ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় আসিয়া খাতুন (৭০) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধ নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নূরনগর কলোনি মোড় থেকে ওই বৃদ্ধার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় নিহত বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া না গেলেও বেলা দুইটার দিকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের খোঁজ পাওয়া যায়। নিহত আসিয়া খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবিলা গ্রামের মৃত কিনু শেখের স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সদর থানার পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নূরনগর কলোনি মোড় থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়। রাতে কোনো যানবাহনের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অজ্ঞাত নারীর পরিচয় না পাওয়া গেলে লাশের ময়নাতদন্ত ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। পরবর্তীতে চাঁদবিলা গ্রামের এক ব্যক্তি লাশটিকে চিনতে পেরে তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। বেলা দুইটার দিকে নিহতের ছেলে জিয়াউদ্দীন ও পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে এসে লাশটিকে শনাক্ত করেন।

নিহত আসিয়া খাতুনের ছেলে জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘আমার মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত সোমবার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। আমরা স্থানীয়ভাবে তাকে অনেক খুঁজলেও কোথাও পাইনি। আজ (গতকাল) ১২টার দিকে আমাদের গ্রামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারি আমার মায়ের মতো দেখতে একটি লাশ চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। দুপুরে আমি ও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল মর্গে এলে দেখি লাশটি আমার মায়ের।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে সদর হাসপাতাল মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ে ওই নারীর সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করি। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কোনো এক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আসিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে পরিচয় না পেলে লাশের ময়নাতদন্ত ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে দুপুরে খবর পেয়ে নিহত নারীর ছেলে লাশটি তাঁর মায়ের বলে শনাক্ত করেন। নিহতের পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাঁদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশটি বিকেল চারটার দিকে হস্তান্তর করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধার মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৯:২৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় আসিয়া খাতুন (৭০) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধ নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নূরনগর কলোনি মোড় থেকে ওই বৃদ্ধার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় নিহত বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া না গেলেও বেলা দুইটার দিকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের খোঁজ পাওয়া যায়। নিহত আসিয়া খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবিলা গ্রামের মৃত কিনু শেখের স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সদর থানার পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নূরনগর কলোনি মোড় থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়। রাতে কোনো যানবাহনের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অজ্ঞাত নারীর পরিচয় না পাওয়া গেলে লাশের ময়নাতদন্ত ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। পরবর্তীতে চাঁদবিলা গ্রামের এক ব্যক্তি লাশটিকে চিনতে পেরে তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। বেলা দুইটার দিকে নিহতের ছেলে জিয়াউদ্দীন ও পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে এসে লাশটিকে শনাক্ত করেন।

নিহত আসিয়া খাতুনের ছেলে জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘আমার মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত সোমবার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। আমরা স্থানীয়ভাবে তাকে অনেক খুঁজলেও কোথাও পাইনি। আজ (গতকাল) ১২টার দিকে আমাদের গ্রামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারি আমার মায়ের মতো দেখতে একটি লাশ চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। দুপুরে আমি ও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল মর্গে এলে দেখি লাশটি আমার মায়ের।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে সদর হাসপাতাল মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ে ওই নারীর সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করি। ধারণা করা হচ্ছে রাতে কোনো এক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আসিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে পরিচয় না পেলে লাশের ময়নাতদন্ত ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে দুপুরে খবর পেয়ে নিহত নারীর ছেলে লাশটি তাঁর মায়ের বলে শনাক্ত করেন। নিহতের পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাঁদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশটি বিকেল চারটার দিকে হস্তান্তর করা হয়।