ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গুদামঘর নির্মাণের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহপুর গ্রামে রহজান নেছা নামে এক নারীর জমিতে অবৈধভাবে গুদামঘর তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে হাইকোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিবাদীপক্ষ তা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে দাবি করেছে বাদীপক্ষ। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার ৮০ নম্বর শাহাপুর মৌজার আরএস ৩৮১ দাগের জমিতে গিয়ে চলমান নির্মাণকাজের সত্যতা পাওয়া গেছে।

                সরেজমিনে দেখা যায়, ৬ জন রাজমিস্ত্রি ও জোগালে (নির্মাণকাজে সহায়তাকারী) ওই স্থানে একটি গুদামঘর নির্মাণের কাজ করছে। নির্মাণাধীন গুদামঘরটিতে টাইবিমের কাজ চলছে। তড়িঘড়ি করে রাতে কাজ করার জন্য চার দিকে চারটি বড় বড় সার্চ লাইট দেয়া হয়েছে।

                উপস্থিত শ্রমিকদের কয়েকজন জানায়, আমরা চার/পাঁচদিন ধরে কাজ করছি। আমরা জানতাম ঝামেলা ছিলো, এখন নেই বলে জানিয়েছে গুদামঘরটির মালিক ফজলু। সেজন্য আবার আমরা কাজ করছি।

বাদী রহজান নেছা জানায় যে, তাঁর আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট মামলায় উল্লেখিত জমিতে নির্মাণকাজের উপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় মাসের জন্য (জঁষব ধহফ ংঃধঃঁং য়ঁড়) জারি করেন। স্থিতিবস্থা থাকলেও তা অমান্য করে বিবাদীপক্ষ মামলাধীন জমিতে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন। যার বিষয়টি বিবাদী ফজলুল হক জানেন এবং তিনি নিজেও বিজ্ঞ সহকারী জজ চুয়াডাঙ্গা আদালতে বিগত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিষেধাজ্ঞার বিষয় উল্লেখ করে, নিম্ন আদালতের মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন করেছেন।

এবিষয়ে মামলার বিবাদী ফজলুল হক বলেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় আমাদের নির্মাণকাজ বন্ধ ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের আবেদনে আদালত ওই আদেশ বাতিল করলে আমরা আবারও নির্মাণকাজ শুরু করি। উচ্চ আদালতের আদেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, নিজের কেনা জমিতে নির্মাণকাজ করতে এসে মিথ্যা মামলায় পড়েছি। আমরা আদালতের উপর আস্থাশীল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গুদামঘর নির্মাণের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:১৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহপুর গ্রামে রহজান নেছা নামে এক নারীর জমিতে অবৈধভাবে গুদামঘর তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে হাইকোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিবাদীপক্ষ তা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে দাবি করেছে বাদীপক্ষ। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার ৮০ নম্বর শাহাপুর মৌজার আরএস ৩৮১ দাগের জমিতে গিয়ে চলমান নির্মাণকাজের সত্যতা পাওয়া গেছে।

                সরেজমিনে দেখা যায়, ৬ জন রাজমিস্ত্রি ও জোগালে (নির্মাণকাজে সহায়তাকারী) ওই স্থানে একটি গুদামঘর নির্মাণের কাজ করছে। নির্মাণাধীন গুদামঘরটিতে টাইবিমের কাজ চলছে। তড়িঘড়ি করে রাতে কাজ করার জন্য চার দিকে চারটি বড় বড় সার্চ লাইট দেয়া হয়েছে।

                উপস্থিত শ্রমিকদের কয়েকজন জানায়, আমরা চার/পাঁচদিন ধরে কাজ করছি। আমরা জানতাম ঝামেলা ছিলো, এখন নেই বলে জানিয়েছে গুদামঘরটির মালিক ফজলু। সেজন্য আবার আমরা কাজ করছি।

বাদী রহজান নেছা জানায় যে, তাঁর আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট মামলায় উল্লেখিত জমিতে নির্মাণকাজের উপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় মাসের জন্য (জঁষব ধহফ ংঃধঃঁং য়ঁড়) জারি করেন। স্থিতিবস্থা থাকলেও তা অমান্য করে বিবাদীপক্ষ মামলাধীন জমিতে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন। যার বিষয়টি বিবাদী ফজলুল হক জানেন এবং তিনি নিজেও বিজ্ঞ সহকারী জজ চুয়াডাঙ্গা আদালতে বিগত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিষেধাজ্ঞার বিষয় উল্লেখ করে, নিম্ন আদালতের মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন করেছেন।

এবিষয়ে মামলার বিবাদী ফজলুল হক বলেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় আমাদের নির্মাণকাজ বন্ধ ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের আবেদনে আদালত ওই আদেশ বাতিল করলে আমরা আবারও নির্মাণকাজ শুরু করি। উচ্চ আদালতের আদেশের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, নিজের কেনা জমিতে নির্মাণকাজ করতে এসে মিথ্যা মামলায় পড়েছি। আমরা আদালতের উপর আস্থাশীল।