ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এ কার্যক্রমের শুরু হয়। এতে ১৩ পদের শাকসবজি ও কাঁচাপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় তিনি বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাদেরকে একটু স্বস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মূলত কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে এনে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কার্যক্রমের প্রথম দিনেই ভালো সাড়া মিলেছে। এ কাজ অব্যহত থাকবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, সদস্য আতিউর রহমান বিপ্লব, ইমরান আহমেদ বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে, ন্যায্য মূল্যে তরিতরকারি কিনতে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বাজার থেকে অনেক কমদামে কাঁচা তরিতরকারি কিনতে পেওে ক্রেতারা খুশি। ক্রেতা ছালমা খাতুন বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষার্থী। হোস্টেলে থেকে নিজেরাই বাজার করি। খবর পেলাম স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে শহীদ হাসান চত্বরে ন্যায্য মূল্যে তরকারি বিক্রি শুরু হবে। তাই এখানে কিনতে এসেছি। বড় বাজার নীচের বাজারের থেকে এখানে সবজির দাম অনেক কম। এককথায় ন্যায্য মূল্যে টাটকা সবজি কিনতে পেরে আমরা খুশি।’ গৃহীনি সীমা আক্তার বলেন, ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এখানে সবজি বিক্রি হচ্ছে দেখে কেনার ইচ্ছে হলো, তাই টাটকা সবজি ন্যায্য মূল্যে কিনলাম। বাজার থেকে দামও অনেক কম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ন্যায্য মূল্যের সবজির দোকানে প্রতি কেজি আলু ৪৪ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ও ফুল কপি প্রতি পিস প্রায় ১ কেজির ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ২৪ টাকা, পুঁইশাকের মেছড়ি ৪৫ টাকা কেজি, মুলা ৩০ টাকা, করল্লা ৪৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০ টাকা এবং প্রতি আঁটি লাশ শাক-পালঙ শাক বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি

আপলোড টাইম : ১০:১৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এ কার্যক্রমের শুরু হয়। এতে ১৩ পদের শাকসবজি ও কাঁচাপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় তিনি বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাদেরকে একটু স্বস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মূলত কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে এনে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কার্যক্রমের প্রথম দিনেই ভালো সাড়া মিলেছে। এ কাজ অব্যহত থাকবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, সদস্য আতিউর রহমান বিপ্লব, ইমরান আহমেদ বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গাজী ইমদাদুল হক সজলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে, ন্যায্য মূল্যে তরিতরকারি কিনতে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বাজার থেকে অনেক কমদামে কাঁচা তরিতরকারি কিনতে পেওে ক্রেতারা খুশি। ক্রেতা ছালমা খাতুন বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষার্থী। হোস্টেলে থেকে নিজেরাই বাজার করি। খবর পেলাম স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে শহীদ হাসান চত্বরে ন্যায্য মূল্যে তরকারি বিক্রি শুরু হবে। তাই এখানে কিনতে এসেছি। বড় বাজার নীচের বাজারের থেকে এখানে সবজির দাম অনেক কম। এককথায় ন্যায্য মূল্যে টাটকা সবজি কিনতে পেরে আমরা খুশি।’ গৃহীনি সীমা আক্তার বলেন, ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এখানে সবজি বিক্রি হচ্ছে দেখে কেনার ইচ্ছে হলো, তাই টাটকা সবজি ন্যায্য মূল্যে কিনলাম। বাজার থেকে দামও অনেক কম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ন্যায্য মূল্যের সবজির দোকানে প্রতি কেজি আলু ৪৪ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ও ফুল কপি প্রতি পিস প্রায় ১ কেজির ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ২৪ টাকা, পুঁইশাকের মেছড়ি ৪৫ টাকা কেজি, মুলা ৩০ টাকা, করল্লা ৪৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০ টাকা এবং প্রতি আঁটি লাশ শাক-পালঙ শাক বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা করে।