন্য কাজ করতে হবে। তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নারকীয় এ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। সেদিনের হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারালেও ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘাতকদের মূল টার্গেট ছিলো তাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি পূর্ণিমা হালদার, শিউলী খাতুন, ইভা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন, জাহানারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক চিনি খাতুন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক চম্পা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সভাপতি রিমা খাতুন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সালেহা খাতুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জেসমিন খাতুন, সাংঠনিক সম্পাদক ফাহিমা খাতুন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সাবিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বাবিতা খাতুন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রুপালী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি খাতুন, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পারুলা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক কাজলী খাতুনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত যুব মহিলা লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। এদিকে, একই সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পলন করে।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, খন্দকার শাহ আলম মণ্টু, হামিদুল ইসলাম, জেলা নির্বাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, রাজ্জাক আলী, কামরুজ্জামান শামিম, আবু তালেব, সভাপতি শহিদুল ইসলাম লাল্টু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, সভাপতি পরিমল কুমার কালু ঘোষ, সভাপতি সোনাউল্লা, মহসিন কামাল, সুজন আলী, পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল ইসলাম, সোনাউল্লাহ, কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম স্বপন, রেজাউল হক তবা, আক্তারুজ্জামান, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হোসাঈন বাদশা, ছাত্রলীগ নেতা সাকিব, অটল, শিহাব প্রমুখ। সবশেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা সজিবউল্লাহ।

জীবননগর:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে জীবননগরে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মুক্তমঞ্চে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলী আজগার টগর বলেন, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল, তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই করা হবে। বিএনপি-জামায়াতের নেতারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এক হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে। তারা যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো ধরণের মিথ্যা কথাবার্তা না বলতে পারে। বর্তমান সরকারের উন্নয়মূলক কাজগুলো মানুষের মধ্যে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমলের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর সোয়েব আহম্মেদ অঞ্জন, পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, সাধারণ সম্পাদক মজিবার রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মিঠু, আকাশ, অনিক, বিপ্লব প্রমুখ।

মেহেরপুর:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াতের বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দলটি। ২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হন ২৪ জন। আহত হন আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী। গ্রেনেড হামলার ১৮ বছর পূর্তিতে গতকাল রোববার বিকেলে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় (জুমের মাধ্যমে) সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হীরা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, যুবলীগ নেতা শফি কামাল পলাশ প্রমুখ।

গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল রোববার বিকেলে বামন্দী-নিশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমলের সভাপতিত্বে ও গাংনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান খোকন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি (মাস্টার), মটমুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী শাহানা ইসলাম শান্তনা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী ফারহানা ইয়াসমীন, সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ জাকিয়া আল্পনা প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন

আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। এগুলোর মধ্যে ছিল- বিক্ষোভ মিছিল, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। গতকাল রোববার দিনব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীরা।

চুয়াডাঙ্গা:
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এ সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল রোববার বাদ আছর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মুফতি মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আরশেদ উদ্দিন আহমেদ চন্দন, কোষাধ্যক্ষ আলী রেজা সজল, উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন হেলা, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম চন্দন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া সাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, মহিলা নেত্রী লায়লা শিরিন, সাথী, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রুঞ্জু, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, আব্দুল কাদের, শেখ সেলিম, আব্দুস সালাম (লিটন), মোস্তাক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী আহমেদ, ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, ওয়ালির রকি, আকাশসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস।

সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজনীতির ইতিহাসের রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে যেভাবে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল, ২১ আগস্টেও একই উদ্দেশ্য ছিল খুনি চক্রের। ওইদিন আল্লাহর অশেষ রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। সেদিন যা ঘটেছিল তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে নৃশংস ও নিকৃষ্টতম অধ্যায়। এসময় তিনি ২১ শে আগস্ট বর্বর গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর্দার আড়ালের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি জানান।

অপর দিকে, গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার বিকেলে শহরের কলেজ রোডের বিশ্বাস টাওয়ারের সামনে থেকে একটি বৃহৎ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কোর্ট রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড হয়ে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে বর্বরোচিত নগ্ন গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে শহীদ হাসান চত্বর মুক্ত মঞ্চে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই সরকারে এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একের পর এক বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা এবং আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা। যা কখনোই সম্ভব নয়।’

জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে সোচ্চার আছে। এই অপশক্তির যে কোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। সকল আইনি বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যত দ্রুত সম্ভব ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রায় কার্যকর হবে। এই রায় কার্যকর করার মধ্যদিয়ে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে এবং বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ আবাসভূমিতে পরিণত হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বজলুর রহমান বজলু, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান, আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, দপ্তর সম্পাদক রাকিব আহম্মেদ জনি, সদর থানা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল রানা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুলন, পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সামী তাপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজলসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কর্মসূচি:
২১ শে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় জেলা আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু। জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগ সদস্য আজাদ আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ ও আলমগীর আজম খোকা।

সভায় বক্তারা বলেন, ২১ শে আগস্টের ঘটনাপ্রবাহের কালো থাবা বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরেকবার বিভক্ত করেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মূলত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা, সেদিন খুনিদের মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আল্লাহর অশেষ রহমত ও মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার কারণে তিনি প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। কিন্তু নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ অনেককে আমরা হারিয়েছি।’

আলোচনা সভায় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দোয়া-মুনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। একই সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ও ১৯৭১ সালের নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, বিপ্লব হোসেন, হাসানুল ইসলাম পলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হাসান সৈকত, তানভীর রেজা টুটুল চুয়াডাঙ্গা পৌর তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামাল খান, সুমন, নাজমুল, সম্রাট, খোকন, আকাশ, কাজল, মোনাজাত, সজিব, সোহাগ, রুবেল, সঞ্জু, জনি, বাচ্চু, জুয়েল, খোকন, সাইদ, মিণ্টু, ছাত্রলীগ নেতা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ আনোয়ার, আতাউর রহমান বিপুল, মিলন, ইমরান, সুজন প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগের কর্মসূচি:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এরমধ্যে সকাল সাড়ে সাতটায় যুব মহিলা লীগের গোরস্থানপাড়াস্থ নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা, শোক পতাকা ও যুব মহিলা লীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। পরে সকাল ১০টায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের কবরি রোড হয়ে বড় বাজার, কোর্ট রোডসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২১ আগস্টের হামলায় জড়িত ছিল বিএনপি। এদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাই আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানসহ পলাতকদের অচিরেই দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে এবং তাদের দল-বিএনপির বিচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রেতাত্মাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে দলের জন্য কাজ করতে হবে। তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নারকীয় এ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। সেদিনের হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারালেও ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘাতকদের মূল টার্গেট ছিলো তাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি পূর্ণিমা হালদার, শিউলী খাতুন, ইভা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন, জাহানারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক চিনি খাতুন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক চম্পা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সভাপতি রিমা খাতুন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সালেহা খাতুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি জেসমিন খাতুন, সাংঠনিক সম্পাদক ফাহিমা খাতুন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সাবিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বাবিতা খাতুন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রুপালী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি খাতুন, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি পারুলা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক কাজলী খাতুনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত যুব মহিলা লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। এদিকে, একই সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পলন করে।

আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, খন্দকার শাহ আলম মণ্টু, হামিদুল ইসলাম, জেলা নির্বাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিণ্টু।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, রাজ্জাক আলী, কামরুজ্জামান শামিম, আবু তালেব, সভাপতি শহিদুল ইসলাম লাল্টু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, সভাপতি পরিমল কুমার কালু ঘোষ, সভাপতি সোনাউল্লা, মহসিন কামাল, সুজন আলী, পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, প্যানেল মেয়র খন্দকার মজিবুল ইসলাম, সোনাউল্লাহ, কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম স্বপন, রেজাউল হক তবা, আক্তারুজ্জামান, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হোসাঈন বাদশা, ছাত্রলীগ নেতা সাকিব, অটল, শিহাব প্রমুখ। সবশেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা সজিবউল্লাহ।

জীবননগর:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে জীবননগরে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মুক্তমঞ্চে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলী আজগার টগর বলেন, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল, তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই করা হবে। বিএনপি-জামায়াতের নেতারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এক হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে। তারা যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো ধরণের মিথ্যা কথাবার্তা না বলতে পারে। বর্তমান সরকারের উন্নয়মূলক কাজগুলো মানুষের মধ্যে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমলের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর সোয়েব আহম্মেদ অঞ্জন, পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, সাধারণ সম্পাদক মজিবার রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মিঠু, আকাশ, অনিক, বিপ্লব প্রমুখ।

মেহেরপুর:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াতের বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা, আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দলটি। ২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হন ২৪ জন। আহত হন আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী। গ্রেনেড হামলার ১৮ বছর পূর্তিতে গতকাল রোববার বিকেলে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় (জুমের মাধ্যমে) সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হীরা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, যুবলীগ নেতা শফি কামাল পলাশ প্রমুখ।

গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল রোববার বিকেলে বামন্দী-নিশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমলের সভাপতিত্বে ও গাংনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান খোকন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি (মাস্টার), মটমুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী শাহানা ইসলাম শান্তনা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী ফারহানা ইয়াসমীন, সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ জাকিয়া আল্পনা প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।