ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুর আকস্মিক মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সুস্মিতা মনিকা (৫) নামের এক শিশুর আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু ঝিনাইদহ বৈরীডাঙ্গা গ্রামের শ্রী সঞ্জয় কুমার ও চন্দনা দম্পতির মেয়ে। সে মায়ের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়ার দক্ষিণপাড়ায় নানার বাড়িতে থাকতো।

শিশু মনিকার পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল ভোরে মনিকা কয়েকবার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় গ্যাসট্রিকের ওষুধ খাওয়ালে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। সারাদিন সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও রাত আটটার দিকে সে আবার বমি করতে শুরু করে। এসময় চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। তবে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মনিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু মনিকার মামা শ্রী ভক্ত কুমার পাল বলেন, ‘ভোরবেলা মনিকা ৩-৪ বার বমি করে। তবে সারাদিন সে সুস্থ ছিল। রাত সাড়ে আটটার দিক থেকে বাড়ি ফিরে শুনি মনিকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে আমি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম, তখনই রাস্তায় দেখি আমার মা ও আমার বোন মনিকাকে ভ্যানে করে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছে। এসময় আমিও তাদের সঙ্গে ভাগ্নিকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। হাসপাতালে পৌঁছালে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার বোন ও বোন জামাইয়ের প্রায় এক বছর ধরে মনমালিন্য চলছে। যে কারণে বোন ও ভাগ্নি আমার কাছেই থাকতো। মনিকার মৃত্যুর খবর তার বাবাকে দিয়েছি, তিনি হাসপাতালে আসছেন।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আফরিন খাতুন বলেন, ‘পরিবারে সদস্যরা শিশুটিকে জরুরি বিভাগে আনে। এসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে আমরা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হাসপাতালে আসার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘সুস্মিতা নামের পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে শুনেছি। তবে ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। শিশুটির লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুর আকস্মিক মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ০৮:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সুস্মিতা মনিকা (৫) নামের এক শিশুর আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু ঝিনাইদহ বৈরীডাঙ্গা গ্রামের শ্রী সঞ্জয় কুমার ও চন্দনা দম্পতির মেয়ে। সে মায়ের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়ার দক্ষিণপাড়ায় নানার বাড়িতে থাকতো।

শিশু মনিকার পরিবারের সদস্যরা জানায়, গতকাল ভোরে মনিকা কয়েকবার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় গ্যাসট্রিকের ওষুধ খাওয়ালে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। সারাদিন সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও রাত আটটার দিকে সে আবার বমি করতে শুরু করে। এসময় চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। তবে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মনিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু মনিকার মামা শ্রী ভক্ত কুমার পাল বলেন, ‘ভোরবেলা মনিকা ৩-৪ বার বমি করে। তবে সারাদিন সে সুস্থ ছিল। রাত সাড়ে আটটার দিক থেকে বাড়ি ফিরে শুনি মনিকা আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে আমি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম, তখনই রাস্তায় দেখি আমার মা ও আমার বোন মনিকাকে ভ্যানে করে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছে। এসময় আমিও তাদের সঙ্গে ভাগ্নিকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। হাসপাতালে পৌঁছালে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার বোন ও বোন জামাইয়ের প্রায় এক বছর ধরে মনমালিন্য চলছে। যে কারণে বোন ও ভাগ্নি আমার কাছেই থাকতো। মনিকার মৃত্যুর খবর তার বাবাকে দিয়েছি, তিনি হাসপাতালে আসছেন।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আফরিন খাতুন বলেন, ‘পরিবারে সদস্যরা শিশুটিকে জরুরি বিভাগে আনে। এসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে আমরা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, হাসপাতালে আসার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‘সুস্মিতা নামের পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে শুনেছি। তবে ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। শিশুটির লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’