ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত কৃষক হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঝণ্টু মিয়া (৪৫) নামের এক কৃষক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষক্রিয়া আক্রান্ত কৃষক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার টেইপুর গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে।

        বিষক্রিয়া আক্রান্ত ঝণ্টু মিয়ার স্ত্রী জানান, ‘সকালে নিজের পাটের ক্ষেতে কীটনাশক ও দানাদার বিষ প্রয়োগ করছিলেন ঝণ্টু মিয়া। কীটনাশক ও দানাদার বিষ প্রয়োগের এক পর্যায়ে তিনি বিষক্রিয়া আক্রান্ত হন ও তার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে শুরু করে। এসময় তিনি স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে বাড়িতে আসার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেলে আমরা দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করি।’

        চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘ফসলে কীটনাশক ছড়ানোর সময় এক কৃষক বিষক্রিয়া আক্রান্ত হয়ে জরুরি বিভাগে আসেন। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। এ ধরণের রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে ফসলে কীটনাশক ছড়ানোর কারণে বাতাসের মাধ্যমে তা শরীরে প্রবেশ করে। এতে রোগীর মাথা ঘোরা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া, পেটে ব্যাথা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মানুষ মারাও যেতে পারেন। অনেকেই কয়েকমাস ধরে অসুস্থ থাকেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত কৃষক হাসপাতালে

আপলোড টাইম : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঝণ্টু মিয়া (৪৫) নামের এক কৃষক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষক্রিয়া আক্রান্ত কৃষক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার টেইপুর গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে।

        বিষক্রিয়া আক্রান্ত ঝণ্টু মিয়ার স্ত্রী জানান, ‘সকালে নিজের পাটের ক্ষেতে কীটনাশক ও দানাদার বিষ প্রয়োগ করছিলেন ঝণ্টু মিয়া। কীটনাশক ও দানাদার বিষ প্রয়োগের এক পর্যায়ে তিনি বিষক্রিয়া আক্রান্ত হন ও তার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে শুরু করে। এসময় তিনি স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে বাড়িতে আসার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেলে আমরা দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করি।’

        চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘ফসলে কীটনাশক ছড়ানোর সময় এক কৃষক বিষক্রিয়া আক্রান্ত হয়ে জরুরি বিভাগে আসেন। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। এ ধরণের রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে ফসলে কীটনাশক ছড়ানোর কারণে বাতাসের মাধ্যমে তা শরীরে প্রবেশ করে। এতে রোগীর মাথা ঘোরা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া, পেটে ব্যাথা সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মানুষ মারাও যেতে পারেন। অনেকেই কয়েকমাস ধরে অসুস্থ থাকেন।’