ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারাদেশের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার পৃথক আয়োজনে আলোচনা সভা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

চুয়াডাঙ্গা:
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল সোমবার বেলা তিনটায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতার ঢলে ঢাকার রাজপথে এক অনন্য বিস্ফোরণ ঘটে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়। পাল্টে যায় দেশের পটভূমি এবং এ পরিবর্তনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী এক জাতিসত্ত্বা লাভ করে বাংলাদেশ। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে দেশ এগিয়ে যায়। এছাড়া এদিন থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করলেও তাঁর আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতিকে নতুন করে মুক্ত করে দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ লড়তে জানি, হাসিমুখে মরতে জানি। বারবার সেটা প্রমাণ করে গেছে আমাদের পূর্বপুরুষরা।’ এসময় তিনি স্বাধীনতা রক্ষায় আবার সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফউর নাহার রীনা, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহাজাহান কবীর।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, মাহাতাব উদ্দিন (চুন্নু), আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান পিণ্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম নজু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান লিপটন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক রোকন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সালমা জাহান পারুল, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান ওল্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হোসেন তোহা, নুরনবী সামদানী, চুয়াডাঙা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান পল্টু, জীবনগর উগজেলা বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম তাজু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাগরিবুর রহমান মাগরিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মাস্টার ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রমজান আলী।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মো. আনোয়ার হোসেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগর পৌর বিএনপির সকল ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল ইউনিটের নেতা-কর্মীরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

দর্শনা:
দর্শনায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দর্শনা পৌর বিএনপির কার্যলয়ে এই দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা পৌর বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য এনামুল হক মুকুল শাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সমন্বয় কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম, মালেক মণ্ডল, বদরুল আলম চৌধুরী ও কৃষক দল নেতা নজির আমিন।
দর্শনা ছাত্রদলের সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়েলের পরিচালনা এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা সরোয়ার হোসেন, তুফান, রবি, জসীম, সাহার, নাসীর, আজগার, আজাদ, সাইফুল, শাহিন, ফরমান, আজিজুল, সাহাবুল, মজিবার, ছাত্তার, রবিল, খাইারুল, আলাল, বাবু, কাদের, আলম, সোনা কুটি, যুবদল নেতা টুটুল শাহ, অপু, সুলতান, নাসির উদ্দিন, সদস্য রুহিন প্রমুখ।
অপরদিকে, সারাদেশের ন্যায় দর্শনায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বাদ মাগরিব দর্শনা পৌর বিএনপির আয়োজনে পুরাতন বাজার সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শরিফ উদ্দিন, নাশির উদ্দিন খেদু, রেজাউল ইসলাম, লুৎফর রহমান, মোমিনুল ইসলাম, আজিজুল হক, নান্নু খান, বাদশা, কান্চু মাতবার, কামরুজ্জামান, আলম, রশিদ, সেলিম, নুরুল, ফটিক, মণ্টু, নিজাম, সালাম, যুবদলের পৌর আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন লিটন, জাহান, সজিব, মহন, উসমান, বাবর আলী, সামারুল, সজিব, শিপন, মোমিন, সফর, ছাত্রদলের পলাশ, মুফা, সাইদুর, আসিম, সুজন, সাকিব, সোয়েব, সামাউল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মজনু, মান্নান, রাশেদ, নবীন দলের আলাউদ্দীন, ডাবলু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাহারুল ইসলাম মাস্টার।
মেহেরপুর:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল সোমবার সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন ও উন্মুক্ত আলোচনা সভা। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বলেন, ‘দুর্ভিক্ষের ভয় দেখিয়ে জনতার সংগ্রাম ও লড়াই বন্ধ রাখা যাবে না। আধিপত্যবাদ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনতার গণঅভ্যুত্থান হবে। ২০২৩ সাল হবে জনতার বিজয়ের সাল। বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী নাকি দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা করছেন। দুর্ভিক্ষ হবে না, দেশে এখন ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ চলছে।’ আলোচনা সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস।
গাংনী:
সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরের গাংনীতে পালন করা হয়েছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। গতকাল সোমবার সকালে গাংনী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, যুগ্ম সম্পাদক ও বামন্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল। এসময় গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, গাংনী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক চপল বিশ্বাসসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঝিনাইদহে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, আলমগীর হোসেন আলম, সাজেদুর রহমান পাপপু, শাহজাহান আলী, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, আরিফুল ইসলাম আনন প্রমুখ।
সমাবেশে বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদ বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটানোর মধ্যদিয়ে দেশে একটি দেশপ্রেমিক সরকার কায়েম করতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাট করে সরকারের মন্ত্রীরা এখন পালানোর পথ খুঁজছেন। তিনি বলেন, এই দেশে হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। বিএনপি ডু অর ডাই থিউরি নিয়ে রাজপথে নিমেছে। এখান থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বিএনপির এই আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের জনগণ সামিল হয়েছে। হাসিনা হঠানোর আন্দোলন এখন গণমুখী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারাদেশের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার পৃথক আয়োজনে আলোচনা সভা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

চুয়াডাঙ্গা:
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল সোমবার বেলা তিনটায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনে স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতার ঢলে ঢাকার রাজপথে এক অনন্য বিস্ফোরণ ঘটে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়। পাল্টে যায় দেশের পটভূমি এবং এ পরিবর্তনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী এক জাতিসত্ত্বা লাভ করে বাংলাদেশ। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে দেশ এগিয়ে যায়। এছাড়া এদিন থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে। জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করলেও তাঁর আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতিকে নতুন করে মুক্ত করে দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ লড়তে জানি, হাসিমুখে মরতে জানি। বারবার সেটা প্রমাণ করে গেছে আমাদের পূর্বপুরুষরা।’ এসময় তিনি স্বাধীনতা রক্ষায় আবার সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবলু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফউর নাহার রীনা, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শাহাজাহান কবীর।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, মাহাতাব উদ্দিন (চুন্নু), আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান পিণ্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেট, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম নজু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান লিপটন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক রোকন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সালমা জাহান পারুল, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান ওল্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হোসেন তোহা, নুরনবী সামদানী, চুয়াডাঙা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান পল্টু, জীবনগর উগজেলা বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম তাজু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাগরিবুর রহমান মাগরিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝণ্টু, জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মাস্টার ও আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রমজান আলী।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মো. আনোয়ার হোসেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগর পৌর বিএনপির সকল ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল ইউনিটের নেতা-কর্মীরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

দর্শনা:
দর্শনায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দর্শনা পৌর বিএনপির কার্যলয়ে এই দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা পৌর বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য এনামুল হক মুকুল শাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সমন্বয় কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম, মালেক মণ্ডল, বদরুল আলম চৌধুরী ও কৃষক দল নেতা নজির আমিন।
দর্শনা ছাত্রদলের সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়েলের পরিচালনা এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা সরোয়ার হোসেন, তুফান, রবি, জসীম, সাহার, নাসীর, আজগার, আজাদ, সাইফুল, শাহিন, ফরমান, আজিজুল, সাহাবুল, মজিবার, ছাত্তার, রবিল, খাইারুল, আলাল, বাবু, কাদের, আলম, সোনা কুটি, যুবদল নেতা টুটুল শাহ, অপু, সুলতান, নাসির উদ্দিন, সদস্য রুহিন প্রমুখ।
অপরদিকে, সারাদেশের ন্যায় দর্শনায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বাদ মাগরিব দর্শনা পৌর বিএনপির আয়োজনে পুরাতন বাজার সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শরিফ উদ্দিন, নাশির উদ্দিন খেদু, রেজাউল ইসলাম, লুৎফর রহমান, মোমিনুল ইসলাম, আজিজুল হক, নান্নু খান, বাদশা, কান্চু মাতবার, কামরুজ্জামান, আলম, রশিদ, সেলিম, নুরুল, ফটিক, মণ্টু, নিজাম, সালাম, যুবদলের পৌর আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন লিটন, জাহান, সজিব, মহন, উসমান, বাবর আলী, সামারুল, সজিব, শিপন, মোমিন, সফর, ছাত্রদলের পলাশ, মুফা, সাইদুর, আসিম, সুজন, সাকিব, সোয়েব, সামাউল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মজনু, মান্নান, রাশেদ, নবীন দলের আলাউদ্দীন, ডাবলু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাহারুল ইসলাম মাস্টার।
মেহেরপুর:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল সোমবার সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন ও উন্মুক্ত আলোচনা সভা। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আব্দুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বলেন, ‘দুর্ভিক্ষের ভয় দেখিয়ে জনতার সংগ্রাম ও লড়াই বন্ধ রাখা যাবে না। আধিপত্যবাদ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জনতার গণঅভ্যুত্থান হবে। ২০২৩ সাল হবে জনতার বিজয়ের সাল। বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী নাকি দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা করছেন। দুর্ভিক্ষ হবে না, দেশে এখন ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ চলছে।’ আলোচনা সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ^াস।
গাংনী:
সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরের গাংনীতে পালন করা হয়েছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। গতকাল সোমবার সকালে গাংনী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, যুগ্ম সম্পাদক ও বামন্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল। এসময় গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, গাংনী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক চপল বিশ্বাসসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঝিনাইদহে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, আলমগীর হোসেন আলম, সাজেদুর রহমান পাপপু, শাহজাহান আলী, আশরাফুল ইসলাম পিণ্টু, আরিফুল ইসলাম আনন প্রমুখ।
সমাবেশে বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদ বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটানোর মধ্যদিয়ে দেশে একটি দেশপ্রেমিক সরকার কায়েম করতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাট করে সরকারের মন্ত্রীরা এখন পালানোর পথ খুঁজছেন। তিনি বলেন, এই দেশে হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। বিএনপি ডু অর ডাই থিউরি নিয়ে রাজপথে নিমেছে। এখান থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বিএনপির এই আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের জনগণ সামিল হয়েছে। হাসিনা হঠানোর আন্দোলন এখন গণমুখী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।